নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ
শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, গবেষণা ও উন্নয়নের ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৬ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ৩ জুন প্রথম ক্লাস শুরুর দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় পথচলার মাইলফলক উদ্যাপনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ।
আমার প্রত্যাশা, আমার স্বপ্ন
একসময় এখানে ছাত্র হিসেবে স্বপ্ন বুনেছিলাম, আজ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছি। এই পথচলা দিয়েছে গর্ব, দিয়েছে দায়িত্ব; সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতিগাথা। স্মরণে আসে শুরুর সেই দিনগুলো; ছোট পরিসরের ক্যাম্পাস, সীমিত সুযোগ-সুবিধা; তবু আমাদের স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া। আজকের বিস্তৃত পরিসর, উন্নত কাঠামো এবং উদ্যমী প্রজন্ম দেখে গর্বে বুক ভরে ওঠে। আমার স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার দীপ্ত কেন্দ্র। গড়ে উঠুক আধুনিক গবেষণাগার, সমৃদ্ধ পাঠাগার ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকসমাজ। এখানে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠুক এক নিরাপদ, মানবিক ও মুক্ত পরিবেশে; যেখানে কোনো ভয় কিংবা অন্যায় তাদের স্বপ্নভুবনকে স্পর্শ করতে পারবে না।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান
এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান, সংস্কৃতি ও চিন্তার জগতে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছে। এই ২০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি আগামীর পথচলায় রয়েছে অনেক সুযোগ
ও সম্ভাবনা। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের পাঠক্রম এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসন ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রয়াসে এটি হয়ে উঠবে অনন্য বিদ্যাপীঠ, যেখানে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়; বরং মানবিকতা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেওয়া হবে। নজরুল-চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেন সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক, প্রগতিশীল এবং ন্যায়ের সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে—এটাই আমার আন্তরিক প্রত্যাশা।
প্রাপ্তির ঠিকানা, প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে পা রাখার যে উত্তেজনা, তার ঠিকানা হয়ে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সেই দিন আজও স্মৃতির অ্যালবামে ঝলমল করে। ছোটবেলা থেকে শিক্ষক বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও গড়েছি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পূর্ণতা এসেছে এখানেই, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে আজ আমি নিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছি। এই অর্জনের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। এখানেই জ্ঞান অর্জন করেছি, এখানেই জ্ঞান বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। স্বপ্ন দেখি, এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয়ে উঠবে অনন্য, গর্বের প্রতীক।
নজরুলের বিদ্রোহী চেতনায় উজ্জীবিত হোক
আমাদের প্রত্যাশা, এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আন্তর্জাতিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠুক শ্রদ্ধাবোধ আর সহযোগিতার সম্পর্ক। প্রশাসন হোক স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল। অবকাঠামো উন্নয়ন হোক পরিকল্পিত। আমরা চাই একটা সবুজ, পরিপাটি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস। লাইব্রেরি, হল, চিকিৎসা, খাবার, নিরাপত্তা—সব খাতেই থাকুক সহজ আর ভালো মানের নিশ্চয়তা। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নজরুল ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি আরও উদ্যোগ নেওয়া হোক। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ নিয়ে নতুন ভাবনা তৈরি হোক এই জায়গা থেকে। সবচেয়ে বড় কথা, নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা আর মানবিকতা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হয়ে থাকে। ২০ বছরে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আগামী দিনের আলোকিত ঠিকানা।
নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার
অল্প সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের নানান প্রান্তে নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার এ কথাই মনে করিয়ে দেয় ‘ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,/ খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া/ উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!’ এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার প্রত্যাশা অসীম। আমি স্বপ্ন দেখি, এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিক্ষা-গবেষণায়’ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেবে। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ উন্নত আবাসনব্যবস্থা হবে, মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা থাকবে, হলগুলো পড়াশোনামুখী হবে। ‘ইনোভেটিভ এবং গবেষণালব্ধ’ আলোচনায় ক্লাসরুমগুলো মুখর হবে। শিক্ষার্থীরা বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পর্শে বেড়ে ওঠা হাজারো তরুণ-তরুণী নিজের লালিত স্বপ্নকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।
জ্ঞানচর্চা, শান্তি ও সৃজনশীলতার জায়গা
নিজের ভেতরে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে সদ্য কলেজ ডিঙানো ছাত্রছাত্রীরা পা রাখে এই ক্যাম্পাস আঙিনায়। চারপাশের অচেনা মুখগুলো ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আপন মানুষ। ক্লাস, ক্যাফে, লাইব্রেরি, সংস্কৃতিসন্ধ্যা, অ্যাসাইনমেন্ট জমা, হাসি-কান্না—সব মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার জীবনের গল্পের অন্যতম অধ্যায় হয়ে রয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি কিছু নয়; শুধু একটা এমন পরিবেশ, যেখানে ভয় বা হতাশা নয়, বরং বিশ্বাস জন্মায়। যেখানে শিক্ষক হবেন অনুপ্রেরণা, আর পাঠ্যবইয়ের বাইরের জ্ঞানও সমান গুরুত্ব পাবে। আমরা চাই এখানে যেন ছাত্ররাজনীতির নামে কোনো দলাদলি, ভয়ের পরিবেশ বা দখলদারত্ব না থাকে। শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে স্বপ্ন দেখতে পারবে, নেতৃত্বে আসবে মেধা ও নীতির মাধ্যমে।
শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, গবেষণা ও উন্নয়নের ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৬ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ৩ জুন প্রথম ক্লাস শুরুর দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় পথচলার মাইলফলক উদ্যাপনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ।
আমার প্রত্যাশা, আমার স্বপ্ন
একসময় এখানে ছাত্র হিসেবে স্বপ্ন বুনেছিলাম, আজ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছি। এই পথচলা দিয়েছে গর্ব, দিয়েছে দায়িত্ব; সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতিগাথা। স্মরণে আসে শুরুর সেই দিনগুলো; ছোট পরিসরের ক্যাম্পাস, সীমিত সুযোগ-সুবিধা; তবু আমাদের স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া। আজকের বিস্তৃত পরিসর, উন্নত কাঠামো এবং উদ্যমী প্রজন্ম দেখে গর্বে বুক ভরে ওঠে। আমার স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার দীপ্ত কেন্দ্র। গড়ে উঠুক আধুনিক গবেষণাগার, সমৃদ্ধ পাঠাগার ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকসমাজ। এখানে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠুক এক নিরাপদ, মানবিক ও মুক্ত পরিবেশে; যেখানে কোনো ভয় কিংবা অন্যায় তাদের স্বপ্নভুবনকে স্পর্শ করতে পারবে না।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান
এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান, সংস্কৃতি ও চিন্তার জগতে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছে। এই ২০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি আগামীর পথচলায় রয়েছে অনেক সুযোগ
ও সম্ভাবনা। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের পাঠক্রম এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসন ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রয়াসে এটি হয়ে উঠবে অনন্য বিদ্যাপীঠ, যেখানে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়; বরং মানবিকতা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেওয়া হবে। নজরুল-চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেন সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক, প্রগতিশীল এবং ন্যায়ের সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে—এটাই আমার আন্তরিক প্রত্যাশা।
প্রাপ্তির ঠিকানা, প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে পা রাখার যে উত্তেজনা, তার ঠিকানা হয়ে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সেই দিন আজও স্মৃতির অ্যালবামে ঝলমল করে। ছোটবেলা থেকে শিক্ষক বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও গড়েছি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পূর্ণতা এসেছে এখানেই, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে আজ আমি নিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছি। এই অর্জনের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। এখানেই জ্ঞান অর্জন করেছি, এখানেই জ্ঞান বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। স্বপ্ন দেখি, এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয়ে উঠবে অনন্য, গর্বের প্রতীক।
নজরুলের বিদ্রোহী চেতনায় উজ্জীবিত হোক
আমাদের প্রত্যাশা, এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আন্তর্জাতিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠুক শ্রদ্ধাবোধ আর সহযোগিতার সম্পর্ক। প্রশাসন হোক স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল। অবকাঠামো উন্নয়ন হোক পরিকল্পিত। আমরা চাই একটা সবুজ, পরিপাটি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস। লাইব্রেরি, হল, চিকিৎসা, খাবার, নিরাপত্তা—সব খাতেই থাকুক সহজ আর ভালো মানের নিশ্চয়তা। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নজরুল ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি আরও উদ্যোগ নেওয়া হোক। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ নিয়ে নতুন ভাবনা তৈরি হোক এই জায়গা থেকে। সবচেয়ে বড় কথা, নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা আর মানবিকতা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হয়ে থাকে। ২০ বছরে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আগামী দিনের আলোকিত ঠিকানা।
নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার
অল্প সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের নানান প্রান্তে নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার এ কথাই মনে করিয়ে দেয় ‘ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,/ খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া/ উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!’ এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার প্রত্যাশা অসীম। আমি স্বপ্ন দেখি, এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিক্ষা-গবেষণায়’ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেবে। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ উন্নত আবাসনব্যবস্থা হবে, মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা থাকবে, হলগুলো পড়াশোনামুখী হবে। ‘ইনোভেটিভ এবং গবেষণালব্ধ’ আলোচনায় ক্লাসরুমগুলো মুখর হবে। শিক্ষার্থীরা বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পর্শে বেড়ে ওঠা হাজারো তরুণ-তরুণী নিজের লালিত স্বপ্নকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।
জ্ঞানচর্চা, শান্তি ও সৃজনশীলতার জায়গা
নিজের ভেতরে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে সদ্য কলেজ ডিঙানো ছাত্রছাত্রীরা পা রাখে এই ক্যাম্পাস আঙিনায়। চারপাশের অচেনা মুখগুলো ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আপন মানুষ। ক্লাস, ক্যাফে, লাইব্রেরি, সংস্কৃতিসন্ধ্যা, অ্যাসাইনমেন্ট জমা, হাসি-কান্না—সব মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার জীবনের গল্পের অন্যতম অধ্যায় হয়ে রয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি কিছু নয়; শুধু একটা এমন পরিবেশ, যেখানে ভয় বা হতাশা নয়, বরং বিশ্বাস জন্মায়। যেখানে শিক্ষক হবেন অনুপ্রেরণা, আর পাঠ্যবইয়ের বাইরের জ্ঞানও সমান গুরুত্ব পাবে। আমরা চাই এখানে যেন ছাত্ররাজনীতির নামে কোনো দলাদলি, ভয়ের পরিবেশ বা দখলদারত্ব না থাকে। শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে স্বপ্ন দেখতে পারবে, নেতৃত্বে আসবে মেধা ও নীতির মাধ্যমে।
২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো ভয়ভীতি বা সংশয় থাকার কারণ নেই। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করলে দেখবে, বাংলা পরীক্ষাই তোমার সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ; তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত।
১৮ ঘণ্টা আগেসৃজনশীল প্রশ্ন: ক ও খ বিভাগে সর্বমোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে। ক বিভাগ থেকে ২টি প্রশ্নের (আর্থিক বিবরণী) উত্তর দিতে হবে। খ বিভাগের ৯টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৫টির উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার হলে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যেসব কৌশল অবলম্বন করতে হয়...
১৮ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় জিআইএসটি আন্তর্জাতিক বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দেশটির গোয়াংজু ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার ও কৃষিগুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ফির প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে ভর্তির..
১ দিন আগে