মুনতাসির সিয়াম
বড় তিন বোনই ছিলেন নিজ নিজ সময়ের তুখোড় বিতার্কিক। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়; এমনকি টেলিভিশন বিতর্ক ও জাতীয় পর্যায়েও বিতার্কিক হিসেবে তাঁদের বেশ সুনাম ছিল। বোনদের দেখাদেখি ছোট্ট ইমার মনেও ঝোঁক চাপে বিতর্কের। ছোট্ট বয়সের সেই আগ্রহ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে দাঁড়ায় ভালোবাসায়। মূলত সেই জায়গা থেকে বড় বোনদের কাছে বিতর্কের হাতেখড়ি ইমার।
পরিশ্রম করতে হয়েছে ভীষণ
ইমার বিতর্কের হাতেখড়ি খুব কম বয়সে হলেও এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৩ সালে, কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির পর। তবে বিতার্কিক হয়ে ওঠা খুব একটা সহজ ছিল না অন্তর্মুখী ইমার। লক্ষ্য যেহেতু বহুদূর, যে করেই হোক মানসিক জড়তা কাটিয়ে উঠতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। শুরু হলো বোনদের কাছে তালিম নেওয়ার তোড়জোড়। অনবরত কথা বলার দক্ষতা অর্জনের জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রোজ কথা বলা অনুশীলন, নিজের কথা বলার ভঙ্গিমা ভিডিও করে দেখা এবং ভুলগুলো যাচাইয়ের পর বাচনভঙ্গি বদলানো—সেই তালিমে বাদ পড়েনি কোনো কিছু। চর্চার মধ্য দিয়ে একসময় পোক্ত হয়ে ওঠেন ইমা। যার নজির মেলে তাঁর প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার দিন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে। বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত সেই প্রতিযোগিতায় নিজ স্কুলকে বিজয়ী করেন ইমা; পাশাপাশি স্কুলজীবনে আন্তবোর্ড বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পরপর তিনবার বিজয়ী হয় তাঁর দল। সেই ধারাবাহিকতায় কলেজ বিতর্কেও তিনবার শ্রেষ্ঠ বক্তার তকমা এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নিজ দলকে কয়েকবার বিজয়ী ও রানারআপ খেতাব এনে দেন তিনি।
শিল্পকথন
বিতর্ক একধরনের শিল্প, আর সেই শিল্পকর্ম ইমার পরিবারেরই ঐতিহ্য। এর জন্য পরিবারের উৎসাহ ছিল শুরু থেকেই। স্কুল-কলেজে পড়াকালে বিতর্কের খাতিরে দেশের নানা জায়গায় ছুটতে হয়েছে ইমাকে। মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও কোনো বাধা ছিল না পরিবারের। একবার খুব জ্বর হয়েছিল ইমার। ঠিক সে সময় ডাক আসে একটি প্রতিযোগিতায়। অসুস্থতার কারণে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও সে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নিরাশ করেননি কাউকে। ঝুলিভর্তি বিজয়ের গৌরব নিয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন সেদিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও পরীক্ষার চাপে কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে না চাইলেও উৎসাহ জোগাত তাঁর পরিবার।
শিল্পী হয়ে ওঠা
২০২১ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন ইমা। তত দিনে বিতর্কেও বেশ তুখোড় তিনি। তাই ভর্তি হওয়ার পরপরই যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক ক্লাবে। গুরু হিসেবে বড় বোনেরা তো আগে থেকেই ছিলেন ছায়ার মতো। ক্লাবের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিযোগিতার মোড়কে নতুন এক অনুশীলন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ছায়া সংসদ টেলিভিশন বিতর্কে এ পর্যন্ত মোট তিনবার যোগ দিয়েছেন ইমা। প্রতিবারই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকে বিজয়ী করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। নানা সময় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নিজ দলের অর্জনগুলোও কম গৌরবের নয় তাঁর কাছে। ২০২২ সালে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারি পদক্ষেপ’ বিষয়ে ইউসিবি পার্লামেন্ট বিতর্কেও ইমার দক্ষতার ওপর ভর করে বিজয়ী হয় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়। পরের বছরও একই আয়োজনে বিজয়ী হন ইমা ও তাঁর দল।
ইমার পড়াশোনা ও বিতর্ক—দুটোই চলছে সমানতালে। তাঁর সঙ্গে নতুন দায়িত্ব যুক্ত হয়েছে প্রশিক্ষক হিসেবে। বড় বোনদের কাছ থেকে শেখা কৌশল ও নিজের অভিজ্ঞতা জমিয়ে নবীন বিতার্কিক গড়ে তোলার কাজ করছেন তিনি।
বড় তিন বোনই ছিলেন নিজ নিজ সময়ের তুখোড় বিতার্কিক। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়; এমনকি টেলিভিশন বিতর্ক ও জাতীয় পর্যায়েও বিতার্কিক হিসেবে তাঁদের বেশ সুনাম ছিল। বোনদের দেখাদেখি ছোট্ট ইমার মনেও ঝোঁক চাপে বিতর্কের। ছোট্ট বয়সের সেই আগ্রহ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে দাঁড়ায় ভালোবাসায়। মূলত সেই জায়গা থেকে বড় বোনদের কাছে বিতর্কের হাতেখড়ি ইমার।
পরিশ্রম করতে হয়েছে ভীষণ
ইমার বিতর্কের হাতেখড়ি খুব কম বয়সে হলেও এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৩ সালে, কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির পর। তবে বিতার্কিক হয়ে ওঠা খুব একটা সহজ ছিল না অন্তর্মুখী ইমার। লক্ষ্য যেহেতু বহুদূর, যে করেই হোক মানসিক জড়তা কাটিয়ে উঠতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। শুরু হলো বোনদের কাছে তালিম নেওয়ার তোড়জোড়। অনবরত কথা বলার দক্ষতা অর্জনের জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রোজ কথা বলা অনুশীলন, নিজের কথা বলার ভঙ্গিমা ভিডিও করে দেখা এবং ভুলগুলো যাচাইয়ের পর বাচনভঙ্গি বদলানো—সেই তালিমে বাদ পড়েনি কোনো কিছু। চর্চার মধ্য দিয়ে একসময় পোক্ত হয়ে ওঠেন ইমা। যার নজির মেলে তাঁর প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার দিন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে। বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত সেই প্রতিযোগিতায় নিজ স্কুলকে বিজয়ী করেন ইমা; পাশাপাশি স্কুলজীবনে আন্তবোর্ড বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পরপর তিনবার বিজয়ী হয় তাঁর দল। সেই ধারাবাহিকতায় কলেজ বিতর্কেও তিনবার শ্রেষ্ঠ বক্তার তকমা এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নিজ দলকে কয়েকবার বিজয়ী ও রানারআপ খেতাব এনে দেন তিনি।
শিল্পকথন
বিতর্ক একধরনের শিল্প, আর সেই শিল্পকর্ম ইমার পরিবারেরই ঐতিহ্য। এর জন্য পরিবারের উৎসাহ ছিল শুরু থেকেই। স্কুল-কলেজে পড়াকালে বিতর্কের খাতিরে দেশের নানা জায়গায় ছুটতে হয়েছে ইমাকে। মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও কোনো বাধা ছিল না পরিবারের। একবার খুব জ্বর হয়েছিল ইমার। ঠিক সে সময় ডাক আসে একটি প্রতিযোগিতায়। অসুস্থতার কারণে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও সে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নিরাশ করেননি কাউকে। ঝুলিভর্তি বিজয়ের গৌরব নিয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন সেদিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও পরীক্ষার চাপে কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে না চাইলেও উৎসাহ জোগাত তাঁর পরিবার।
শিল্পী হয়ে ওঠা
২০২১ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন ইমা। তত দিনে বিতর্কেও বেশ তুখোড় তিনি। তাই ভর্তি হওয়ার পরপরই যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক ক্লাবে। গুরু হিসেবে বড় বোনেরা তো আগে থেকেই ছিলেন ছায়ার মতো। ক্লাবের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিযোগিতার মোড়কে নতুন এক অনুশীলন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ছায়া সংসদ টেলিভিশন বিতর্কে এ পর্যন্ত মোট তিনবার যোগ দিয়েছেন ইমা। প্রতিবারই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকে বিজয়ী করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। নানা সময় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নিজ দলের অর্জনগুলোও কম গৌরবের নয় তাঁর কাছে। ২০২২ সালে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারি পদক্ষেপ’ বিষয়ে ইউসিবি পার্লামেন্ট বিতর্কেও ইমার দক্ষতার ওপর ভর করে বিজয়ী হয় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়। পরের বছরও একই আয়োজনে বিজয়ী হন ইমা ও তাঁর দল।
ইমার পড়াশোনা ও বিতর্ক—দুটোই চলছে সমানতালে। তাঁর সঙ্গে নতুন দায়িত্ব যুক্ত হয়েছে প্রশিক্ষক হিসেবে। বড় বোনদের কাছ থেকে শেখা কৌশল ও নিজের অভিজ্ঞতা জমিয়ে নবীন বিতার্কিক গড়ে তোলার কাজ করছেন তিনি।
আগামী ১৭ ও ২৪ মে (দুই শনিবার) সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ দুই দিন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শত শত শিক্ষার্থী গবেষণা নিয়ে পড়ে থাকেন অন্ধকারে। একে একে বছর পেরোয়, স্নাতকোত্তরও শেষ হয়ে যায়, কিন্তু গবেষণার স্বাদ গ্রহণ করা হয় না। ঠিক সেই জায়গা থেকেই দুটি অ্যাপ বদলে দিচ্ছে তরুণ গবেষকদের গল্প। ‘গবেষণা ১০১’ এবং ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’—এ দুটি মোবাইল অ্যাপ, যা স্মার্টফোনের
২০ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিবহন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক বিন আতিক। তিনি আগামী দুই বছরের জন্য এ দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।
২ দিন আগেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
২ দিন আগে