আবদুল্লাহ আল মামুন
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পেতে পারেন?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পান। খুব মেধাবী এবং এক্সট্রা অর্ডিনারির শিক্ষার্থী না হলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া কঠিন। এই জায়গাগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের হার খুব কম। শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিপ্রক্রিয়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আলাদা। এখানে একজন শিক্ষার্থীর অনেক কিছু যাচাই-বাছাই করে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাঁদের উচিত হবে নির্দিষ্ট দেশের র্যাঙ্কিংয়ে তুলনামূলক নিচের দিকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা। এতে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডির জন্য আবেদন করলে ভর্তির সুযোগ অনেকাংশে বেড়ে যায়।
প্রশ্ন: যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সমঝোতা করতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: এ জন্য যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহ-উপাচার্যের (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স) সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যোগাযোগ করতে হবে। তখন তারা সমঝোতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন জানিয়ে দেবে। এরপর গাইডলাইন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে সমঝোতা এগিয়ে নেওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে পারলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ ও গবেষণার সুযোগ পাওয়ার কাজ সহজ হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্য কীভাবে বিদেশি ফান্ড পেতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: সরকার থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব কম টাকা পায়। এ ঘাটতি পূরণে বাইরের দেশ থেকে ফান্ড আনতে হবে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে গবেষণার জন্য অনেক টাকা পেত। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর থেকে এমন সহায়তা কমে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু দেশ। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশও এমন সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং সরকার যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সঠিক পন্থায় যোগাযোগ করতে পারে, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফান্ড পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বিবিআরসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য ফান্ড দেয়। ব্রাজিল ও ভারত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা করে গবেষণার জন্য অনেক ফান্ড পাচ্ছে। ব্রাজিল ও ভারতের মতো বাংলাদেশও বিবিআরসির সঙ্গে গবেষণা ফান্ডিংয়ের জন্য যোগাযোগ
করতে পারে।
প্রশ্ন: অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: আমি চিলির বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিপ্লবের মিল খুঁজে পেয়েছি। চিলিও বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে খুব দ্রুত শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে গেছে। চিলি কীভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে, বাংলাদেশ তা খুঁজে দেখতে পারে। এরপর চিলির এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক দিকগুলো বাংলাদেশও গ্রহণ করতে পারে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পেতে পারেন?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পান। খুব মেধাবী এবং এক্সট্রা অর্ডিনারির শিক্ষার্থী না হলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া কঠিন। এই জায়গাগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের হার খুব কম। শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিপ্রক্রিয়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আলাদা। এখানে একজন শিক্ষার্থীর অনেক কিছু যাচাই-বাছাই করে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাঁদের উচিত হবে নির্দিষ্ট দেশের র্যাঙ্কিংয়ে তুলনামূলক নিচের দিকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা। এতে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডির জন্য আবেদন করলে ভর্তির সুযোগ অনেকাংশে বেড়ে যায়।
প্রশ্ন: যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সমঝোতা করতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: এ জন্য যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহ-উপাচার্যের (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স) সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যোগাযোগ করতে হবে। তখন তারা সমঝোতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন জানিয়ে দেবে। এরপর গাইডলাইন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে সমঝোতা এগিয়ে নেওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে পারলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ ও গবেষণার সুযোগ পাওয়ার কাজ সহজ হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্য কীভাবে বিদেশি ফান্ড পেতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: সরকার থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব কম টাকা পায়। এ ঘাটতি পূরণে বাইরের দেশ থেকে ফান্ড আনতে হবে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে গবেষণার জন্য অনেক টাকা পেত। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর থেকে এমন সহায়তা কমে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু দেশ। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশও এমন সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং সরকার যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সঠিক পন্থায় যোগাযোগ করতে পারে, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফান্ড পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বিবিআরসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য ফান্ড দেয়। ব্রাজিল ও ভারত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা করে গবেষণার জন্য অনেক ফান্ড পাচ্ছে। ব্রাজিল ও ভারতের মতো বাংলাদেশও বিবিআরসির সঙ্গে গবেষণা ফান্ডিংয়ের জন্য যোগাযোগ
করতে পারে।
প্রশ্ন: অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে?
অধ্যাপক অ্যালেক্স: আমি চিলির বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিপ্লবের মিল খুঁজে পেয়েছি। চিলিও বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে খুব দ্রুত শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে গেছে। চিলি কীভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে, বাংলাদেশ তা খুঁজে দেখতে পারে। এরপর চিলির এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক দিকগুলো বাংলাদেশও গ্রহণ করতে পারে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু পড়াশোনা নয়, এটি স্বপ্ন গড়ে তোলার, লক্ষ্য নির্ধারণের এবং ক্যারিয়ার তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য। তাঁদের মনে এমন পরিকল্পনা থাকতে পারে—আমি কী হব, আমি কী করব, আমি কী করতে চাই এবং...
৪ ঘণ্টা আগেমনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়েত্তি। বয়স সবে ৯ বছর। এ ছোট্ট বয়সেই রোবট বানিয়ে তাঁর অর্জনের ঝুলিতে পুরেছে গোল্ড মেডেল। শুধু কি তা-ই? সে লিখেছে গল্পের বই, শিখেছে প্রোগ্রামিং!
৫ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৮ জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫। জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের...
৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষাজীবন শুধু পরীক্ষার খাতা ভরাট করার জন্য নয়। এটি আসলে ভবিষ্যৎ-জীবনের প্রস্তুতির সময়। একজন শিক্ষার্থীর বড় কাজ শুধু বই মুখস্থ করা নয়; বরং এমন শেখার কৌশল আয়ত্ত করা, যা দ্রুত, গভীর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে।
৭ ঘণ্টা আগে