আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৯ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৯ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৯ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৯ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৯ ঘণ্টা আগে