Ajker Patrika

জবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৩৮
জবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

জাতীয় সংসদের প্রজ্ঞাপনে ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাই ২০ অক্টোবরকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। গৌরব ও সাফল্যের এ ১৯ বছরে ক্যাম্পাসের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয়টি এক অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার তুলে ধরেছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।

বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চাই
প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনায় অতীতের সকল অপ্রাপ্তি, অপূর্ণতা আর বাঁধা কাটিয়ে সাফল্যের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাক ভালোবাসার জবি। অল্প সময়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজের স্থান সুদৃঢ় করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রিয় জবিকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা, সুষ্ঠু রাজনীতিতে শুধু দেশসেরা নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চাই।

মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জান্নাতুল মীমজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভালোবাসার অপর নাম
প্রাণপ্রিয় জবি দুই দশকে পদার্পন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনটি এমন এক মনোমুগ্ধকর দিন, যেটির অপেক্ষায় প্রতিটি শিক্ষার্থী মুখিয়ে থাকেন। এদিন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষকদের থেকে শুরু করে প্রতিটি শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী সবাই নিজেদের সব ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে দিনটি উদযাপন করেন। এই দিনটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেন হরেক রকমের আনন্দ–উল্লাসে।

জান্নাতুল মীম,শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়শারমিন আক্তার আয়শাসেরাদের সেরা হোক জবি
ভোরের নতুন সূর্য মানেই নতুন স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার আরও একটা অপার সম্ভাবনা। ২০ হাজারেরও অধিক এমন স্বপ্নকে ঠাঁই দিয়ে তাদের জীবনকে রঙিন করে তোলা তীর্থভূমিই হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছোট্ট চারা গাছ থেকে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন লালনের মহীরুহ বৃক্ষ হয়ে ওঠা আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় দুই দশকে পদার্পন করেছে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা, স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরব দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে অবস্থান গ্রহণ করুক বিশ্ব মানচিত্রে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দেশের জন্য বয়ে আনুক সম্মান আর সব অর্জন।

শারমিন আক্তার আয়শা,শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

নুসরাত জাহান রিজুঐতিহ্য ও আধুনিকতায় সমৃদ্ধ হোক জবি
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের স্পন্দন। হাঁটি পা পা করে মনুষ্য জীবনচক্রের ন্যায় জগা বাবুর পাঠশালা থেকে আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যা প্রায় ২০ হাজারের মতো চলমান শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণ বা জীবন বদলে দেওয়ার একটি কেন্দ্র। ঐতিহ্যের শেকড়কে কেন্দ্র করে জগন্নাথ সুসজ্জিত হচ্ছে দিনের পর দিন। আধুনিকায়ন ও সময়োপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা, সমমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিযোগীতায় জবি আজ বাংলাদেশের শিক্ষাজগতের নতুন এক শক্তি। সমৃদ্ধির মাঝেও রয়েছে জবির নানারকম দুরাবস্থার ছাপ। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সব দুরাবস্থা ঘুচবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

নুসরাত জাহান রিজু, শিক্ষার্থী, সংগীত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মো. তুহিন মিয়াউচ্চশিক্ষায় রোল মডেল হবে জবি
ক্রমবর্ধমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ২০তম বর্ষে পদার্পণ করছে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। একজন মানুষের জন্ম তারিখ বা জন্মদিবস যেমন তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে আলাদা করে তোলে, তেমনি একজন ছাত্রকে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার দিবস ততটাই আলাদা করে। হাসি–কান্না, আনন্দ–বেদনা, আড্ডা সবকিছুর কেন্দ্র হয়ে ওঠে এ দিবস। শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম ও স্বকীয় গুণাবলীতে দেশে–বিদেশে সর্বত্রই অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের এ স্পন্দন।

মো. তুহিন মিয়া, শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সাকিবুল ইসলামএগিয়ে যাক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জবি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি পাঠাশালা থেকে রূপান্তরিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে জায়গা করে নিয়ে খুব অল্প সময়ে অ্যাকাডেমিক, সাংস্কৃতিক এবং চাকরির বাজারে এগিয়ে গেছে ঈর্ষণীয়ভাবে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা আন্দোলন–সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আমাদের সত্যের পথে থাকার সাহস জোগায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষার্থেই জবিয়ানরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। অবকাঠামোগত সুযোগের যথেষ্ঠ অভাব থাকলেও আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেছে অনেক দূর। এগিয়ে যাক দুর্বার গতিতে আমাদের এই প্রিয় বিদ্যাপীঠ।

সাকিবুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

‘কলেমা পড়ে বিয়ে’ করা স্ত্রীর ঘরে গিয়ে মধ্যরাতে ঘেরাও পুলিশ কনস্টেবল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত