ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইফতার আয়োজন নিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা। টিএসসি ছাড়াও ক্যাম্পাসের সড়কদ্বীপ, মিলন চত্বর, হাকিম চত্বর, কার্জন হল, রোকেয়া হলের সামনে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক, সবুজ চত্বর, মলচত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা মুখরিত হয়ে ওঠে ইফতার করতে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারণে। ইফতারে রাখা হয় ছোলা, মুড়ি, খেজুর, জিলাপি, বেগুনি, পেঁয়াজু, চিকেন, পাকুড়া, বুন্দিয়া, আলুর চপ। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের পানীয়, শরবত, জুস, কলা, আপেলসহ নানা জাতের ফল থাকে। সবুজ ঘাসের ওপর খবরের কাগজ বিছিয়ে ইফতারি পরিবেশন করা হয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তারা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে আসেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, টিএসসি, আবাসিক হল, ‘টারজান’ পয়েন্ট, পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা ইফতার করেন। এ ছাড়া আবাসিক হলের ছাদ, মাঠ, ডাইনিং-ক্যান্টিনেও ইফতারে মিলিত হন শিক্ষার্থীরা। তবে ইফতারের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। প্রতিদিন বিকেলে খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট জটলায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীরাও এখানে ইফতার করতে আসেন। ইফতারের আগে পথশিশু, দুস্থ-অসহায় ব্যক্তিদের আগমন ঘটে, যাদের পক্ষে অর্থ দিয়ে ইফতারসামগ্রী কেনা সম্ভব নয়। এখানে আসা অনেকেই অসমর্থ মানুষের সঙ্গে ইফতারি ভাগাভাগি করে নেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
রমজানের শিক্ষা, নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সর্বস্তরে ইসলামি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ইফতারের আয়োজন করেন। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত ও ইসলামি বিভিন্ন পরিবেশনা থাকে। দোয়া ও মোনাজাতের পর মাগরিবের আজান দিলে সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। রমজানের মাহাত্ম্য ও নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব তুলে ধরতে এবং ইসলামের সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে একসঙ্গে সবাই ইফতার করেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আসরের নামাজের পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে দেখা যায় ইফতার আয়োজনের দৃশ্য। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের নিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বাহারি পদের ইফতারির আয়োজন করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠ, শেখ রাসেল মডেল স্কুল মাঠ, শহীদ মিনার চত্বর, ইবলিশ চত্বর ও শাবাশ বাংলাদেশ মাঠ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ছাদ, টিভিরুমসহ বিভিন্ন বিভাগের কক্ষেও ইফতারের আয়োজন করে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অবকাশ ভবন, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, রফিক ভবনের প্রতিটি তলার বারান্দা, বিবিএ ভবনের নিচতলায় পুরোটা, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, পোগোজ স্কুলের খেলার মাঠ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে ওঠে ইফতারের আয়োজন। বেশ প্রাণোচ্ছল পরিবেশ দেখা যায় শহীদ মিনারে। ক্যাম্পাসের ছোট-বড় সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ইফতারের আয়োজন। ক্যাম্পাসে ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে আড্ডা-গল্পের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ইফতারের আয়োজন করেন।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, অ্যাগ্রোনমি ফিল্ড, টিএসসির সিঁড়ি, কৃষি অনুষদ মাঠ, শহীদ মিনার এবং হলগুলোতেও ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণের আড্ডা জমে ওঠে। শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার ক্যাম্পাসজীবনে অন্য রকম অনুভূতি যোগ করে ইফতারের আনন্দ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা হাতে ইফতারসামগ্রী নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। পত্রিকার কাগজ ও জায়নামাজ বিছিয়ে সারিতে বসেন। ইফতারের আগে তাঁদের কয়েকজন হামদ-নাতও পরিবেশন করেন। শিক্ষার্থীদের মতে, ক্যাম্পাসে ইফতারের আয়োজন সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক অনন্য বন্ধন। সবাই মিলে ইফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, ক্যাফেটেরিয়ার ছাদ, বিভিন্ন বিভাগের করিডর, অনুষদের হলরুম, ছাদের আঙিনা, ব্যাডমিন্টন কোর্টসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের ইফতারের আয়োজন জমে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ইফতার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোও ইফতারের আয়োজন করে থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও শামিল হন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করেন। ক্লাস-পরীক্ষা ও টিউশনির ব্যস্ততা শেষে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ, হলের ছাদ, টিএসসিসহ বিভিন্ন চত্বরে। রোজা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ইবাদত হলেও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর বন্ধুরাও।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ইফতার উৎসবে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। মাঠ ছাড়াও হলের ছাদ, ডাইনিংসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ইফতারের আয়োজন দেখা যায়। প্রতিদিন ইফতারের সময় কেউ ছোলা-মুড়ি মাখাতে ব্যস্ত, কেউ ব্যস্ত শরবত বানাতে। কেউ আবার গল্প-আড্ডায় জমিয়ে রাখছেন আসর। সবাই মিলে ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন পশ্চিম দিগন্তে সূর্য ডোবার। ইফতার শেষে মাঠেই জামাতে নামাজ আদায় করেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, স্টেশন চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে ইফতারের আয়োজন করেন। অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের ওপর পত্রিকা বিছিয়ে ইফতার করেন। ক্যাম্পাসে যে শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইফতার করেন তা কিন্তু নয়, দূর-দূরান্ত থেকে দল বেঁধে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে ইফতার করতে আসেন।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করেন। শিক্ষার্থী যোবায়ের আলী বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতি। শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসে ইফতার করবেন—এটাই ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির উদাহরণ।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, স্বাধীনতা চত্বর মাঠ, ক্যাফেটেরিয়ার সামনের মাঠ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির আশপাশ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে শিক্ষার্থীদের ইফতারের উৎসব। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও মাঝেমধ্যে দর্শনার্থীরা ক্যাম্পাসে বসে ইফতারির স্বাদ নেন।
এসব ক্যাম্পাস ছাড়াও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ডুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রীতির ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইফতার আয়োজন নিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা। টিএসসি ছাড়াও ক্যাম্পাসের সড়কদ্বীপ, মিলন চত্বর, হাকিম চত্বর, কার্জন হল, রোকেয়া হলের সামনে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক, সবুজ চত্বর, মলচত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা মুখরিত হয়ে ওঠে ইফতার করতে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারণে। ইফতারে রাখা হয় ছোলা, মুড়ি, খেজুর, জিলাপি, বেগুনি, পেঁয়াজু, চিকেন, পাকুড়া, বুন্দিয়া, আলুর চপ। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের পানীয়, শরবত, জুস, কলা, আপেলসহ নানা জাতের ফল থাকে। সবুজ ঘাসের ওপর খবরের কাগজ বিছিয়ে ইফতারি পরিবেশন করা হয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তারা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে আসেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, টিএসসি, আবাসিক হল, ‘টারজান’ পয়েন্ট, পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা ইফতার করেন। এ ছাড়া আবাসিক হলের ছাদ, মাঠ, ডাইনিং-ক্যান্টিনেও ইফতারে মিলিত হন শিক্ষার্থীরা। তবে ইফতারের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। প্রতিদিন বিকেলে খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট জটলায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীরাও এখানে ইফতার করতে আসেন। ইফতারের আগে পথশিশু, দুস্থ-অসহায় ব্যক্তিদের আগমন ঘটে, যাদের পক্ষে অর্থ দিয়ে ইফতারসামগ্রী কেনা সম্ভব নয়। এখানে আসা অনেকেই অসমর্থ মানুষের সঙ্গে ইফতারি ভাগাভাগি করে নেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
রমজানের শিক্ষা, নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সর্বস্তরে ইসলামি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ইফতারের আয়োজন করেন। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত ও ইসলামি বিভিন্ন পরিবেশনা থাকে। দোয়া ও মোনাজাতের পর মাগরিবের আজান দিলে সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। রমজানের মাহাত্ম্য ও নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব তুলে ধরতে এবং ইসলামের সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে একসঙ্গে সবাই ইফতার করেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আসরের নামাজের পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে দেখা যায় ইফতার আয়োজনের দৃশ্য। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের নিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বাহারি পদের ইফতারির আয়োজন করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠ, শেখ রাসেল মডেল স্কুল মাঠ, শহীদ মিনার চত্বর, ইবলিশ চত্বর ও শাবাশ বাংলাদেশ মাঠ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ছাদ, টিভিরুমসহ বিভিন্ন বিভাগের কক্ষেও ইফতারের আয়োজন করে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অবকাশ ভবন, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, রফিক ভবনের প্রতিটি তলার বারান্দা, বিবিএ ভবনের নিচতলায় পুরোটা, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, পোগোজ স্কুলের খেলার মাঠ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে ওঠে ইফতারের আয়োজন। বেশ প্রাণোচ্ছল পরিবেশ দেখা যায় শহীদ মিনারে। ক্যাম্পাসের ছোট-বড় সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ইফতারের আয়োজন। ক্যাম্পাসে ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে আড্ডা-গল্পের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ইফতারের আয়োজন করেন।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, অ্যাগ্রোনমি ফিল্ড, টিএসসির সিঁড়ি, কৃষি অনুষদ মাঠ, শহীদ মিনার এবং হলগুলোতেও ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণের আড্ডা জমে ওঠে। শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার ক্যাম্পাসজীবনে অন্য রকম অনুভূতি যোগ করে ইফতারের আনন্দ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা হাতে ইফতারসামগ্রী নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। পত্রিকার কাগজ ও জায়নামাজ বিছিয়ে সারিতে বসেন। ইফতারের আগে তাঁদের কয়েকজন হামদ-নাতও পরিবেশন করেন। শিক্ষার্থীদের মতে, ক্যাম্পাসে ইফতারের আয়োজন সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক অনন্য বন্ধন। সবাই মিলে ইফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, ক্যাফেটেরিয়ার ছাদ, বিভিন্ন বিভাগের করিডর, অনুষদের হলরুম, ছাদের আঙিনা, ব্যাডমিন্টন কোর্টসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের ইফতারের আয়োজন জমে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ইফতার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোও ইফতারের আয়োজন করে থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও শামিল হন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করেন। ক্লাস-পরীক্ষা ও টিউশনির ব্যস্ততা শেষে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ, হলের ছাদ, টিএসসিসহ বিভিন্ন চত্বরে। রোজা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ইবাদত হলেও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর বন্ধুরাও।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ইফতার উৎসবে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। মাঠ ছাড়াও হলের ছাদ, ডাইনিংসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ইফতারের আয়োজন দেখা যায়। প্রতিদিন ইফতারের সময় কেউ ছোলা-মুড়ি মাখাতে ব্যস্ত, কেউ ব্যস্ত শরবত বানাতে। কেউ আবার গল্প-আড্ডায় জমিয়ে রাখছেন আসর। সবাই মিলে ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন পশ্চিম দিগন্তে সূর্য ডোবার। ইফতার শেষে মাঠেই জামাতে নামাজ আদায় করেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, স্টেশন চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে ইফতারের আয়োজন করেন। অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের ওপর পত্রিকা বিছিয়ে ইফতার করেন। ক্যাম্পাসে যে শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইফতার করেন তা কিন্তু নয়, দূর-দূরান্ত থেকে দল বেঁধে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে ইফতার করতে আসেন।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করেন। শিক্ষার্থী যোবায়ের আলী বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতি। শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসে ইফতার করবেন—এটাই ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির উদাহরণ।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, স্বাধীনতা চত্বর মাঠ, ক্যাফেটেরিয়ার সামনের মাঠ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির আশপাশ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে শিক্ষার্থীদের ইফতারের উৎসব। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও মাঝেমধ্যে দর্শনার্থীরা ক্যাম্পাসে বসে ইফতারির স্বাদ নেন।
এসব ক্যাম্পাস ছাড়াও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ডুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রীতির ইফতারের আয়োজন করা হয়।
প্রাথমিকের পর মাদ্রাসার ইবতেদায়ি পর্যায় এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হতে পারে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মোট ছয়টি বিষয়ে পাঁচটি পত্রে এবারের বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেপাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর ‘দমন-পীড়নের’ ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২ জন শিক্ষক। তারা অবিলম্বে শিক্ষকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইচটি) শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা ও ই-লার্নিংয়ের সুযোগ দিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস- ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত ৫ আগস্ট ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়
১ দিন আগে