Ajker Patrika

উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের দুয়ার খুলছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি

আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।

বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।

এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিশন ও মিশন

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে

২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।

বিদেশি কারিকুলাম

মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা

ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার‍্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা

ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।

শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা

উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা

মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।

মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১ হাজার ৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১ হাজার ৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।

এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’

মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।

দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।

শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।

গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।

নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।

এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।

নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।

বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপত্তির মুখে প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষকের পদ বাদ দিল সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৭
আপত্তির মুখে প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষকের পদ বাদ দিল সরকার

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।

সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’

এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।

মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’

মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে চাইলে

মো. আশিকুর রহমান
ছবি: ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
ছবি: ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।

ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।

বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।

অনলাইনে আবেদন যেভাবে

অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের

  • সনদ (ষষ্ঠ বা সমমানের
  • পরীক্ষায় উত্তীর্ণ)।

৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।

৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।

গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়

আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা

আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা

প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা

ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।

বিষয় নম্বর

ইংরেজি ১০০

গণিত ১০০

বাংলা ৬০

সাধারণ জ্ঞান ৪০

পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে

  • ইংরেজি: Grammar, Tense, Sentence Transformation, Right Form of Verbs, Punctuation, Idioms, Rearrangement ইত্যাদি।
  • গণিত: সংখ্যা ও ভগ্নাংশ, অনুপাত ও শতকরা, পূর্ণসংখ্যা, বীজগণিতীয় রাশি, সরল সমীকরণ, জ্যামিতি, উপাত্ত।
  • বাংলা: ধ্বনি ও বর্ণ, পদ, লিঙ্গ, কারক, বাগধারা, বিরামচিহ্ন, অনুচ্ছেদ, ভাবসম্প্রসারণ, অনুধাবন।
  • সাধারণ জ্ঞান: বিজ্ঞান, ইতিহাস, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, ভৌগোলিক ও সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, খেলাধুলা ও বুদ্ধিমত্তা।

আবেদনকারীর যোগ্যতা

  • জাতীয়তা: বাংলাদেশি নাগরিক
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: ষষ্ঠ শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
  • বয়স: ১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ৬ মাস
  • উচ্চতা: ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি (ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য)
  • স্বাস্থ্য: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে
  • দৃষ্টিশক্তি: চশমাবিহীন এক চোখে ৬/১২ ও অন্য চোখে ৬/১৮; চশমাসহ দুই চোখে ৬/৬

যারা আবেদন করতে পারবে না

যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্‌রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।

তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত ৫০০ বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত ৫০০ বৃত্তি

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।

সুযোগ-সুবিধা

চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।

আবেদনের যোগ্যতা

এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বৃত্তির সংখ্যা

প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত