মো. গোলাম রব্বানী ও আসহাব লাবিব, চুয়েট
পড়াশোনা করতে করতে অর্থ উপার্জন বিষয়টা এখন বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা ছাড়াও বিভিন্ন কাজ করে নিজেদের অর্থ নিজেরাই উপার্জন করছেন এখন। যত দিন যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের, এই আয়ের খাত হয়ে উঠছে বৈচিত্র্যময়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনেকেই হাঁটছেন এ পথে।
গ্যাজেট বিক্রি শুরু
বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। ফলে গ্যাজেটের ব্যবহার এখন বেড়েছে প্রচুর। ক্রমবর্ধমান ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে বছরখানেক আগে ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট বিক্রি শুরু করেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইকরাম হোসেন তামিম। ‘চুয়েট গ্যাজেট কর্নার’ নামে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তিনি তাঁর পণ্যের প্রচারণা চালান। হেডফোন, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, ল্যাপটপ চার্জার, ঘড়ি, ট্রিমারসহ হরেক রকমের ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রি করেন তামিম।
তামিমের ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনমতো গ্যাজেট কেনার অর্ডার করেন। তামিম জানান, তিনি তাঁর ঢাকানিবাসী এক বন্ধুকে দেখে অনুপ্রাণিত হন এবং কাজ শুরু করেন। চুয়েটের আশপাশে যেহেতু এসব পণ্য পাওয়া যায় না, সে অভাব দূর করতে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে ‘চুয়েট প্রতিনিধি’ নিয়োগ করার পাশাপাশি দেশব্যাপী এসব পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা আছে তামিমের।
নিজের শখ-ই হয়েছে আয়ের উৎস
রেজিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ও বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করাকে বলা হয় ক্রাফটিং। এই ক্রাফটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য তৈরি করে বিক্রি করেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম। ‘হুইমসি ক্রাফট’ নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন গয়না, যেমন চুড়ি, পেনডেন্ট মালা, কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট, চাবির রিংসহ ডায়েরি, গ্লাস পেইন্টিং ইত্যাদি বিক্রি করেন সাদিয়া। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ক্রাফট পছন্দ তাঁর। অবসরে শখের বশে অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করতেন সাদিয়া। তাঁর কাজ দেখে অনেকেই ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেগুলো বিক্রির পরামর্শ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বন্ধুবান্ধবদের অনুপ্রেরণায় তিনি শুরু করেন গয়না বানানো। ক্রেতারা ফুল ও রেজিনের সমন্বয়ে তৈরি গয়না বেশি পছন্দ করেন বলে জানান সাদিয়া।
সুলভ মূল্যে বই বিক্রি
চুয়েটের তৃতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থী প্রান্ত হাসান, সাকিব খান ও সাইদুর রহমান রিপন। তিনজন মিলে চালু করেন বুক উইন্ড নামক অনলাইন বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম। বুক উইন্ড মূলত শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক এবং সৃজন ও মননশীল উভয় ধরনের বই সুলভ মূল্যে বিক্রি করে। শিক্ষার্থীরা কোনো বই কিনতে চাইলে অনলাইনে সহজেই অর্ডার করেন। নির্দিষ্ট সময় সে বইগুলো পৌঁছে যায় তাঁদের কাছে।
বুক উইন্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ আপাতত নগণ্য হলেও ধীরে ধীরে এই আইডিয়াকে বড় করতে চান প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। প্ল্যাটফর্মটির সহ-উদ্যোক্তা সাকিব খান বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীদের বই কেনার ভোগান্তির অবসান হোক। চুয়েটের বাইরে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা, তুলনামূলক কম দামে।’ Zগ্যাজেট থেকে রেজিনের গয়না কিংবা বই বিক্রির পাশাপাশি চুয়েটের প্রায় ত্রিশের বেশি শিক্ষার্থী টি-শার্ট, হুডি, জ্যাকেটসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করছেন। এতে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি করছেন কর্মসংস্থান।
পড়াশোনা করতে করতে অর্থ উপার্জন বিষয়টা এখন বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা ছাড়াও বিভিন্ন কাজ করে নিজেদের অর্থ নিজেরাই উপার্জন করছেন এখন। যত দিন যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের, এই আয়ের খাত হয়ে উঠছে বৈচিত্র্যময়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনেকেই হাঁটছেন এ পথে।
গ্যাজেট বিক্রি শুরু
বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। ফলে গ্যাজেটের ব্যবহার এখন বেড়েছে প্রচুর। ক্রমবর্ধমান ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে বছরখানেক আগে ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট বিক্রি শুরু করেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইকরাম হোসেন তামিম। ‘চুয়েট গ্যাজেট কর্নার’ নামে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তিনি তাঁর পণ্যের প্রচারণা চালান। হেডফোন, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, ল্যাপটপ চার্জার, ঘড়ি, ট্রিমারসহ হরেক রকমের ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রি করেন তামিম।
তামিমের ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনমতো গ্যাজেট কেনার অর্ডার করেন। তামিম জানান, তিনি তাঁর ঢাকানিবাসী এক বন্ধুকে দেখে অনুপ্রাণিত হন এবং কাজ শুরু করেন। চুয়েটের আশপাশে যেহেতু এসব পণ্য পাওয়া যায় না, সে অভাব দূর করতে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে ‘চুয়েট প্রতিনিধি’ নিয়োগ করার পাশাপাশি দেশব্যাপী এসব পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা আছে তামিমের।
নিজের শখ-ই হয়েছে আয়ের উৎস
রেজিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ও বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করাকে বলা হয় ক্রাফটিং। এই ক্রাফটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য তৈরি করে বিক্রি করেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম। ‘হুইমসি ক্রাফট’ নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন গয়না, যেমন চুড়ি, পেনডেন্ট মালা, কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট, চাবির রিংসহ ডায়েরি, গ্লাস পেইন্টিং ইত্যাদি বিক্রি করেন সাদিয়া। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ক্রাফট পছন্দ তাঁর। অবসরে শখের বশে অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করতেন সাদিয়া। তাঁর কাজ দেখে অনেকেই ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেগুলো বিক্রির পরামর্শ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বন্ধুবান্ধবদের অনুপ্রেরণায় তিনি শুরু করেন গয়না বানানো। ক্রেতারা ফুল ও রেজিনের সমন্বয়ে তৈরি গয়না বেশি পছন্দ করেন বলে জানান সাদিয়া।
সুলভ মূল্যে বই বিক্রি
চুয়েটের তৃতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থী প্রান্ত হাসান, সাকিব খান ও সাইদুর রহমান রিপন। তিনজন মিলে চালু করেন বুক উইন্ড নামক অনলাইন বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম। বুক উইন্ড মূলত শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক এবং সৃজন ও মননশীল উভয় ধরনের বই সুলভ মূল্যে বিক্রি করে। শিক্ষার্থীরা কোনো বই কিনতে চাইলে অনলাইনে সহজেই অর্ডার করেন। নির্দিষ্ট সময় সে বইগুলো পৌঁছে যায় তাঁদের কাছে।
বুক উইন্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ আপাতত নগণ্য হলেও ধীরে ধীরে এই আইডিয়াকে বড় করতে চান প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। প্ল্যাটফর্মটির সহ-উদ্যোক্তা সাকিব খান বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীদের বই কেনার ভোগান্তির অবসান হোক। চুয়েটের বাইরে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা, তুলনামূলক কম দামে।’ Zগ্যাজেট থেকে রেজিনের গয়না কিংবা বই বিক্রির পাশাপাশি চুয়েটের প্রায় ত্রিশের বেশি শিক্ষার্থী টি-শার্ট, হুডি, জ্যাকেটসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করছেন। এতে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি করছেন কর্মসংস্থান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৮ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে