সুন্দর পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সহজ করে দেয়। পরিকল্পনা মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়ায়, বিপরীতে সময় অপচয় ও কাজের চাপ কমিয়ে দেয়। তাই প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এ জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে একটি রুটিন করে নেওয়া জরুরি, যেন কোনো কাজ বাদ না পড়ে।
সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন
শরীর ভালো থাকলে মন যেমন ফুরফুরে ও সতেজ থাকে, তেমনি কাজের স্পৃহা ও পড়াশোনাতে আগ্রহও বাড়ে। তাই নিয়ম করে পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কম অথবা বেশি খাওয়া দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন ধারণে শরীরের প্রকৃতি অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অতিমাত্রায় চা-কফির অভ্যাস ত্যাগ করে টাটকা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। আর অবশ্যই রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিট হাঁটলে মন ও শরীর সতেজ থাকে।
মেমোরি সায়েন্স
সময়ের সঙ্গে কোনো তথ্য মনে রাখার প্রক্রিয়া হলো মেমোরি। তিনটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এই মেমোরি সায়েন্স গঠিত হয়। তার মধ্যে এনকোডিং হলো কোনো তথ্যকে ব্রেইনের ভাষায় রূপান্তর, ঠিক যেমন টাকা পরিবর্তন করা হয় ডলারে। দ্বিতীয়ত, স্টোরেজ বা সংরক্ষণ কোনো তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রধানত অ্যামিগডালা, হিপ্পোক্যাম্পাস ও সেরেবেলাম নামক মস্তিষ্কের তিনটি অংশ কাজ করে। সবশেষে পুনরুদ্ধার ক্ষমতা বলতে আমরা পুনরুদ্ধার ক্ষমতাকেই বুঝে থাকি। অর্থাৎ কে কত অতীতের কথা মনে করতে পারে–সেই দিকটি ইঙ্গিত করছে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে যত বেশি সংযোগ (সিন্যাপস) স্থাপিত হবে, তত বেশি স্মৃতি মনে রাখা সম্ভব হবে।
SQ3R সূত্র
এটি পড়াশোনার একটি বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা। বই পড়া নিয়ে আমেরিকার ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফ্রান্সিস প্লিজেন্ট রবিনসন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। সে পদ্ধতির নাম SQ3R-SQRRR। এটি বিশ্লেষণ করলে Survey, Question, Read, Recite, Review ধারণাগুলো পাওয়া যায়। বই হাতে নিয়েই পড়তে শুরু করার আগে সেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার দেখে নিলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। পরে ওই বিষয়ে নিজেই কিছু প্রশ্ন তৈরি করা যেন উত্তরগুলো জানার এবং পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। দ্বিতীয় পর্যায় শেষে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার জন্য প্রতিটি শব্দ বুঝে বুঝে পড়তে হবে। কেবল একবার পড়ে বই রেখে দিলে চলবে না। একটি বিষয় ভালোভাবে আত্মস্থ করার জন্য বারবার পড়তে হবে। সবশেষে পুরো অংশটুকু পড়া হয়ে গেলে রিভিশন দিতে হবে এবং নিজের তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
বারবার অনুশীলন
নির্দিষ্ট বিরতিতে বারবার অনুশীলন স্মৃতিশক্তি সচল রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য কোনো একটি বিষয় পড়ার পর নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। দেখা যায়, একটি বিষয় পড়ার পর কিছু প্রশ্ন সমাধান করলে বহুদিন মেমোরিতে থাকে। পারস্পরিক আলোচনার মধ্য দিয়েও দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি তৈরি হয়। তবে অনুশীলনের একটি সুন্দর উপায় হলো অন্যকে শেখানো। কেননা লার্নিং বাই টিচিং ব্যক্তির সামারাইজিং, যোগাযোগসহ বিভিন্ন দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।
মনোযোগ বজায় রাখা
একটানা পড়াশোনা না করে প্রতি ২৫ মিনিট পরপর ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া মনোযোগ বজায় রাখার অন্যতম কৌশল। পাশাপাশি মৃদু আওয়াজ করে বা মাঝে মাঝে হেঁটে হেঁটেও পড়া যেতে পারে। মনোযোগ নষ্ট করে এমন ডিভাইস বা জিনিসপত্র হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখা উচিত। একই সময়ে একাধিক কাজ বা মাল্টি টাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিরত থাকুন।
সঠিক সময় নির্ধারণ
আমাদের একেকজন একেক সময়ে ভালো শিখতে পারে—কেউ সকালে, কেউ বিকেলে, আবার কেউবা রাতে। তাই শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য এমন একটি উপযুক্ত সময় খুঁজে নিতে হবে, যেন তার মনোযোগ ও পড়ার আগ্রহ সবচেয়ে ভালো থাকে। তবে নিয়মিত অনেক রাত জেগে পড়াটা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। এর জন্য আমাদের সারকেডিয়ান রিদম নষ্ট হয়। তাই রাত জেগে পড়ার অভ্যাস থাকলে কাটিয়ে ওঠাই ভালো।
সময়ানুবর্তিতা
পৃথিবীর সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ থাকে। কেউ এই সময় কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, আবার কেউ অপরিকল্পিতভাবে সময় নষ্ট করে বেড়ান। মনে রাখা জরুরি, সময়ের মূল্য দিয়ে প্রতিটা কাজ করা ব্যক্তিরা দিন শেষে সফল হন। অপর দিকে যাঁরা সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরা পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষার হলে হতাশার মধ্যে থাকেন। তাই সবাইকে সময় মেনে কাজ করতে হবে।
সুন্দর পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সহজ করে দেয়। পরিকল্পনা মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়ায়, বিপরীতে সময় অপচয় ও কাজের চাপ কমিয়ে দেয়। তাই প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এ জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে একটি রুটিন করে নেওয়া জরুরি, যেন কোনো কাজ বাদ না পড়ে।
সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন
শরীর ভালো থাকলে মন যেমন ফুরফুরে ও সতেজ থাকে, তেমনি কাজের স্পৃহা ও পড়াশোনাতে আগ্রহও বাড়ে। তাই নিয়ম করে পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কম অথবা বেশি খাওয়া দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন ধারণে শরীরের প্রকৃতি অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অতিমাত্রায় চা-কফির অভ্যাস ত্যাগ করে টাটকা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। আর অবশ্যই রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিট হাঁটলে মন ও শরীর সতেজ থাকে।
মেমোরি সায়েন্স
সময়ের সঙ্গে কোনো তথ্য মনে রাখার প্রক্রিয়া হলো মেমোরি। তিনটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এই মেমোরি সায়েন্স গঠিত হয়। তার মধ্যে এনকোডিং হলো কোনো তথ্যকে ব্রেইনের ভাষায় রূপান্তর, ঠিক যেমন টাকা পরিবর্তন করা হয় ডলারে। দ্বিতীয়ত, স্টোরেজ বা সংরক্ষণ কোনো তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রধানত অ্যামিগডালা, হিপ্পোক্যাম্পাস ও সেরেবেলাম নামক মস্তিষ্কের তিনটি অংশ কাজ করে। সবশেষে পুনরুদ্ধার ক্ষমতা বলতে আমরা পুনরুদ্ধার ক্ষমতাকেই বুঝে থাকি। অর্থাৎ কে কত অতীতের কথা মনে করতে পারে–সেই দিকটি ইঙ্গিত করছে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে যত বেশি সংযোগ (সিন্যাপস) স্থাপিত হবে, তত বেশি স্মৃতি মনে রাখা সম্ভব হবে।
SQ3R সূত্র
এটি পড়াশোনার একটি বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা। বই পড়া নিয়ে আমেরিকার ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফ্রান্সিস প্লিজেন্ট রবিনসন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। সে পদ্ধতির নাম SQ3R-SQRRR। এটি বিশ্লেষণ করলে Survey, Question, Read, Recite, Review ধারণাগুলো পাওয়া যায়। বই হাতে নিয়েই পড়তে শুরু করার আগে সেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার দেখে নিলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। পরে ওই বিষয়ে নিজেই কিছু প্রশ্ন তৈরি করা যেন উত্তরগুলো জানার এবং পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। দ্বিতীয় পর্যায় শেষে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার জন্য প্রতিটি শব্দ বুঝে বুঝে পড়তে হবে। কেবল একবার পড়ে বই রেখে দিলে চলবে না। একটি বিষয় ভালোভাবে আত্মস্থ করার জন্য বারবার পড়তে হবে। সবশেষে পুরো অংশটুকু পড়া হয়ে গেলে রিভিশন দিতে হবে এবং নিজের তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
বারবার অনুশীলন
নির্দিষ্ট বিরতিতে বারবার অনুশীলন স্মৃতিশক্তি সচল রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য কোনো একটি বিষয় পড়ার পর নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। দেখা যায়, একটি বিষয় পড়ার পর কিছু প্রশ্ন সমাধান করলে বহুদিন মেমোরিতে থাকে। পারস্পরিক আলোচনার মধ্য দিয়েও দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি তৈরি হয়। তবে অনুশীলনের একটি সুন্দর উপায় হলো অন্যকে শেখানো। কেননা লার্নিং বাই টিচিং ব্যক্তির সামারাইজিং, যোগাযোগসহ বিভিন্ন দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।
মনোযোগ বজায় রাখা
একটানা পড়াশোনা না করে প্রতি ২৫ মিনিট পরপর ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া মনোযোগ বজায় রাখার অন্যতম কৌশল। পাশাপাশি মৃদু আওয়াজ করে বা মাঝে মাঝে হেঁটে হেঁটেও পড়া যেতে পারে। মনোযোগ নষ্ট করে এমন ডিভাইস বা জিনিসপত্র হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখা উচিত। একই সময়ে একাধিক কাজ বা মাল্টি টাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিরত থাকুন।
সঠিক সময় নির্ধারণ
আমাদের একেকজন একেক সময়ে ভালো শিখতে পারে—কেউ সকালে, কেউ বিকেলে, আবার কেউবা রাতে। তাই শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য এমন একটি উপযুক্ত সময় খুঁজে নিতে হবে, যেন তার মনোযোগ ও পড়ার আগ্রহ সবচেয়ে ভালো থাকে। তবে নিয়মিত অনেক রাত জেগে পড়াটা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। এর জন্য আমাদের সারকেডিয়ান রিদম নষ্ট হয়। তাই রাত জেগে পড়ার অভ্যাস থাকলে কাটিয়ে ওঠাই ভালো।
সময়ানুবর্তিতা
পৃথিবীর সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ থাকে। কেউ এই সময় কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, আবার কেউ অপরিকল্পিতভাবে সময় নষ্ট করে বেড়ান। মনে রাখা জরুরি, সময়ের মূল্য দিয়ে প্রতিটা কাজ করা ব্যক্তিরা দিন শেষে সফল হন। অপর দিকে যাঁরা সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরা পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষার হলে হতাশার মধ্যে থাকেন। তাই সবাইকে সময় মেনে কাজ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলন ২০২৫-এ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের (বিএমডি) শিক্ষার্থীরা অসাধারণ গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০ ও ২১ জুন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাঁরা দেশের হয়ে গর্বের উদাহরণ সৃষ্টি...
৫ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও ‘বিশেষ সুবিধা’ বাড়ছে। এ সুবিধার আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাড়বে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
৯ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেগবেষণার জগতে পা রাখার পর প্রায় সবার স্বপ্ন থাকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা প্রবন্ধ (রিসার্চ পেপার) প্রকাশ করার। তবে শুধু প্রবন্ধ প্রকাশ নয়, অনেকের লক্ষ্য থাকে কিউওয়ান র্যাংকের জার্নালে নিজের গবেষণাকাজ ছাপানো—যা একাডেমিক ও প্রফেশনাল জীবনে অসাধারণ একটি অর্জন।
১৯ ঘণ্টা আগে