Ajker Patrika

বিশ্বমঞ্চে বিইউপির তিন শিক্ষার্থীর সাফল্য

মুসাররাত আবির 
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ০৩
জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ বৈশ্বিক আসরে লড়াই করার সুযোগ পায়। ছবি: বিএটিবি
জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ বৈশ্বিক আসরে লড়াই করার সুযোগ পায়। ছবি: বিএটিবি

স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব স্ন্যাকসের ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) তিন শিক্ষার্থী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ডস’-এ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তাঁদের উদ্ভাবনী পণ্য কাঁঠাল থেকে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত চিপস, বিচারক ও দর্শকদের মন জয় করেছে।

ব্যাটল অব মাইন্ডস

বিজনেস কম্পিটিশনের জগতে ব্যাটল অব মাইন্ডস একটি বহুল পরিচিত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এটি তরুণদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শনের একটি অসাধারণ সুযোগ দেয়।

এবারের ব্যাটল অব মাইন্ডসের বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বিইউপির দল ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। প্রথম ইন্দোনেশিয়া এবং দ্বিতীয় হয়েছে কেনিয়ার দল। ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ সদস্যরা হলেন রিদাহ তারান্নুম মেহমুদ, আদীবা রুকাইয়া হাসান ও মো. নাহিয়ান হাসান।

সুপার স্ন্যাক জ্যাকো

‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ দলের সদস্যদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটির নাম ছিল ‘জ্যাকো’, যা কাঁঠালকে একটি টেকসই এবং পুষ্টিকর সুপার স্ন্যাক হিসেবে উপস্থাপন করে। চিপসকে সবাই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে জানলেও তাঁরা কাঁঠালের তৈরি এমন একটি চিপস বাজারে আনতে চান, যা একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তাঁরা বিচারকদের এই চিপসের চার ধরনের স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন—ক্ল্যাসিক স্যাভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট এবং গ্রিলড চিজ। সঙ্গে চমক হিসেবে ছিল তাঁদের পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং।

বৈশ্বিক আসরের যাত্রা

প্রতিযোগীদের জাতীয় পর্যায় থেকে বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় হওয়ার যাত্রাটা বেশ লম্বা ছিল। কারণ, চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার জন্য দলগুলোকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। প্রথম ধাপে অনলাইনে তাদের বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান দিতে হয়। এরপর তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রবেশ করে, যেখানে একটি আকর্ষণীয় ভিডিও প্রেজেন্টেশন জমা দিয়ে তারা আরও এগিয়ে যায়। এরপর আসে বুটক্যাম্প, যেখানে তাদের ধারণাটি আরও পরিমার্জন করা হয়। সেখানে তারা অন্য দলের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং ও মজার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।

দলগুলোর যাত্রার উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যা এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। এখানে প্রতিযোগীরা স্টল বসিয়ে তাঁদের ধারণাগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করেন। এই এক্সপোতে তাঁদের দল ‘জ্যাকো’ দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়।

চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায়িক দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে যেই দল বিজয়ী হয়, তারা পরবর্তী সময়ে ২৫টি দেশের বিজয়ীদের সঙ্গে বৈশ্বিক পর্বে প্রতিযোগিতা করে।

বিইউপির এই তিন শিক্ষার্থীর বানানো কাঁঠালের চিপস। ছবি: সংগৃহীত
বিইউপির এই তিন শিক্ষার্থীর বানানো কাঁঠালের চিপস। ছবি: সংগৃহীত

২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি তরুণকে দক্ষ করে তুলেছে, যাঁদের অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছেন। এবারের প্রতিযোগিতার মূলমন্ত্র ছিল উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করা। এবারের প্রতিযোগিতায় ৭০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭০০-এর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ২৫০টি দল ভিডিও পিস জমা দেয় এবং কঠিন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত পাঁচটি দল ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর এ দলগুলোর মধ্যে থেকে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ বৈশ্বিক আসরে লড়াই করার সুযোগ পায়। বিইউপি থেকে এবারই প্রথম কোনো দল এই প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক পর্বে পা দিল এবং তৃতীয় হয়েছে।

দলটির সদস্য নাহিয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা যে বিশাল স্কেল এবং বৈশ্বিক পরিচিতি পান, তা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য মেন্টরশিপ এবং শেখার সুযোগও এখানে অংশগ্রহণ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।’

সদস্য রিদাহই এই ধারণা দলটির বাকি সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। তাঁদের জন্য এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যেখানে তাঁদের একটি স্টল সাজিয়ে তাঁদের ধারণা এবং পণ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়েছিল। মানুষকে বোঝানো কঠিন ছিল যে কাঁঠাল থেকে চিপস তৈরি করা সম্ভব এবং এটি স্বাদে যেমন চমৎকার, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।

নতুনদের ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ হলো, কখনো চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। পরিশ্রম আপনার সফলতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হবেই। আপনার সময়ের ৭০ শতাংশ সঠিক পরিকল্পনার জন্য ব্যয় করুন। এটি আপনার ধারণাগুলোকে সাবলীলভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চীনে তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। এই বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশটির সরকার। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।

তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৯৫ সালে পেইয়াং ইউনিভার্সিটি নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল চীনের প্রথম আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গবেষণাক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক গবেষণাগার, উদ্ভাবনমুখী পাঠ্যক্রম এবং বিশ্বমানের শিক্ষকদের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়।

সুযোগ-সুবিধা

তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্ববিদ্যালয়টির বৃত্তি কর্মসূচি উদ্ভাবন, আন্তসাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং একাডেমিক সাফল্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। থাকছে মাসিক ভাতা ও সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা। এ ছাড়া স্নাতকোত্তরের জন্য থাকছে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান এবং পিএইচডির জন্য থাকছে সাড়ে ৩ হাজার ইউয়ান।

আবেদনের যোগ্যতা

প্রার্থীদের চীনা নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। এ ছাড়া বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্নাতকের জন্য আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে আর স্নাতকোত্তরের জন্য ৪০ বছরের নিচে হতে হবে। আইইএলটিএস স্কোর ৬ থাকতে হবে বা টোয়েফলে স্কোর ন্যূনতম ৮০ থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আধুনিক ও চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। এগুলো হলো কম্পিউটার সায়েন্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা; ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি; পরিবেশবিজ্ঞান; স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক; জীববিজ্ঞান ও বায়োটেকনোলজি; ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা; গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন।

প্রয়োজনীয় তথ্য

অনলাইন সিএসসি আবেদন ফরম, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্ক্যান কপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, চায়নিজ বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, শিক্ষা বা গবেষণার অভিজ্ঞতার জীবনবৃত্তান্ত, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারভাইজারের অ্যাকসেপটেনস লেটার, শিক্ষা বা গবেষণা পরিকল্পনা, দুটি সুপারিশপত্র, শারীরিক পরীক্ষার ফরমের ফটোকপি, অপরাধমুক্তির সনদ।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৮ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের প্রক্রিয়া রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির চারটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা। টেলিটক সিমের মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত ফি জমা দেওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে।

প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ১৬-২৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে বিস্তারিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এইচএসসি ২০২৬: আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আপাতত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে পারবে না।

আজ রোববার বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে

বলা হয়, ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী পরীক্ষার তারিখ পরে আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধানদের এই নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে সব বিষয়ে পূর্ণ সময়ে ও পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ওই বছরের মে-জুন মাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ২৩ আগস্ট ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ‘পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আজ রোববার সকাল থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে।

এদিকে তিন দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। তাঁরা ‘পুলিশের হামলার প্রতিবাদে’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের পদত্যাগ দাবি করছেন।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সকালে বলেন, ‘আটককৃত শিক্ষকেরা এখন শাহবাগ থানায়, তাঁরা ফেরেননি। আমরা অবস্থান কর্মসূচিতে অনড়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করা, শাহবাগে নিরীহ শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত হামলা, রাবার বুলেট, জলকামান, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে শত শত শিক্ষককে আহত করার দায় হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।’

দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও শিক্ষকদের বাকি দু’টি দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। এ মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে এই তিন দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকেদের। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা।

যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশের দাবি, ‘আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে একটা দল ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় পার হয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

পুলিশের বাধার মুখে শহীদ মিনারে ফিরে এসে রোববার থেকে কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকেরা। এরপর শনিবার মধ্যরাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শিক্ষকেরা ‘পুলিশের হামলার’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

স্কুলে স্কুলে কর্মবিরতি, কোথাও কোথাও ক্লাস

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত