ক্যাম্পাস ডেস্ক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আইন শিক্ষার্থীদের সাফল্য এখন আর বিরল কোনো ঘটনা নয়। তবু প্রতিটি অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসে ভিন্ন মাত্রা। সম্প্রতি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশী উজ্জামান ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় ‘সেরা গবেষক’ নির্বাচিত হয়েছেন।
অগ্রজদের সাফল্যে অনুপ্রেরণা
ঐশী এখন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর মুটিংয়ের আগ্রহ তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজদের ধারাবাহিক সাফল্য দেখে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অগ্রজদের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে দেখে মনে হতো, আমিও যদি একদিন সেই মঞ্চে দাঁড়াতে পারতাম! সেই স্বপ্ন আমাকে সাহস দিয়েছে।’
প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণ
ভারতের কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চলে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ মুট কোর্টে অংশ নেয় ৯টি দেশের ৫৪টি দল। এবারের থিম ছিল কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ এক ক্ষেত্র।
দলগত কাজ ও নিরলস প্রস্তুতি
প্রস্তুতের জন্য সময় ছিল অল্প। তবু ঐশী ও তাঁর দল দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করেছে। লাইব্রেরি রিসার্চ, অনলাইন ডেটাবেইস ও কেস ল রিভিউ চলেছে নিয়মিত। দিনের আলোচনার পর গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে অনলাইন টিম ডিসকাশন। ঐশীর ভাষায়, ‘এটি নিখুঁত টিমওয়ার্কের উদাহরণ। প্রতিটি ভুল আমরা একসঙ্গে শোধরানোর চেষ্টা করেছি।’
বিচারকদের কাছ থেকে শিক্ষা
বিচারকদের প্রশংসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি ত্রুটিও চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমালোচনা তাঁকে আরও শাণিত করেছে। সেরা গবেষক হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ঐশী বলেন, ‘পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই স্বীকৃতি আমাকে শিখিয়েছে—অধ্যবসায়ের ফল কখনো বৃথা যায় না।’
চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
দেশে স্নাতক পর্যায়ে আলাদা করে ‘কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন’ কোর্স পড়ানো হয় না। তাই জ্ঞানের ঘাটতিই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটাই ছিল দলের প্রথম অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতার স্বল্পতা অনেক ভুলের জন্ম দিয়েছিল আর সেগুলো কাটিয়ে ওঠাও ছিল কঠিন এক পরীক্ষা।
আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন
এই প্রতিযোগিতা শুধু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নয়, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বেরও দুয়ার খুলে দিয়েছে। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপুল কিংবা তানজানিয়ার মুসার মতো বন্ধুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ বজায় রয়েছে ঐশীর।
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে প্রভাব
ঐশীর বিশ্বাস, এই অর্জন তাঁর ভবিষ্যৎ আইনজীবী জীবনে বড় ভূমিকা রাখবে। ‘এটি শুধু আমার গবেষণা ও বিশ্লেষণী দক্ষতাকে শাণিত করেনি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আইন পেশায় আমাকে এগিয়ে রাখবে।’
আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা
তরুণ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য ঐশীর বার্তা—‘নিজেকে বিশ্বাস করুন, সাহসী হোন। কঠোর পরিশ্রম ও টিমওয়ার্কই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না, প্রতিটি অভিজ্ঞতাই শেখার সুযোগ।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আইন শিক্ষার্থীদের সাফল্য এখন আর বিরল কোনো ঘটনা নয়। তবু প্রতিটি অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসে ভিন্ন মাত্রা। সম্প্রতি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশী উজ্জামান ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় ‘সেরা গবেষক’ নির্বাচিত হয়েছেন।
অগ্রজদের সাফল্যে অনুপ্রেরণা
ঐশী এখন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর মুটিংয়ের আগ্রহ তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজদের ধারাবাহিক সাফল্য দেখে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অগ্রজদের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে দেখে মনে হতো, আমিও যদি একদিন সেই মঞ্চে দাঁড়াতে পারতাম! সেই স্বপ্ন আমাকে সাহস দিয়েছে।’
প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণ
ভারতের কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চলে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ মুট কোর্টে অংশ নেয় ৯টি দেশের ৫৪টি দল। এবারের থিম ছিল কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ এক ক্ষেত্র।
দলগত কাজ ও নিরলস প্রস্তুতি
প্রস্তুতের জন্য সময় ছিল অল্প। তবু ঐশী ও তাঁর দল দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করেছে। লাইব্রেরি রিসার্চ, অনলাইন ডেটাবেইস ও কেস ল রিভিউ চলেছে নিয়মিত। দিনের আলোচনার পর গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে অনলাইন টিম ডিসকাশন। ঐশীর ভাষায়, ‘এটি নিখুঁত টিমওয়ার্কের উদাহরণ। প্রতিটি ভুল আমরা একসঙ্গে শোধরানোর চেষ্টা করেছি।’
বিচারকদের কাছ থেকে শিক্ষা
বিচারকদের প্রশংসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি ত্রুটিও চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমালোচনা তাঁকে আরও শাণিত করেছে। সেরা গবেষক হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ঐশী বলেন, ‘পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই স্বীকৃতি আমাকে শিখিয়েছে—অধ্যবসায়ের ফল কখনো বৃথা যায় না।’
চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
দেশে স্নাতক পর্যায়ে আলাদা করে ‘কমার্শিয়াল আরবিট্রেশন’ কোর্স পড়ানো হয় না। তাই জ্ঞানের ঘাটতিই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটাই ছিল দলের প্রথম অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতার স্বল্পতা অনেক ভুলের জন্ম দিয়েছিল আর সেগুলো কাটিয়ে ওঠাও ছিল কঠিন এক পরীক্ষা।
আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন
এই প্রতিযোগিতা শুধু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নয়, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বেরও দুয়ার খুলে দিয়েছে। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপুল কিংবা তানজানিয়ার মুসার মতো বন্ধুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ বজায় রয়েছে ঐশীর।
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে প্রভাব
ঐশীর বিশ্বাস, এই অর্জন তাঁর ভবিষ্যৎ আইনজীবী জীবনে বড় ভূমিকা রাখবে। ‘এটি শুধু আমার গবেষণা ও বিশ্লেষণী দক্ষতাকে শাণিত করেনি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আইন পেশায় আমাকে এগিয়ে রাখবে।’
আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা
তরুণ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য ঐশীর বার্তা—‘নিজেকে বিশ্বাস করুন, সাহসী হোন। কঠোর পরিশ্রম ও টিমওয়ার্কই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না, প্রতিটি অভিজ্ঞতাই শেখার সুযোগ।’
৩৩ দিন পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সবগুলো আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে হল খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও অবৈধভাবে আটক করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
১ দিন আগেগণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের যে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে, সে জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষ নৌকাভর্তি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। অথচ সেই ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা ও অধিকারকর্মীদের আটক করেছে।
১ দিন আগেডেনমার্কে ডেনিশ সরকারি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইইউভুক্ত নয়, যেকোনো শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে ডেনিশ সরকার। বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির সাউদার্ন ডেনমার্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২ দিন আগে