খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

গল্প ততক্ষণে হাফটাইম পেরিয়ে এগোচ্ছে শেষের দিকে। একটি জেল অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আজাদ (শাহরুখ খান)। তাঁকে ধরতে ছুটছে গোটা দেশের প্রশাসন। লাইভ ভিডিওতে এলেন আজাদরূপী শাহরুখ। আঙুল উঁচিয়ে দর্শকের চোখে চোখ রেখে বলে গেলেন, ‘দোকানে চাল–ডাল কিনতে গেলে কত দরদাম করেন! যে মশার কয়েল পাঁচ ঘণ্টা জ্বলে, সেটা কেনার সময়ও কত প্রশ্ন! অথচ পাঁচ বছরের জন্য কাউকে নির্বাচিত করার আগে কিছুই জানতে চান না। ভোট দেওয়ার আগে তাঁদের প্রশ্ন করুন, আমার জন্য কী করবেন? আমার সন্তানের শিক্ষার জন্য কী করবেন? আমি অসুস্থ হলে আমার পরিবারের জন্য কী করবেন?’
জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর। সেই নিগৃহীত, বঞ্চিত, খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা নিজেদের শ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন দেশের অর্থনীতির চাকা, অথচ ক্ষমতার কাছে তাঁরা কেবলই ভোটার, কেবলই সংখ্যা; শাহরুখ তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন—দেশের পট পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে তাঁদের হাতেই। তাঁদের একটি আঙুলের ছাপই সেই দিনবদলের হাতিয়ার। অতএব, ইভিএম কিংবা ব্যালটে আঙুল রাখার আগে প্রশ্ন তুলুন। যোগ্য ব্যক্তিকে বসান ক্ষমতায়, যারা সত্যিই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। এমন অনেক প্রসঙ্গ, যা সাধারণত এ উপমহাদেশে বাণিজ্যিক সিনেমার বিষয় হয়ে ওঠে না, সেগুলোই জওয়ানের মূল ভিত্তি।
টুকরো টুকরো অনেক গল্প অথবা প্রশ্ন দেশপ্রেমের সুতোয় গেঁথে জওয়ান নামে একটি মালা গেঁথেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার। আগে থেকে তিনি নিশ্চয় জানতেন, সাধারণ মানুষ যেসব বৈষম্য ও অবহেলার অভিশাপে দিনের পর দিন ধুঁকছে; সে সবের প্রতিবাদ একজনই করতে পারেন। একজনের কণ্ঠই পারে আপামর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে, তিনি শাহরুখ খান। হলোও তাই। গণতন্ত্রের আওয়াজ কতটা শক্তিশালী, নির্বিকার জনতাকে তাঁদের ভাষাতেই বুঝিয়ে দিলেন শাহরুখ। জওয়ানের প্রত্যেক মোচড়ে তাই তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি তুললেন দর্শক। আবেগে কাঁদলেন। প্রেমে ভাসলেন।
শাহরুখের ‘পাঠান’ থেকে ‘জওয়ান’—প্রায় ৮ মাসের ব্যবধান। দুটি সিনেমার গল্প গজিয়েছে, ডালপালা মেলেছে একই বীজ থেকে—দেশপ্রেম। তবে এই ৮ মাসে দেশপ্রেমের প্রশ্নে আরও অকপট, আরও ধারালো হয়েছেন শাহরুখ। সাধারণত বলিউডের এসব দেশপ্রেমের সিনেমায় নায়কের লড়াই হয় বিদেশি অপশক্তির বিরুদ্ধে। তবে জওয়ানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ভিলেন। যেভাবে পরিচালিত হয় রাষ্ট্রযন্ত্র, সেই সর্ষের ভেতরেই খোঁজা হয়েছে অন্যায় ও দুর্নীতির ভূত।
গল্পের শুরুতেই আনা হয়েছে কৃষকদের প্রসঙ্গ। শাহরুখ পরিসংখ্যান টেনে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেন ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পেরে। সামান্য ঋণ শোধ দিতে না পারলে যে ব্যাংক অত্যাচার চালায় কৃষকদের ওপরে, সেই একই ব্যাংক থেকে ৪০ হাজার কোটি রুপি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রভাবশালীরা। অথচ রাষ্ট্র সেখানে স্পিকটি নট। শাহরুখ কথা বললেন ভারতের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার পরিস্থিতি নিয়ে, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি, প্রতিরক্ষা খাতে আর্থিক অসংগতি নিয়ে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গও বুনে দেওয়া হয়েছে চিত্রনাট্যে। আজাদের নেতৃত্বে লড়াই করে এক নারীবাহিনি। তাঁদের দেখে মনে পড়ে যেতে পারে ‘মানি হাইস্ট’-এর প্রফেসর আর তার গ্যাংকে।
জওয়ানের পুরো গল্পে দুই চরিত্রে (আজাদ ও বিক্রম রাঠোর) একাই সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর সামনে প্রধান ভিলেন অস্ত্র ব্যবসায়ী কালি (বিজয়) তেমন জায়গা পায়নি। নর্মদার (নয়নতারা) সঙ্গে আজাদের এবং ঐশ্বরিয়ার (দীপিকা) সঙ্গে বিক্রম রাঠোরের রসায়নও অতটা দানা বাঁধেনি। তাঁদের তুলনায় অল্প জায়গা পেয়েও শেষে এসে চমকে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
তবে নর্মদাকে চাইলে আলাদা করে ভারতের আরেক ঘটনার প্রতিভূ ভাবা যেতেই পারে। তিনি স্পেশাল ফোর্সের চিফ। একজন একা মা। শাহরুখের সাহায্যে বারবার ছুটে আসেন। একসময় শাহরুখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে শাহরুখের পরিচয় জানতে পারেন পরে। এরপর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের স্বার্থে শাহরুখের পিছু নেন। কিন্তু সব জানার পর নিজেই ভিড়ে যান তাঁদের দলে। নর্মদা একই সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর এবং কোমল হৃদয়ের নারী। নষ্ট ব্যবস্থার ভেতরে এক সৎ ও সাহসী নারী। হতে পারে সরকারের ‘ভুল পরিকল্পনার’ বলির কাষ্ঠে মাথা পাততে বাধ্য হওয়া নীরবে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী নর্মদার প্রতিভূ। এই নর্মদাদের বাঁচাতে আরেক ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’–এর ডাক দিয়ে গেল জওয়ান!
তবে কিছু চরিত্রের নানা খামতি অতটা চোখে পড়ে না চিত্রনাট্যের আঁটসাঁট বুননের গুণে। বরং পুরোটা সময় চোখ লেগে থাকবে দুই চরিত্রের শাহরুখের দিকে, যিনি ডার্ক নাইটের ব্যাটম্যানের মতো আবির্ভূত হয়েছেন ধ্বংসপ্রায় গোথাম শহরকে উদ্ধার করতে।
এক নজরে জওয়ান
অভিনয়: শাহরুখ খান, নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি প্রমুখ।
পরিচালনা: অ্যাটলি কুমার
মুক্তি: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রথম চার দিনে বিশ্বব্যাপী আয়: ৫০০ কোটি রুপির বেশি

গল্প ততক্ষণে হাফটাইম পেরিয়ে এগোচ্ছে শেষের দিকে। একটি জেল অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আজাদ (শাহরুখ খান)। তাঁকে ধরতে ছুটছে গোটা দেশের প্রশাসন। লাইভ ভিডিওতে এলেন আজাদরূপী শাহরুখ। আঙুল উঁচিয়ে দর্শকের চোখে চোখ রেখে বলে গেলেন, ‘দোকানে চাল–ডাল কিনতে গেলে কত দরদাম করেন! যে মশার কয়েল পাঁচ ঘণ্টা জ্বলে, সেটা কেনার সময়ও কত প্রশ্ন! অথচ পাঁচ বছরের জন্য কাউকে নির্বাচিত করার আগে কিছুই জানতে চান না। ভোট দেওয়ার আগে তাঁদের প্রশ্ন করুন, আমার জন্য কী করবেন? আমার সন্তানের শিক্ষার জন্য কী করবেন? আমি অসুস্থ হলে আমার পরিবারের জন্য কী করবেন?’
জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর। সেই নিগৃহীত, বঞ্চিত, খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা নিজেদের শ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন দেশের অর্থনীতির চাকা, অথচ ক্ষমতার কাছে তাঁরা কেবলই ভোটার, কেবলই সংখ্যা; শাহরুখ তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন—দেশের পট পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে তাঁদের হাতেই। তাঁদের একটি আঙুলের ছাপই সেই দিনবদলের হাতিয়ার। অতএব, ইভিএম কিংবা ব্যালটে আঙুল রাখার আগে প্রশ্ন তুলুন। যোগ্য ব্যক্তিকে বসান ক্ষমতায়, যারা সত্যিই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। এমন অনেক প্রসঙ্গ, যা সাধারণত এ উপমহাদেশে বাণিজ্যিক সিনেমার বিষয় হয়ে ওঠে না, সেগুলোই জওয়ানের মূল ভিত্তি।
টুকরো টুকরো অনেক গল্প অথবা প্রশ্ন দেশপ্রেমের সুতোয় গেঁথে জওয়ান নামে একটি মালা গেঁথেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার। আগে থেকে তিনি নিশ্চয় জানতেন, সাধারণ মানুষ যেসব বৈষম্য ও অবহেলার অভিশাপে দিনের পর দিন ধুঁকছে; সে সবের প্রতিবাদ একজনই করতে পারেন। একজনের কণ্ঠই পারে আপামর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে, তিনি শাহরুখ খান। হলোও তাই। গণতন্ত্রের আওয়াজ কতটা শক্তিশালী, নির্বিকার জনতাকে তাঁদের ভাষাতেই বুঝিয়ে দিলেন শাহরুখ। জওয়ানের প্রত্যেক মোচড়ে তাই তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি তুললেন দর্শক। আবেগে কাঁদলেন। প্রেমে ভাসলেন।
শাহরুখের ‘পাঠান’ থেকে ‘জওয়ান’—প্রায় ৮ মাসের ব্যবধান। দুটি সিনেমার গল্প গজিয়েছে, ডালপালা মেলেছে একই বীজ থেকে—দেশপ্রেম। তবে এই ৮ মাসে দেশপ্রেমের প্রশ্নে আরও অকপট, আরও ধারালো হয়েছেন শাহরুখ। সাধারণত বলিউডের এসব দেশপ্রেমের সিনেমায় নায়কের লড়াই হয় বিদেশি অপশক্তির বিরুদ্ধে। তবে জওয়ানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ভিলেন। যেভাবে পরিচালিত হয় রাষ্ট্রযন্ত্র, সেই সর্ষের ভেতরেই খোঁজা হয়েছে অন্যায় ও দুর্নীতির ভূত।
গল্পের শুরুতেই আনা হয়েছে কৃষকদের প্রসঙ্গ। শাহরুখ পরিসংখ্যান টেনে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেন ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পেরে। সামান্য ঋণ শোধ দিতে না পারলে যে ব্যাংক অত্যাচার চালায় কৃষকদের ওপরে, সেই একই ব্যাংক থেকে ৪০ হাজার কোটি রুপি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রভাবশালীরা। অথচ রাষ্ট্র সেখানে স্পিকটি নট। শাহরুখ কথা বললেন ভারতের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার পরিস্থিতি নিয়ে, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি, প্রতিরক্ষা খাতে আর্থিক অসংগতি নিয়ে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গও বুনে দেওয়া হয়েছে চিত্রনাট্যে। আজাদের নেতৃত্বে লড়াই করে এক নারীবাহিনি। তাঁদের দেখে মনে পড়ে যেতে পারে ‘মানি হাইস্ট’-এর প্রফেসর আর তার গ্যাংকে।
জওয়ানের পুরো গল্পে দুই চরিত্রে (আজাদ ও বিক্রম রাঠোর) একাই সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর সামনে প্রধান ভিলেন অস্ত্র ব্যবসায়ী কালি (বিজয়) তেমন জায়গা পায়নি। নর্মদার (নয়নতারা) সঙ্গে আজাদের এবং ঐশ্বরিয়ার (দীপিকা) সঙ্গে বিক্রম রাঠোরের রসায়নও অতটা দানা বাঁধেনি। তাঁদের তুলনায় অল্প জায়গা পেয়েও শেষে এসে চমকে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
তবে নর্মদাকে চাইলে আলাদা করে ভারতের আরেক ঘটনার প্রতিভূ ভাবা যেতেই পারে। তিনি স্পেশাল ফোর্সের চিফ। একজন একা মা। শাহরুখের সাহায্যে বারবার ছুটে আসেন। একসময় শাহরুখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে শাহরুখের পরিচয় জানতে পারেন পরে। এরপর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের স্বার্থে শাহরুখের পিছু নেন। কিন্তু সব জানার পর নিজেই ভিড়ে যান তাঁদের দলে। নর্মদা একই সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর এবং কোমল হৃদয়ের নারী। নষ্ট ব্যবস্থার ভেতরে এক সৎ ও সাহসী নারী। হতে পারে সরকারের ‘ভুল পরিকল্পনার’ বলির কাষ্ঠে মাথা পাততে বাধ্য হওয়া নীরবে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী নর্মদার প্রতিভূ। এই নর্মদাদের বাঁচাতে আরেক ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’–এর ডাক দিয়ে গেল জওয়ান!
তবে কিছু চরিত্রের নানা খামতি অতটা চোখে পড়ে না চিত্রনাট্যের আঁটসাঁট বুননের গুণে। বরং পুরোটা সময় চোখ লেগে থাকবে দুই চরিত্রের শাহরুখের দিকে, যিনি ডার্ক নাইটের ব্যাটম্যানের মতো আবির্ভূত হয়েছেন ধ্বংসপ্রায় গোথাম শহরকে উদ্ধার করতে।
এক নজরে জওয়ান
অভিনয়: শাহরুখ খান, নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি প্রমুখ।
পরিচালনা: অ্যাটলি কুমার
মুক্তি: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রথম চার দিনে বিশ্বব্যাপী আয়: ৫০০ কোটি রুপির বেশি

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে