শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।
নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।
স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।
বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।
৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।
৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।
৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’
প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’
‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।
‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’
জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।
নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।
স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।
বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।
৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।
৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।
৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’
প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’
‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।
‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’
জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।
নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।
স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।
বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।
৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।
৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।
৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’
প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’
‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।
‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’
জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।
নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।
স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।
বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।
৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।
৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।
৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’
প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’
‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।
‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’
জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৫ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না।
০৩ অক্টোবর ২০২১
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।
ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।
এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।
সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।
পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।
নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।
ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।
এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।
সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।
পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।
নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না।
০৩ অক্টোবর ২০২১
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৫ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না।
০৩ অক্টোবর ২০২১
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৫ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রেগুলেশনটি গতকাল রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর, মোট ২০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন কোর্সে ৮ নম্বর—মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন কোর্সে ৫ নম্বর—মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে সংশোধিত রেগুলেশনে।
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রেগুলেশনটি গতকাল রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর, মোট ২০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন কোর্সে ৮ নম্বর—মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন কোর্সে ৫ নম্বর—মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে সংশোধিত রেগুলেশনে।
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নকাঠামো নিয়ে রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না।
০৩ অক্টোবর ২০২১
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
৫ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে