
কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার জন্য অনুদান পেয়েছে সৈয়দ জামিল আহমেদের দল স্পর্ধা, যা সাধারণত দেশের অন্য নাট্যদলগুলো পায় না। এই সূত্র ধরে তিনি দাবি করেছেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ঘনিষ্ঠজন এবং একচেটিয়া সুবিধাভোগী। তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে নাট্যশিল্পীরা নানা মন্তব্য করছেন, আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্পর্ধা নাট্যদল প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দেয় ফেসবুকে, জানায় অনুদানপ্রাপ্ত প্রযোজনাগুলো নিয়েও।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটক করার সময় সৈয়দ জামিল আহমেদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং লিয়াকত আলী লাকীর সহযোগিতায় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষ ও হল ব্যবহার করেন প্রায় এক মাস বিনা ভাড়ায়। ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’ নাটক করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ নাটক করার সময় মন্ত্রণালয় থেকে নেন ১২ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম আরও লিখেছেন, ‘সৈয়দ জামিল আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিগত ১৫ বছরে শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যে বিপুল পরিমাণ সুবিধা নিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো নাট্যদল বা কোনো নাট্যজন তার শতভাগের এক ভাগও কখনো নেয়নি।’
সেলিমের এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পর্ধা নাট্যদল। তারা জানিয়েছে, মাহমুদুল ইসলাম সেলিমের এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্পর্ধা প্রযোজিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করা নাটকের বিষয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন। স্পর্ধা বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তারা সমাজে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, তার কারণে এই অনুদান পাওয়া এই দলের অধিকার এবং স্পর্ধা সব সময়ই প্রযোজনা শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে স্পর্ধার মুখপাত্র তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এই অসাধু ব্যক্তি (মাহমুদুল ইসলাম সেলিম) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্লজ্জভাবে স্পর্ধার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গবেষণা ও নাট্যনির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। প্রফেসর সৈয়দ জামিল আহমেদ স্পর্ধার সাংগঠনিক ও আর্টিস্টিক কাজের জন্য গত ৬ বছরে একটি টাকাও নেননি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত টাকা অনেকবার ঋণ করেছে স্পর্ধা। তিনি (সেলিম) এই বানোয়াট মিথ্যাচারে স্পর্ধার যে মানহানি করেছেন, তার জবাবদিহি করতে হবে।’ শুধু তা-ই নয়, এই পোস্টের প্রতিবাদ না জানিয়ে যাঁরা সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তানভীর। সেই সঙ্গে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে থিয়েটারের ভাষায় কাজ করে চলা তারুণ্য ও তাঁদের আত্মনিবেদিত কাজকে হেয় করায় নিন্দা জানিয়েছেন তানভীর।
স্পর্ধার প্রযোজনাগুলোর অর্থপ্রাপ্তি ও ব্যয়ের যে হিসাব সেলিম দিয়েছেন, সেই হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ নির্দেশিত স্পর্ধা ও নাটবাংলা প্রযোজিত তিনটি নাটকের হিসাব দিয়েছেন তানভীর। তিনি জানিয়েছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটকের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা নাটবাংলাকে বরাদ্দ দেয়। ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। মোট ব্যয় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। অনুদান ও টিকিট থেকে আয় করা টাকা সব অভিনেতা ও কলাকুশলীর সম্মানী প্রদানের পর উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা রাষ্ট্রকে ফেরত দেওয়া হয়, যা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বন্যার্তদের তহবিলে দান করে।

‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার’ জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা দেয় ২০১৯ সালে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিয়ে দলের জন্য ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। এই নাটকে ব্যয় হয় ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৬ টাকা। কিন্তু আওয়ামীপন্থী কিছু নাট্যকর্মীর বাধার কারণে ঠিকভাবে প্রদর্শনী করতে না পারায় দল ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কয়েক লাখ টাকা ধার করে অভিনেতাদের বিল পরিশোধ করতে হয়।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটক শিল্পকলার সহযোগিতা পায় ৫ লাখ টাকার। নাটকের কলাকুশলীর সম্মানী বাবদ এই টাকা খরচ হয়। কলাকুশলীর সম্মানীসহ নাটকে ব্যয় হয় ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা। স্পর্ধা আয়োজিত বাহাস অনুষ্ঠানে এই সব হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে দলটি।
তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করায় সৈয়দ জামিল আহমেদ আগামী দুই বছরের জন্য স্পর্ধার কর্মকাণ্ড থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই তাঁকে ছাড়াই দলটি তাদের ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ প্রযোজনা নিয়ে মঞ্চে আসছে এই মাসেই।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার জন্য অনুদান পেয়েছে সৈয়দ জামিল আহমেদের দল স্পর্ধা, যা সাধারণত দেশের অন্য নাট্যদলগুলো পায় না। এই সূত্র ধরে তিনি দাবি করেছেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ঘনিষ্ঠজন এবং একচেটিয়া সুবিধাভোগী। তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে নাট্যশিল্পীরা নানা মন্তব্য করছেন, আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্পর্ধা নাট্যদল প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দেয় ফেসবুকে, জানায় অনুদানপ্রাপ্ত প্রযোজনাগুলো নিয়েও।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটক করার সময় সৈয়দ জামিল আহমেদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং লিয়াকত আলী লাকীর সহযোগিতায় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষ ও হল ব্যবহার করেন প্রায় এক মাস বিনা ভাড়ায়। ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’ নাটক করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ নাটক করার সময় মন্ত্রণালয় থেকে নেন ১২ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম আরও লিখেছেন, ‘সৈয়দ জামিল আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিগত ১৫ বছরে শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যে বিপুল পরিমাণ সুবিধা নিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো নাট্যদল বা কোনো নাট্যজন তার শতভাগের এক ভাগও কখনো নেয়নি।’
সেলিমের এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পর্ধা নাট্যদল। তারা জানিয়েছে, মাহমুদুল ইসলাম সেলিমের এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্পর্ধা প্রযোজিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করা নাটকের বিষয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন। স্পর্ধা বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তারা সমাজে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, তার কারণে এই অনুদান পাওয়া এই দলের অধিকার এবং স্পর্ধা সব সময়ই প্রযোজনা শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে স্পর্ধার মুখপাত্র তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এই অসাধু ব্যক্তি (মাহমুদুল ইসলাম সেলিম) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্লজ্জভাবে স্পর্ধার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গবেষণা ও নাট্যনির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। প্রফেসর সৈয়দ জামিল আহমেদ স্পর্ধার সাংগঠনিক ও আর্টিস্টিক কাজের জন্য গত ৬ বছরে একটি টাকাও নেননি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত টাকা অনেকবার ঋণ করেছে স্পর্ধা। তিনি (সেলিম) এই বানোয়াট মিথ্যাচারে স্পর্ধার যে মানহানি করেছেন, তার জবাবদিহি করতে হবে।’ শুধু তা-ই নয়, এই পোস্টের প্রতিবাদ না জানিয়ে যাঁরা সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তানভীর। সেই সঙ্গে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে থিয়েটারের ভাষায় কাজ করে চলা তারুণ্য ও তাঁদের আত্মনিবেদিত কাজকে হেয় করায় নিন্দা জানিয়েছেন তানভীর।
স্পর্ধার প্রযোজনাগুলোর অর্থপ্রাপ্তি ও ব্যয়ের যে হিসাব সেলিম দিয়েছেন, সেই হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ নির্দেশিত স্পর্ধা ও নাটবাংলা প্রযোজিত তিনটি নাটকের হিসাব দিয়েছেন তানভীর। তিনি জানিয়েছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটকের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা নাটবাংলাকে বরাদ্দ দেয়। ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। মোট ব্যয় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। অনুদান ও টিকিট থেকে আয় করা টাকা সব অভিনেতা ও কলাকুশলীর সম্মানী প্রদানের পর উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা রাষ্ট্রকে ফেরত দেওয়া হয়, যা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বন্যার্তদের তহবিলে দান করে।

‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার’ জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা দেয় ২০১৯ সালে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিয়ে দলের জন্য ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। এই নাটকে ব্যয় হয় ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৬ টাকা। কিন্তু আওয়ামীপন্থী কিছু নাট্যকর্মীর বাধার কারণে ঠিকভাবে প্রদর্শনী করতে না পারায় দল ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কয়েক লাখ টাকা ধার করে অভিনেতাদের বিল পরিশোধ করতে হয়।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটক শিল্পকলার সহযোগিতা পায় ৫ লাখ টাকার। নাটকের কলাকুশলীর সম্মানী বাবদ এই টাকা খরচ হয়। কলাকুশলীর সম্মানীসহ নাটকে ব্যয় হয় ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা। স্পর্ধা আয়োজিত বাহাস অনুষ্ঠানে এই সব হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে দলটি।
তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করায় সৈয়দ জামিল আহমেদ আগামী দুই বছরের জন্য স্পর্ধার কর্মকাণ্ড থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই তাঁকে ছাড়াই দলটি তাদের ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ প্রযোজনা নিয়ে মঞ্চে আসছে এই মাসেই।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার জন্য অনুদান পেয়েছে সৈয়দ জামিল আহমেদের দল স্পর্ধা, যা সাধারণত দেশের অন্য নাট্যদলগুলো পায় না। এই সূত্র ধরে তিনি দাবি করেছেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ঘনিষ্ঠজন এবং একচেটিয়া সুবিধাভোগী। তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে নাট্যশিল্পীরা নানা মন্তব্য করছেন, আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্পর্ধা নাট্যদল প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দেয় ফেসবুকে, জানায় অনুদানপ্রাপ্ত প্রযোজনাগুলো নিয়েও।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটক করার সময় সৈয়দ জামিল আহমেদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং লিয়াকত আলী লাকীর সহযোগিতায় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষ ও হল ব্যবহার করেন প্রায় এক মাস বিনা ভাড়ায়। ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’ নাটক করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ নাটক করার সময় মন্ত্রণালয় থেকে নেন ১২ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম আরও লিখেছেন, ‘সৈয়দ জামিল আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিগত ১৫ বছরে শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যে বিপুল পরিমাণ সুবিধা নিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো নাট্যদল বা কোনো নাট্যজন তার শতভাগের এক ভাগও কখনো নেয়নি।’
সেলিমের এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পর্ধা নাট্যদল। তারা জানিয়েছে, মাহমুদুল ইসলাম সেলিমের এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্পর্ধা প্রযোজিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করা নাটকের বিষয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন। স্পর্ধা বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তারা সমাজে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, তার কারণে এই অনুদান পাওয়া এই দলের অধিকার এবং স্পর্ধা সব সময়ই প্রযোজনা শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে স্পর্ধার মুখপাত্র তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এই অসাধু ব্যক্তি (মাহমুদুল ইসলাম সেলিম) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্লজ্জভাবে স্পর্ধার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গবেষণা ও নাট্যনির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। প্রফেসর সৈয়দ জামিল আহমেদ স্পর্ধার সাংগঠনিক ও আর্টিস্টিক কাজের জন্য গত ৬ বছরে একটি টাকাও নেননি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত টাকা অনেকবার ঋণ করেছে স্পর্ধা। তিনি (সেলিম) এই বানোয়াট মিথ্যাচারে স্পর্ধার যে মানহানি করেছেন, তার জবাবদিহি করতে হবে।’ শুধু তা-ই নয়, এই পোস্টের প্রতিবাদ না জানিয়ে যাঁরা সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তানভীর। সেই সঙ্গে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে থিয়েটারের ভাষায় কাজ করে চলা তারুণ্য ও তাঁদের আত্মনিবেদিত কাজকে হেয় করায় নিন্দা জানিয়েছেন তানভীর।
স্পর্ধার প্রযোজনাগুলোর অর্থপ্রাপ্তি ও ব্যয়ের যে হিসাব সেলিম দিয়েছেন, সেই হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ নির্দেশিত স্পর্ধা ও নাটবাংলা প্রযোজিত তিনটি নাটকের হিসাব দিয়েছেন তানভীর। তিনি জানিয়েছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটকের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা নাটবাংলাকে বরাদ্দ দেয়। ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। মোট ব্যয় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। অনুদান ও টিকিট থেকে আয় করা টাকা সব অভিনেতা ও কলাকুশলীর সম্মানী প্রদানের পর উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা রাষ্ট্রকে ফেরত দেওয়া হয়, যা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বন্যার্তদের তহবিলে দান করে।

‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার’ জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা দেয় ২০১৯ সালে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিয়ে দলের জন্য ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। এই নাটকে ব্যয় হয় ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৬ টাকা। কিন্তু আওয়ামীপন্থী কিছু নাট্যকর্মীর বাধার কারণে ঠিকভাবে প্রদর্শনী করতে না পারায় দল ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কয়েক লাখ টাকা ধার করে অভিনেতাদের বিল পরিশোধ করতে হয়।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটক শিল্পকলার সহযোগিতা পায় ৫ লাখ টাকার। নাটকের কলাকুশলীর সম্মানী বাবদ এই টাকা খরচ হয়। কলাকুশলীর সম্মানীসহ নাটকে ব্যয় হয় ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা। স্পর্ধা আয়োজিত বাহাস অনুষ্ঠানে এই সব হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে দলটি।
তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করায় সৈয়দ জামিল আহমেদ আগামী দুই বছরের জন্য স্পর্ধার কর্মকাণ্ড থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই তাঁকে ছাড়াই দলটি তাদের ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ প্রযোজনা নিয়ে মঞ্চে আসছে এই মাসেই।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার জন্য অনুদান পেয়েছে সৈয়দ জামিল আহমেদের দল স্পর্ধা, যা সাধারণত দেশের অন্য নাট্যদলগুলো পায় না। এই সূত্র ধরে তিনি দাবি করেছেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ঘনিষ্ঠজন এবং একচেটিয়া সুবিধাভোগী। তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে নাট্যশিল্পীরা নানা মন্তব্য করছেন, আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্পর্ধা নাট্যদল প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দেয় ফেসবুকে, জানায় অনুদানপ্রাপ্ত প্রযোজনাগুলো নিয়েও।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটক করার সময় সৈয়দ জামিল আহমেদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং লিয়াকত আলী লাকীর সহযোগিতায় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষ ও হল ব্যবহার করেন প্রায় এক মাস বিনা ভাড়ায়। ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’ নাটক করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান নেন ১৫ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ নাটক করার সময় মন্ত্রণালয় থেকে নেন ১২ লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
মাহমুদুল ইসলাম সেলিম আরও লিখেছেন, ‘সৈয়দ জামিল আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিগত ১৫ বছরে শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যে বিপুল পরিমাণ সুবিধা নিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো নাট্যদল বা কোনো নাট্যজন তার শতভাগের এক ভাগও কখনো নেয়নি।’
সেলিমের এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পর্ধা নাট্যদল। তারা জানিয়েছে, মাহমুদুল ইসলাম সেলিমের এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্পর্ধা প্রযোজিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করা নাটকের বিষয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন। স্পর্ধা বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তারা সমাজে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, তার কারণে এই অনুদান পাওয়া এই দলের অধিকার এবং স্পর্ধা সব সময়ই প্রযোজনা শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে স্পর্ধার মুখপাত্র তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এই অসাধু ব্যক্তি (মাহমুদুল ইসলাম সেলিম) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্লজ্জভাবে স্পর্ধার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গবেষণা ও নাট্যনির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। প্রফেসর সৈয়দ জামিল আহমেদ স্পর্ধার সাংগঠনিক ও আর্টিস্টিক কাজের জন্য গত ৬ বছরে একটি টাকাও নেননি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত টাকা অনেকবার ঋণ করেছে স্পর্ধা। তিনি (সেলিম) এই বানোয়াট মিথ্যাচারে স্পর্ধার যে মানহানি করেছেন, তার জবাবদিহি করতে হবে।’ শুধু তা-ই নয়, এই পোস্টের প্রতিবাদ না জানিয়ে যাঁরা সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তানভীর। সেই সঙ্গে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে থিয়েটারের ভাষায় কাজ করে চলা তারুণ্য ও তাঁদের আত্মনিবেদিত কাজকে হেয় করায় নিন্দা জানিয়েছেন তানভীর।
স্পর্ধার প্রযোজনাগুলোর অর্থপ্রাপ্তি ও ব্যয়ের যে হিসাব সেলিম দিয়েছেন, সেই হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ নির্দেশিত স্পর্ধা ও নাটবাংলা প্রযোজিত তিনটি নাটকের হিসাব দিয়েছেন তানভীর। তিনি জানিয়েছেন, ‘রিজওয়ান’ নাটকের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা নাটবাংলাকে বরাদ্দ দেয়। ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। মোট ব্যয় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। অনুদান ও টিকিট থেকে আয় করা টাকা সব অভিনেতা ও কলাকুশলীর সম্মানী প্রদানের পর উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা রাষ্ট্রকে ফেরত দেওয়া হয়, যা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বন্যার্তদের তহবিলে দান করে।

‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার’ জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা দেয় ২০১৯ সালে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিয়ে দলের জন্য ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। এই নাটকে ব্যয় হয় ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৬ টাকা। কিন্তু আওয়ামীপন্থী কিছু নাট্যকর্মীর বাধার কারণে ঠিকভাবে প্রদর্শনী করতে না পারায় দল ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কয়েক লাখ টাকা ধার করে অভিনেতাদের বিল পরিশোধ করতে হয়।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটক শিল্পকলার সহযোগিতা পায় ৫ লাখ টাকার। নাটকের কলাকুশলীর সম্মানী বাবদ এই টাকা খরচ হয়। কলাকুশলীর সম্মানীসহ নাটকে ব্যয় হয় ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা। স্পর্ধা আয়োজিত বাহাস অনুষ্ঠানে এই সব হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে দলটি।
তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করায় সৈয়দ জামিল আহমেদ আগামী দুই বছরের জন্য স্পর্ধার কর্মকাণ্ড থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই তাঁকে ছাড়াই দলটি তাদের ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ প্রযোজনা নিয়ে মঞ্চে আসছে এই মাসেই।

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১ দিন আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১ দিন আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১ দিন আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১ দিন আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১ দিন আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১ দিন আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

কানাডাপ্রবাসী নাগরিক নাট্যদলের নাট্যশিল্পী মাহমুদুল ইসলাম সেলিম ২৯ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও তাঁর নাটকের দল স্পর্ধার বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রযোজনার...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১ দিন আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১ দিন আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১ দিন আগে