Ajker Patrika

মাভাবিপ্রবি ভিসিসহ প্রশাসনের ৬ শিক্ষকের পদত্যাগ

ক্যাম্পাস ডেস্ক
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ৫১
মাভাবিপ্রবি ভিসিসহ প্রশাসনের ৬ শিক্ষকের পদত্যাগ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ছয়জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পদত্যাগ করেন। 

উপাচার্য ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুছা মিয়া, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট ড. মোসা. নার্গিছ আক্তার এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ পরামর্শ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. ফয়জুন নাহার মিম। 

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে এদিন উপাচার্যকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সুলাইমান জানান, ‘ভিসি স্যার মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগ করেছেন শুনলাম।’ ভিসির অবর্তমানে ক্যাম্পাস কীভাবে চলবে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। 

প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে ড. মুসা মিয়া বলেন, ‘সংকটকালীন ভিসি স্যারের অনুরোধে আমি প্রক্টর হয়েছি। যেহেতু তিনি পদত্যাগ করেছেন, তাই আমিও রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছি। আমাদের জায়গা থেকে সর্বেচ্চ চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় যে সরকারই থাকুক ভিসিকে তার কথা মানতে হতো। আমরা চেয়েছি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন কোনো সংঘাত না হয়। আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনো শিক্ষার্থীকেও যেন হয়রানি না করা হয় সার্বক্ষণিক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।’

অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন উপাচার্যের পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন তাই তিনি তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘যেহেতু পদত্যাগ করেছি, তাই এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিক্ষকেরা হয়তো বলতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল হোক, এর উত্তরোত্তর কল্যাণ কামনা করছি। যেহেতু আমি এত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করলে আমার ভালোই লাগবে। পদত্যাগ হলে যদি বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যায় তাহলে তাতেই আমার ভালো লাগবে।’ 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা গত সেমিস্টারগুলো খুব দ্রুত শেষ করেছেন। ভিসির অবর্তমানে তাঁরা সেশনজটের সম্মুখীন হবেন কি না—এ দ্বিধায় রয়েছেন। দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পর নতুন ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত তাঁদের একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত