Ajker Patrika

বক্তৃতায় দারুণ নাজনীন

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ১৩
বক্তৃতায় দারুণ নাজনীন

মুহুর্মুহু করতালির শব্দ কানে আসছে। আবার মুহূর্তে নিস্তব্ধ। কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে যাই। দেখি হলভর্তি মানুষ। ডায়াসে দাঁড়িয়ে একজন যেভাবে যুক্তিতর্ক তুলে ধরছে, তাতে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সে-ই যে সেরা, সেটা যেন শুধু বিচারক নন, উপস্থিত সবাই বুঝতে পারছিলেন। আমিও তার উপস্থাপন ও বক্তৃতায় মুগ্ধ হই। নজরকাড়া এই বিতার্কিকের নাম জোবায়দা নাজনীন।

যশোরের ঝিকরগাছায় জাগ্রত ঝিকরগাছা ট্রাস্টের আয়োজনে অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘মিথ্যামুক্ত সমাজ গড়ি, শুদ্ধাচার অনুশীলন করি’ এই ভাবনায় আন্ত-উপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ঝিকরগাছা সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের হলরুমে সমাপনী পর্বে পক্ষ দলের নেতা জোবায়দা নাজনীন শ্রেষ্ঠ বক্তা এবং তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

জোবায়দা নাজনীন যশোরের ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। শ্রেণিতে সে প্রথম। উপস্থাপন করা, বক্তৃতা ও বিতর্কে তার জুড়ি নেই। এটুকু বয়সেই কৃতিত্বের জন্য বেশ কয়েকটি সনদ তার হাতে উঠেছে। নাজনীন জীবনে প্রথম মঞ্চে উঠেছিল তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়, বাবার ইচ্ছা আর শিক্ষকদের প্রেরণায় বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে। কিন্তু মনের মতো হয়নি সেই উপস্থাপনা। অনেক লোকের সামনে কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়া সেই নাজনীন এখন মঞ্চে শুধু উপস্থাপন করা নয়, বক্তৃতা ও বিতর্কে সমান পারদর্শী। আর এসবের স্বীকৃতিতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পেয়েছে একাধিক পুরস্কার।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় জীবনের প্রথম পুরস্কারটি তার হাতে ওঠে উপস্থাপন করার কারণে। সেটিও নাজনীনের মনে আছে। এরপর একে একে উপস্থাপন, বিতর্ক ও বক্তৃতা করে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে সে। ২০২২ সালে জাতীয় শিশু সপ্তাহ উপলক্ষে ধারাবাহিক গল্প বলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছিল নাজনীন। এ বছর জাতীয় শিশু সপ্তাহ উপলক্ষে উপস্থিত বক্তৃতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম হয় সে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে নির্ধারিত বক্তৃতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও সে প্রথম হয়। নাজনীন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ-৫সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।

ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহছান উদ্দীন বলেন, জোবায়দা নাজনীন খুবই মেধাবী।

জোবায়দার বাবা এস এম আমিনুল ইসলাম ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মা মোসাম্মত শাহিদা খাতুন ময়না। তাঁরা ঝিকরগাছা হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। নাজনীন ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত