আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
১ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
১ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
১ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
১ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে