ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত মীম ও লিমন হাসান। করোনাকালে ‘ওয়ান মিনিট ইংলিশ উইদ মীম’ নামে একটি ফেসবুকে পেজ খুলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর ভিডিও প্রকাশ করে পরিচিতি পান মীম। লিমন হাসানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি শেখাতেন। একসময় কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগ হয় দুজনের। হয় মনের মিল। পরে দুজন বিয়ে করে
একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর কাজ শুরু করেন। দুজনের আলাদা ইংরেজি শেখানোর প্ল্যাটফর্ম এক করে নাম দেন ‘লিংগুয়াল একাডেমি’। তাঁদের একসঙ্গে পড়াশোনা, প্রেম, বিয়ে ও কাজের গল্প শুনেছেন সিফাত রব্বানী।
শুরুটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। দুজনেই আলাদাভাবে অনলাইনে ইংরেজি শেখান। হঠাৎ একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর ভিডিও বানানোর প্রস্তাব দিয়ে লিমন খুদে বার্তা পাঠান মীমের কাছে। তখন অনলাইনে তাঁর বেশ পরিচিতি। আর লিমনকে অনুসরণ করে মাত্র ১ হাজার মানুষ। খুদে বার্তা পাঠিয়ে অপেক্ষা করতে করতে তিন দিনের মাথায় সেই বার্তার জবাব পেলেন লিমন। শুরু হলো তাঁদের একসঙ্গে কাজের কথাবার্তা।
কাজের মিলের সঙ্গে মনের মিল
কাজের সুবাদে প্রায়ই তাঁদের কথা হতো। সে সময় কনটেন্ট, কনটেন্টের বাইরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলত। কিছুদিন পর লিমনের মনে হয়, হয়তো মীমকে তাঁর ভালো লাগে। বিষয়টি সরাসরি না বলে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। মীমও বুঝতে পেরে প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু লিমন চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মাস তিনেক পরে মীমের কাছ থেকে হ্যাঁ সূচক জবাব আসে। লিমন তখন রংপুরে থাকতেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসতেন মীমের সঙ্গে দেখা করতে।
এক বছর পর হঠাৎ মীমের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর পছন্দের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। মীমও সব স্বীকার করেন। মীমের বাবা লিমনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে।
বিয়ের দুই বছর না কাটতেই লিমন ও মীমের পৃথক দুটি প্ল্যাটফর্ম লিংগুয়াল একাডেমি নামে একীভূত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এই ইংরেজি শিখছে।
একসঙ্গে পথচলা
মীম ও লিমন—দুজনই শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। ঘরসংসার সামলে তাঁরা ইংরেজি শেখানোর নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করেন। রান্না, বিড়ালের দেখাশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস— এই তিন কাজ করেন মীম। তাঁকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা করছেন লিমনও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে যখন আলাদা কনটেন্ট বানাতেন, তখন নিজেদের কাজ একই রকম হতো। কিন্তু একসঙ্গে হওয়ায় কাজে বৈচিত্র্য এসেছে, ভিন্নতা এসেছে, বেড়েছে কাজের গতি।
স্মরণীয় মুহূর্ত
এক সন্ধ্যায় লিমন ও মীম ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরের আশপাশে ঘুরছিলেন। এ সময় ফুচকার দোকানে ফুচকা চাইতেই দোকানি তাঁদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করেন। তখন তাঁরা দোকানির কাছে জানতে চান, কোথায় ইংরেজি শিখেছেন তিনি। দোকানি উত্তর দেন, তাঁদের ভিডিও দেখে নোট টুকে ইংরেজিতে কথা বলা শিখেছেন।
উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা
দেশের অনেক শিক্ষার্থীর ইংরেজিতে কথা বলতে জড়তা কাজ করে। এই ভীতি দূর করতে চান মীম ও লিমন। ইংরেজি না জানার কারণে অনেকে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। ইংরেজি না জানা মানুষগুলোর জন্য এ ভাষা সহজভাবে শেখানোই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত মীম ও লিমন হাসান। করোনাকালে ‘ওয়ান মিনিট ইংলিশ উইদ মীম’ নামে একটি ফেসবুকে পেজ খুলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর ভিডিও প্রকাশ করে পরিচিতি পান মীম। লিমন হাসানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি শেখাতেন। একসময় কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগ হয় দুজনের। হয় মনের মিল। পরে দুজন বিয়ে করে
একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর কাজ শুরু করেন। দুজনের আলাদা ইংরেজি শেখানোর প্ল্যাটফর্ম এক করে নাম দেন ‘লিংগুয়াল একাডেমি’। তাঁদের একসঙ্গে পড়াশোনা, প্রেম, বিয়ে ও কাজের গল্প শুনেছেন সিফাত রব্বানী।
শুরুটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। দুজনেই আলাদাভাবে অনলাইনে ইংরেজি শেখান। হঠাৎ একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর ভিডিও বানানোর প্রস্তাব দিয়ে লিমন খুদে বার্তা পাঠান মীমের কাছে। তখন অনলাইনে তাঁর বেশ পরিচিতি। আর লিমনকে অনুসরণ করে মাত্র ১ হাজার মানুষ। খুদে বার্তা পাঠিয়ে অপেক্ষা করতে করতে তিন দিনের মাথায় সেই বার্তার জবাব পেলেন লিমন। শুরু হলো তাঁদের একসঙ্গে কাজের কথাবার্তা।
কাজের মিলের সঙ্গে মনের মিল
কাজের সুবাদে প্রায়ই তাঁদের কথা হতো। সে সময় কনটেন্ট, কনটেন্টের বাইরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলত। কিছুদিন পর লিমনের মনে হয়, হয়তো মীমকে তাঁর ভালো লাগে। বিষয়টি সরাসরি না বলে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। মীমও বুঝতে পেরে প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু লিমন চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মাস তিনেক পরে মীমের কাছ থেকে হ্যাঁ সূচক জবাব আসে। লিমন তখন রংপুরে থাকতেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসতেন মীমের সঙ্গে দেখা করতে।
এক বছর পর হঠাৎ মীমের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর পছন্দের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। মীমও সব স্বীকার করেন। মীমের বাবা লিমনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে।
বিয়ের দুই বছর না কাটতেই লিমন ও মীমের পৃথক দুটি প্ল্যাটফর্ম লিংগুয়াল একাডেমি নামে একীভূত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এই ইংরেজি শিখছে।
একসঙ্গে পথচলা
মীম ও লিমন—দুজনই শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। ঘরসংসার সামলে তাঁরা ইংরেজি শেখানোর নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করেন। রান্না, বিড়ালের দেখাশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস— এই তিন কাজ করেন মীম। তাঁকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা করছেন লিমনও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে যখন আলাদা কনটেন্ট বানাতেন, তখন নিজেদের কাজ একই রকম হতো। কিন্তু একসঙ্গে হওয়ায় কাজে বৈচিত্র্য এসেছে, ভিন্নতা এসেছে, বেড়েছে কাজের গতি।
স্মরণীয় মুহূর্ত
এক সন্ধ্যায় লিমন ও মীম ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরের আশপাশে ঘুরছিলেন। এ সময় ফুচকার দোকানে ফুচকা চাইতেই দোকানি তাঁদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করেন। তখন তাঁরা দোকানির কাছে জানতে চান, কোথায় ইংরেজি শিখেছেন তিনি। দোকানি উত্তর দেন, তাঁদের ভিডিও দেখে নোট টুকে ইংরেজিতে কথা বলা শিখেছেন।
উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা
দেশের অনেক শিক্ষার্থীর ইংরেজিতে কথা বলতে জড়তা কাজ করে। এই ভীতি দূর করতে চান মীম ও লিমন। ইংরেজি না জানার কারণে অনেকে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। ইংরেজি না জানা মানুষগুলোর জন্য এ ভাষা সহজভাবে শেখানোই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থীরা পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫-এ গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের মোট ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫০-এর অধিক দল অংশ নেয়, যেখানে মোট ১২
২ ঘণ্টা আগেবাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সাবার আগে ৩০ নম্বরের ব্যাকরণের কথা আসে। এখানে মোট ৬টি প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫। সব প্রশ্নে একটি বর্ণনামূলক এবং এর অথবায় একটি করে নির্ণয়মূলক প্রশ্ন থাকে। আমার মনে হয়, নির্ণয়মূলক প্রশ্নের উত্তর করা ভালো।
১২ ঘণ্টা আগেউন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, তুলনামূলক কম খরচ, সহজ ভিসাপ্রক্রিয়া এবং পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য নিউজিল্যান্ড। এখানে পড়াশোনার পর হাইকোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার হিসেবে নিযুক্ত ও সলিসিটর মাসুদ আলমের...
১৪ ঘণ্টা আগেস্বপ্ন, সাধনা আর বন্ধুত্বে ভর করে উচ্চশিক্ষার নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন যমজ বোন নুসরাত বিনতে জামান ও ইসরাত বিনতে জামান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নুসরাত সুযোগ পেয়েছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে।
১৪ ঘণ্টা আগে