Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চায় আটকে আছে মঞ্চনাটক

মোহাম্মদ বারী। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যদল অনুস্বর। আজ দলটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ মঞ্চে আসছে দলের নতুন প্রযোজনা ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে অনুস্বর সংলাপ অনুষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনুস্বরের দলপ্রধান অভিনেতা ও নির্দেশক মোহাম্মদ বারীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 

আজ অনুস্বর নাট্যদলের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কী থাকছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে?

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন। এবার থাকছেন নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক অসীম দাশ। সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা ৭টায়। এ ছাড়া বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকটির প্রদর্শনী হবে আজ ২৫ জুলাই অনুস্বরের নিজস্ব স্টুডিওতে। বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোট দুটি প্রদর্শনী হবে।

বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?

বর্তমান বিশ্বের যুদ্ধাবস্থা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আজ আমাদের সামনে উপস্থিত, যার উত্তর দিতে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ কুণ্ঠিত, ভয়ার্ত, লজ্জিত। যুদ্ধ প্রতিনিয়ত এমন সব বীভৎস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যেখানে জ্ঞান অনেকটাই অসার, নৈতিকতা ক্লান্ত আর মানবতা পরাজিত। এই পরিস্থিতি আজ গোটা মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ রকম বিভ্রান্তিময় সময়ের পাকচক্রে গভীর রাতে এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় হাজির হয় শয়তান। এ নাটক বর্তমান বিভ্রান্তকালের এক কল্পিত রাতের গল্প। লিখেছেন সাইফ সুমন। পরে আমি কিছু জায়গায় সংযোজন করেছি। তাই নাট্যকার হিসেবে আমাদের দুজনের নাম রয়েছে। নির্দেশনা দিয়েছি আমি। অভিনয় করেছেন সাইফ সুমন, মিতু, মাজেদুল মিঠু, নুরুজ্জামান সরকার ও রিমা।

এমন বিষয় বেছে নেওয়ার কারণ কী?

এটা মূলত স্যাটায়ার নাটক। তৌফিক আল হাকিমের মিসরীয় একটি নাটক এবং খলিল আল জিবরানের দুটি গল্পের নির্যাস থেকে রচিত হয়েছে। এটি বেছে নেওয়ার কারণ, যুদ্ধের ডামাডোল পৃথিবীজুড়েই চলছে। যুদ্ধ আসলে কাদের কারণে হয়, কেন হয়, কী কারণে হয়—সে বিষয়গুলো ব্যঙ্গাত্মক জায়গা থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় আমরা মনে করি, শান্তির জন্য যুদ্ধ হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল শান্তির জন্য। যুদ্ধের বিপরীতে আরেকটা জায়গা থাকে। এর সঙ্গে রক্তপাতের সম্পর্ক আছে, অমানবিকতার সম্পর্ক আছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে শান্তির চেয়ে মানবতার বন্দিত্বের ঘটনা বেশি ঘটে। মানুষের মুক্তির চেয়ে অন্য গোষ্ঠীকে বন্দী করার একটা কায়দা। যুগে যুগে দেখা গেছে যুদ্ধের পেছনে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য। ফলে মানুষের বেঁচে থাকার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা আরও ভয়াবহভাবে নিস্পৃহ হয়।

অনুস্বরের ছয় বছর পূর্ণ হলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দল গড়েছিলেন, তার কতখানি পূরণ হয়েছে বলে করেন?

প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের যথেষ্ট কর্মকাণ্ড ছিল। বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান আমাদের দ্বাদশ প্রযোজনা। এত কম সময়ে ১২টি নাটক করার অভিজ্ঞতা কম দলেরই আছে। আমাদের কাজ বলে দেয় দল হিসেবে আমরা কতটা সক্রিয়। অনুস্বরের সদস্যদের জীবনী শক্তি হলো কর্মচাঞ্চল্য। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি শুরু থেকে। নাটকের বাইরে আমরা সংলাপের আয়োজন করি বিভিন্ন সময়। ভারতেও আমরা নাটক করেছি। সব মিলিয়ে ৬ বছরে আমরা যে কর্মমুখর সময় পার করেছি, তাতে ব্যক্তিগত ও দলপ্রধান হিসেবে আমি আনন্দিত।

নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোকে নির্ভর করতে হয় শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির ওপর। কিন্তু আপনাদের নিজস্ব স্টুডিও আছে। এই ভাবনটা কী করে এল?

আমাদের যেহেতু রিহার্সালের জায়গা প্রয়োজন, তাই সেই জায়গাতেই যদি প্রদর্শনীর জায়গা করা যায়, তাহলে নিয়মিত কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি করা যাবে। সেই ভাবনা থেকেই অনুস্বর স্টুডিও। অল্প আসন হলেও দর্শকদের নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজন করা যাচ্ছে। এখানে আমরা কম দৈর্ঘ্যের নাটকগুলো করছি এবং সফল হয়েছি। এতে দর্শক যেমন ভিন্ন স্বাদের নাটক পাচ্ছেন, আমরাও হলের জন্য কারও ওপর নির্ভরশীল থাকছি না। দলের সদস্যদের নিয়মিত চর্চার একটা ব্যবস্থাও হয়েছে। অনেক দলেরই নিজস্ব জায়গা আছে। যেখানে তারা রিহার্সাল করে। তারাও চাইলে এমনটা করতে পারে। অনেকেই এখন করছে। যেমন প্রাচ্যনাট, আরণ্যক তাদের ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামগুলো করছে।

আমাদের দেশে মঞ্চনাটকের যাত্রাটা দীর্ঘ সময়ের। গুণী অনেক শিল্পী উঠে এসেছেন মঞ্চ থেকে। কিন্তু এত বছরেও মঞ্চে কেন পেশাদারত্ব তৈরি হলো না?

একটা প্রজন্ম বিশেষ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নব নাট্য আন্দোলন শুরু করেছিল। মানুষকে নতুনভাবে থিয়েটারের রস খুঁজে পাওয়ার পথ তৈরি করেছিল। তাদের আমি ধন্যবাদ দিই। কিন্তু পেশাদারত্ব তৈরির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের ছিল না। এটা হতেই পারে। কারণ তারা মাত্র শুরু করেছিল। একসময় নানা পেশায় জড়িয়ে গেছে। এ কারণেই তারা সন্ধ্যাকালীন থিয়েটার করেছে। কিন্তু থিয়েটারকে আশ্রয় করে একটা পেশার জায়গা তৈরি হতে পারে, সেটি ভাবেনি। তাদের উদ্দেশ্যহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই থিয়েটার পেশাদারত্বের জায়গায় পৌঁছায়নি। যথাযথ চেষ্টা করলে হয়তো পেশাদারত্বের জায়গায় যাওয়া যেত। কিন্তু সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চার মধ্যে আটকে রাখা হলো মঞ্চনাটককে। নিজস্ব পেশার বাইরে শিল্পচর্চার রস পেতে সন্ধ্যার সময়টা কাটানোর জন্য থিয়েটারকে বেছে নেওয়া হলো।

পেশাদারত্ব তৈরি করতে কী করা উচিত বলে মনে করেন?

এর জন্য যে অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, স্পনসরশিপের প্রয়োজন, সেটা আমাদের নেই। একচ্ছত্রভাবে কাউকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। এই ক্ষেত্রটাই বিকশিত হয়নি। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে তা করবে কিসের আশায়। সেই প্রাপ্তির জায়গা তৈরি করতে হবে। অনেকেই চেষ্টা করছেন। তবে সময় লাগবে। আরও একটি আন্দোলন লাগবে পেশাদারত্ব সৃষ্টি করতে। সেটা হয়তো শুরু হয়েছে। যেমন সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রজেক্টভিত্তিক অনেক কাজ করছেন। অনেক ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়ে শো করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা অন্যদেরও পথ দেখাচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওটিটিতে জয়া আহসানের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। দর্শকের জন্য সহজবোধ্য করতে গল্পের প্রেক্ষাপটকাল এগিয়ে এনেছেন নির্মাতা। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগ থেকে চল্লিশের দশকের শুরুর দিকের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে গল্প। মূল উপন্যাসে সময়টা ছিল আরও পেছনের। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শশী ও কুমুদের চরিত্রে থাকছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’র পর পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে আবীর-জয়ার পর্দার রসায়ন। এবার তাঁদের অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রি দেখা যাবে ঘরে বসে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শকও সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।

jaya-2

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পেলে তিনি খুব খুশি হবেন। ওটিটিতে মুক্তির মধ্য দিয়ে জয়ার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সে সময় জয়া বলেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি ওপরের দিকেই থাকবে। এটি নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। খুব খুশি হব যদি এই সিনেমাটি আমার বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পায়। সিনেমাটি ভারতীয় একজন নির্মাণ করলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশেরও। এ দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া তাঁর গায়ে লেগেছে। বাংলাদেশের যে সকল দর্শক সাহিত্যনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য দেখবার মতো একটি সিনেমা পুতুলনাচের ইতিকথা।’

এদিকে ২ নভেম্বর দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির নির্মাতা ইরানের মুর্তজা অতাশ জমজম। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এ সিনেমায় দেখা যাবে ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফেরেশতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারকের আসনে ফেরদৌস ওয়াহিদ, লিজা ও লুইপা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল থেকে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। দেখা যাবে প্রতি শনি ও বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগী আবেদন করে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার প্রতিযোগীকে বাছাই করেন বিচারকেরা। তাঁদের বিচার-বিশ্লেষণে ১৫০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় স্টুডিও রাউন্ডের জন্য। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বরের পরবর্তী বাছাই পর্ব। এসব রাউন্ডে থাকবে ফোক, রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীত, মডার্ন সং ও ব্যান্ড রাউন্ড।

আরজু আহমেদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ব্যবস্থাপনায় থাকবেন অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব। টিভি পর্দার পাশাপাশি আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর দেখা যাবে আরটিভির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুটোপিয়ার অদ্ভুত রাজ্যে শ্রদ্ধা কাপুর

বিনোদন ডেস্ক
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত

অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই। ‘জুটোপিয়া ২’-এর হিন্দি সংস্করণে জুডি হপস চরিত্রে শোনা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরের কণ্ঠ।

গতকাল মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রদ্ধা। এ চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পেরে কতটা উচ্ছ্বসিত তিনি, জানান সে কথা। শ্রদ্ধা কাপুর বলেন, ‘হিন্দিতে জুডি হপস চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে জুটোপিয়া ২-তে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যরাও কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

জুটোপিয়া ২-তে শ্রদ্ধার যুক্ত হওয়ার খবর জানাতে একটি বিশেষ ট্রেলার বানিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। দুই মিনিটের ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে চরিত্র অনুযায়ী পোশাক খুঁজছেন শ্রদ্ধা। জুডি হপসের পোশাক পেয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। শুটিং শুরু হতেই খবর আসে, একটি আংটি হারিয়ে গেছে। জুডি হপসের মতো করে তদন্ত শুরু করে শ্রদ্ধা। আংটি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আসে জুটোপিয়া ২-এর কিছু ঝলক। ভয়েসওভারে শোনা যায় শ্রদ্ধার কণ্ঠ। জুডি হপসের ভঙ্গিতেই সিনেমাটির বর্ণনা দিতে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জুটোপিয়ার সিকুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬ নভেম্বর। আর ভারতে দেখা যাবে ২৮ নভেম্বর থেকে।

জুটোপিয়ার প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে জুটোপিয়া নামের এক অদ্ভুত রাজ্যের গল্প। জুটোপিয়া জীবজন্তুদের শহর। সব প্রাণী একসঙ্গে বসবাস করে। জুডি হপস নামের এক খরগোশের ইচ্ছা পুলিশ অফিসার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে প্রথম খরগোশ হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি পায় জুডি। কিন্তু চাকরির কিছুদিন না যেতেই শহরে ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জুডিও দমবার পাত্র নয়। কোমর বেঁধে লেগে পড়ে রহস্য উদ্‌ঘাটনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া। এবারের উৎসবে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বগুড়া উৎসবে শর্টফিল্ম, ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেটেড ফিল্ম ও ওপেন ডোর শর্ট—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সিনেমা জমা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই সেরা নির্বাচন করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ।

প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচনের জন্য থাকছে ভিন্ন জুরিবোর্ড। বোর্ডে থাকছেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা, ফিল্ম স্কলার ও কিউরেটররা। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, অন্তু আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফার শেখ রাজিবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ আনাস্কিন সার্জে, নির্মাতা আলেক্সান্ডার মোরোও, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি, ইরানের নির্মাতা মারিয়ম ঘাসেমি, নেপাল কালচারাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সন্তোষ সুবেদী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত