‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমাতে জয় সিং রাঠোর চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু এরপরই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি, পরবর্তী আর কোনো সিনেমায় তেমন আলো কাড়তে পারেননি তিনি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের ‘বডি শেমিং’ এবং তা ঘিরে অবসাদ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ইমরান। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন ক্যারিয়ারে তাঁর সংগ্রামের কথা।
বলিউডের হিরোসুলভ চেহারা না থাকায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল ইমরানকে। এ নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ছোট থেকেই আমি ভীষণ রোগা ছিলাম। যা-ই খেতাম, হজম করে ফেলতাম। ১৮ বছরের কাছাকাছি সময় যখন আমার বয়সী ছেলেদের জিমে গিয়ে বাইসেপ বানাতে দেখতাম, তখনো আমি সবচেয়ে ছোট মাপের টিশার্ট পরে ঘুরেছি। এমনকি, সেই টিশার্টও আমার ঢিলে হত।’
‘আমার জীবনে প্রথম ছবি ‘জানে তু ইয়া জানে না’-তে জয় সিংহ রাঠোর চরিত্রটির জন্য আমার চেহারা ছিল একেবারে পারফেক্ট। তবে পরবর্তী ছবি ‘কিডন্যাপ’-এর জন্য আমাকে বডি ট্রেনিং শুরু করতে হয়।’ যোগ করেন ইমরান।
ইমরান মনে করেন, জানে তু ইয়া জানে না-র জয় সিং রাঠোরের চরিত্রে অভিনয় করতে সুঠাম দেহের দরকার ছিল না। তবুও সকলে তাঁকে চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল তিনি কতটা রোগা, সেই কারণে পুরো সিনেমাতে সব সময় দু-টো লেয়ারের পোশাক পরতে দেখা গেছে ইমরানকে।
সেসময় পরিচালকদের থেকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল ইমরানকে। বারবার বডি শেমিং-এর শিকার হয়েছেন তিনি। অভিনেতা জানান, পরবর্তী কয়েক বছরে নিজের শরীর গড়ে তোলার জন্যই সবচেয়ে বেশি মন দিয়েছিলেন তিনি। তবুও পরিচালকদের থেকে শুনতে হত, ‘শুটিং শুরুর আগে তুমি চেহারাটা একটু বাড়িয়ে নেবে তো? বড্ড দুর্বল দেখাচ্ছে’। কেউ লিখতেন, ‘তোমাকে তো বাচ্চাদের মতো লাগে, পুরুষ মনে হয় না’।
এর কারণেই ভুল পথে নিজের শরীরে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন ইমরান। স্টেরয়েড নিয়ে শরীর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইমরান লিখেছেন, ‘ভেতর থেকে মনে হতো আমাকে একদম পারফেক্ট দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আমি শক্তিশালী হতে চেয়েছিলাম, হিরোসুলভ চেহারা চেয়েছিলাম। তাই চেষ্টা বাড়িয়ে দিলাম। দিনে ৬ বার খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম, সারা দিনে ৪০০০ ক্যালরি। চিকেন ব্রেস্ট, ডিমের সাদা অংশ, রাঙালু, ওটস, ফ্লেক্স সিডসসহ সব প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে থাকলাম, কিন্তু তাও আমার বাইসেপ বাড়ছিল না।’ এরপর নানা ধরনের সাপ্লিমেন্ট ফুড খাওয়া শুরু করেন ইমরান, তাতেও কাজ না হলে ‘অ্যানাবলিক স্টেরয়েড’ নেন তিনি।
ইমরান যোগ করেন, ‘যদিও আমাদের শোবিজ জগতে ভুলেও এ কথা প্রকাশ্যে আনতে নেই। যে ইলিউশন রয়েছে (গ্ল্যামার জগতে ঘিরে) তা মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে’।
কয়েক বছর আগে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। ইমরান বলেন, ‘অবসাদের কারণে আমি শরীরচর্চা ছেড়ে দিই। তখন আমি আরও অনেক বেশি রোগা হয়ে যাই। সকলে আমাকে দেখে নানা রকম কথা বলতে শুরু করেন। বলা হয়, আমি নাকি মাদক নিতাম, তাই চেহারার এমন হাল হয়েছিল। এই সব মন্তব্য শুনে আমি ভীষণ লজ্জিত বোধ করতাম।’
এখন অবসাদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন ইমরান। আবার নতুন করে জিমে যাওয়া শুরু করেছেন তিনি। এখন হলুদ, আখরোটের মতো সাপ্লিমেন্ট খান অভিনেতা। ইমরানের কথায়, ‘এখন আমি বেশ ফিট। পুরোনো চেহারা মিস করি বটে তবে কোনও আক্ষেপ নেই।’
‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমাতে জয় সিং রাঠোর চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু এরপরই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি, পরবর্তী আর কোনো সিনেমায় তেমন আলো কাড়তে পারেননি তিনি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের ‘বডি শেমিং’ এবং তা ঘিরে অবসাদ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ইমরান। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন ক্যারিয়ারে তাঁর সংগ্রামের কথা।
বলিউডের হিরোসুলভ চেহারা না থাকায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল ইমরানকে। এ নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ছোট থেকেই আমি ভীষণ রোগা ছিলাম। যা-ই খেতাম, হজম করে ফেলতাম। ১৮ বছরের কাছাকাছি সময় যখন আমার বয়সী ছেলেদের জিমে গিয়ে বাইসেপ বানাতে দেখতাম, তখনো আমি সবচেয়ে ছোট মাপের টিশার্ট পরে ঘুরেছি। এমনকি, সেই টিশার্টও আমার ঢিলে হত।’
‘আমার জীবনে প্রথম ছবি ‘জানে তু ইয়া জানে না’-তে জয় সিংহ রাঠোর চরিত্রটির জন্য আমার চেহারা ছিল একেবারে পারফেক্ট। তবে পরবর্তী ছবি ‘কিডন্যাপ’-এর জন্য আমাকে বডি ট্রেনিং শুরু করতে হয়।’ যোগ করেন ইমরান।
ইমরান মনে করেন, জানে তু ইয়া জানে না-র জয় সিং রাঠোরের চরিত্রে অভিনয় করতে সুঠাম দেহের দরকার ছিল না। তবুও সকলে তাঁকে চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল তিনি কতটা রোগা, সেই কারণে পুরো সিনেমাতে সব সময় দু-টো লেয়ারের পোশাক পরতে দেখা গেছে ইমরানকে।
সেসময় পরিচালকদের থেকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল ইমরানকে। বারবার বডি শেমিং-এর শিকার হয়েছেন তিনি। অভিনেতা জানান, পরবর্তী কয়েক বছরে নিজের শরীর গড়ে তোলার জন্যই সবচেয়ে বেশি মন দিয়েছিলেন তিনি। তবুও পরিচালকদের থেকে শুনতে হত, ‘শুটিং শুরুর আগে তুমি চেহারাটা একটু বাড়িয়ে নেবে তো? বড্ড দুর্বল দেখাচ্ছে’। কেউ লিখতেন, ‘তোমাকে তো বাচ্চাদের মতো লাগে, পুরুষ মনে হয় না’।
এর কারণেই ভুল পথে নিজের শরীরে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন ইমরান। স্টেরয়েড নিয়ে শরীর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইমরান লিখেছেন, ‘ভেতর থেকে মনে হতো আমাকে একদম পারফেক্ট দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আমি শক্তিশালী হতে চেয়েছিলাম, হিরোসুলভ চেহারা চেয়েছিলাম। তাই চেষ্টা বাড়িয়ে দিলাম। দিনে ৬ বার খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম, সারা দিনে ৪০০০ ক্যালরি। চিকেন ব্রেস্ট, ডিমের সাদা অংশ, রাঙালু, ওটস, ফ্লেক্স সিডসসহ সব প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে থাকলাম, কিন্তু তাও আমার বাইসেপ বাড়ছিল না।’ এরপর নানা ধরনের সাপ্লিমেন্ট ফুড খাওয়া শুরু করেন ইমরান, তাতেও কাজ না হলে ‘অ্যানাবলিক স্টেরয়েড’ নেন তিনি।
ইমরান যোগ করেন, ‘যদিও আমাদের শোবিজ জগতে ভুলেও এ কথা প্রকাশ্যে আনতে নেই। যে ইলিউশন রয়েছে (গ্ল্যামার জগতে ঘিরে) তা মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে’।
কয়েক বছর আগে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। ইমরান বলেন, ‘অবসাদের কারণে আমি শরীরচর্চা ছেড়ে দিই। তখন আমি আরও অনেক বেশি রোগা হয়ে যাই। সকলে আমাকে দেখে নানা রকম কথা বলতে শুরু করেন। বলা হয়, আমি নাকি মাদক নিতাম, তাই চেহারার এমন হাল হয়েছিল। এই সব মন্তব্য শুনে আমি ভীষণ লজ্জিত বোধ করতাম।’
এখন অবসাদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন ইমরান। আবার নতুন করে জিমে যাওয়া শুরু করেছেন তিনি। এখন হলুদ, আখরোটের মতো সাপ্লিমেন্ট খান অভিনেতা। ইমরানের কথায়, ‘এখন আমি বেশ ফিট। পুরোনো চেহারা মিস করি বটে তবে কোনও আক্ষেপ নেই।’
১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু নেমেসিস ব্যান্ডের। প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০০৫ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ব্যান্ডের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘অন্বেষণ’। এরপর ২০১১ ও ২০১৭ সালে আসে ‘তৃতীয় যাত্রা’ ও ‘গণজোয়ার’ নামের আরও দুটি স্টুডিও অ্যালবাম। প্রতিটি অ্যালবামে ছিল ৬ বছরের গ্যাপ। তবে চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশ করতে আরও বেশি সময়
১১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার পর গত বছর মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সন্ধিক্ষণ’ নাটক দিয়ে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন মালাইকা চৌধুরী। সম্পর্কে তিনি মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন। নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়ে বোন মালাইকাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন মেহজাবীন। অভিনয়ের প্রথম প্রশিক্ষণও বড় বোনের কাছেই পেয়েছেন মালাইকা।
১১ ঘণ্টা আগে৫ মে শুরু হয়েছে তারকাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ বা সিসিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে ফাইনালে উঠেছে গিগাবাইট টাইটানস ও স্বপ্নধরা স্পারটান্স। দল দুটির মেন্টর হিসেবে আছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
১১ ঘণ্টা আগেসিনেমার কোনো সীমান্ত নেই, সিনেমা মানে না কাঁটাতারের বিধিনিষেধ—প্রতিবছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচালক, প্রযোজক, সেলস এজেন্ট ও সাংবাদিকেরা হাজির হন ‘বড় পর্দার অলিম্পিক’খ্যাত এ উৎসবে। নির্মাতারা আসেন তাঁদের সিনেমা দেখাতে। সেসব বিক্রির প্রক্রিয়া
১১ ঘণ্টা আগে