Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক মুট কোর্টে এআইইউবি শিক্ষার্থী ঐশীর সাফল্য

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩২
ঐশী উজ্জামানের হাতে সেরা গবেষকের পুরস্কার। ছবি: সংগৃহীত
ঐশী উজ্জামানের হাতে সেরা গবেষকের পুরস্কার। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আইন শিক্ষার্থীদের সাফল্য এখন আর বিরল কোনো ঘটনা নয়। তবু প্রতিটি অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসে ভিন্ন মাত্রা। সম্প্রতি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশী উজ্জামান ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় ‘সেরা গবেষক’ নির্বাচিত হয়েছেন।

অগ্রজদের সাফল্যে অনুপ্রেরণা

ঐশী এখন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর মুটিংয়ের আগ্রহ তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজদের ধারাবাহিক সাফল্য দেখে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অগ্রজদের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে দেখে মনে হতো, আমিও যদি একদিন সেই মঞ্চে দাঁড়াতে পারতাম! সেই স্বপ্ন আমাকে সাহস দিয়েছে।’

প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণ

ভারতের কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চলে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ মুট কোর্টে অংশ নেয় ৯টি দেশের ৫৪টি দল। এবারের থিম ছিল কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ এক ক্ষেত্র।

দলগত কাজ ও নিরলস প্রস্তুতি

প্রস্তুতের জন্য সময় ছিল অল্প। তবু ঐশী ও তাঁর দল দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করেছে। লাইব্রেরি রিসার্চ, অনলাইন ডেটাবেইস ও কেস ল রিভিউ চলেছে নিয়মিত। দিনের আলোচনার পর গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে অনলাইন টিম ডিসকাশন। ঐশীর ভাষায়, ‘এটি নিখুঁত টিমওয়ার্কের উদাহরণ। প্রতিটি ভুল আমরা একসঙ্গে শোধরানোর চেষ্টা করেছি।’

ঐশী উজ্জামান
ঐশী উজ্জামান

বিচারকদের কাছ থেকে শিক্ষা

বিচারকদের প্রশংসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি ত্রুটিও চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমালোচনা তাঁকে আরও শাণিত করেছে। সেরা গবেষক হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ঐশী বলেন, ‘পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই স্বীকৃতি আমাকে শিখিয়েছে—অধ্যবসায়ের ফল কখনো বৃথা যায় না।’

চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

দেশে স্নাতক পর্যায়ে আলাদা করে ‘কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন’ কোর্স পড়ানো হয় না। তাই জ্ঞানের ঘাটতিই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটাই ছিল দলের প্রথম অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতার স্বল্পতা অনেক ভুলের জন্ম দিয়েছিল আর সেগুলো কাটিয়ে ওঠাও ছিল কঠিন এক পরীক্ষা।

আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন

এই প্রতিযোগিতা শুধু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নয়, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বেরও দুয়ার খুলে দিয়েছে। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপুল কিংবা তানজানিয়ার মুসার মতো বন্ধুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ বজায় রয়েছে ঐশীর।

ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে প্রভাব

ঐশীর বিশ্বাস, এই অর্জন তাঁর ভবিষ্যৎ আইনজীবী জীবনে বড় ভূমিকা রাখবে। ‘এটি শুধু আমার গবেষণা ও বিশ্লেষণী দক্ষতাকে শাণিত করেনি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আইন পেশায় আমাকে এগিয়ে রাখবে।’

আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা

তরুণ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য ঐশীর বার্তা—‘নিজেকে বিশ্বাস করুন, সাহসী হোন। কঠোর পরিশ্রম ও টিমওয়ার্কই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না, প্রতিটি অভিজ্ঞতাই শেখার সুযোগ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির সংকটকালে ভারতীয়-আমেরিকানদের বিস্ময়কর নীরবতা

শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় শাপলা না দেওয়া বৈষম্যমূলক: এনসিপি

মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

জনসংখ্যার সংকট, তারপরও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এখন তীব্র জাপানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত