
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পবিপ্রবির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মহিবুল্লাহ।
মীর মহিবুল্লাহ

আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।
আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।
ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।
এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।
সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।
পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।
নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।
ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।
এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।
সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।
পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।
নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রেগুলেশনটি গতকাল রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর, মোট ২০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন কোর্সে ৮ নম্বর—মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন কোর্সে ৫ নম্বর—মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে সংশোধিত রেগুলেশনে।
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রেগুলেশনটি গতকাল রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর, মোট ২০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন কোর্সে ৮ নম্বর—মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন কোর্সে ৫ নম্বর—মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে সংশোধিত রেগুলেশনে।
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে