মো. শাকিলুর জামান শাকিল
শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
ওমানের সুলতান সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, ফুল ফান্ডেড বা সম্পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে। এই স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীরা ‘ওমানি প্রোগ্রাম ফর কালচারাল অ্যান্ড সায়েন্টিফিক কো-অপারেশন’-এর আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (eSIF পূরণের মাধ্যমে) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
১৯ ঘণ্টা আগেবিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি) তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস (বিইউএফটিআইমান) কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।
১ দিন আগেইতালির ইউনিভার্সিটি অব পিসা স্কলারশিপ-২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২ দিন আগে