নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।
কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৫৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র প্রধান অধ্যাপক শামীম রেজা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান।
১৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৫৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র প্রধান অধ্যাপক শামীম রেজা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান।
২২ মিনিট আগেডাকসু নির্বাচনে টিএসসি কেন্দ্রে শিবির সমর্থিত ভিপিপ্রার্থী আবু সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের ব্যালটে আগে থেকে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
৩৩ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রবেশপথে কৃত্রিম জটলার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভোটাররা।
১ ঘণ্টা আগে