‘নতুন কারিকুলাম ফিরে যাচ্ছে আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে, ২০২৪ সাল থেকে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) নেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা’—এমন একটি তথ্য গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই দাবির পক্ষে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে প্রতিষ্ঠানকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নামে একটি ফেসবুক পেজও পাওয়া যায়। পেজটির পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘অফিশিয়াল নোটিশ বোর্ড’। গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে সেখানে এমন পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে এই দাবি যে সত্য নয়, তা এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানানো হয়েছে। মাউশির তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের হতকাল রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। এতে ভাইরাল তথ্য সংবলিত দুটি পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করে তিনি লিখেছেন, ‘উল্লেখিত তথ্যটি সত্য নয়, গুজব।’
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যক্তি প্রচার করছেন যে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে জেএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল তথ্যটির বিপরীতে সঠিক তথ্য সামনে আসার পর বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পেজটি রাত ১১টা ৪ মিনিটে পোস্টটি সম্পাদনা করে নতুন করে লেখে, ‘নতুন কারিকুলাম আবার ফিরে চায় আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে! PSC ও JSC পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের।’
‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই
বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড নামে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কি না, তা নিয়ে যাচাইয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দেশে মোট ১০টি শিক্ষা বোর্ড আছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর। এই ১০টি বোর্ডের মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল তথ্যটির বিপরীতে সঠিক তথ্য সামনে আসার পর বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পেজটি রাত ১১টা ৪ মিনিটে সম্পাদনা করে নতুন করে লেখে, ‘নতুন কারিকুলাম আবার ফিরে চায় আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে! PSC ও JSC পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুমোদনের পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ২০২৩ সাল থেকে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা আর থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষা হবে। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশের পরীক্ষা ও দ্বাদশের পাবলিক পরীক্ষা মিলিয়ে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
‘নতুন কারিকুলাম ফিরে যাচ্ছে আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে, ২০২৪ সাল থেকে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) নেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা’—এমন একটি তথ্য গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই দাবির পক্ষে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে প্রতিষ্ঠানকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নামে একটি ফেসবুক পেজও পাওয়া যায়। পেজটির পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘অফিশিয়াল নোটিশ বোর্ড’। গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে সেখানে এমন পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে এই দাবি যে সত্য নয়, তা এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানানো হয়েছে। মাউশির তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের হতকাল রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। এতে ভাইরাল তথ্য সংবলিত দুটি পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করে তিনি লিখেছেন, ‘উল্লেখিত তথ্যটি সত্য নয়, গুজব।’
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যক্তি প্রচার করছেন যে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে জেএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল তথ্যটির বিপরীতে সঠিক তথ্য সামনে আসার পর বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পেজটি রাত ১১টা ৪ মিনিটে পোস্টটি সম্পাদনা করে নতুন করে লেখে, ‘নতুন কারিকুলাম আবার ফিরে চায় আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে! PSC ও JSC পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের।’
‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই
বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড নামে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কি না, তা নিয়ে যাচাইয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দেশে মোট ১০টি শিক্ষা বোর্ড আছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর। এই ১০টি বোর্ডের মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল তথ্যটির বিপরীতে সঠিক তথ্য সামনে আসার পর বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পেজটি রাত ১১টা ৪ মিনিটে সম্পাদনা করে নতুন করে লেখে, ‘নতুন কারিকুলাম আবার ফিরে চায় আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে! PSC ও JSC পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুমোদনের পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ২০২৩ সাল থেকে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা আর থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষা হবে। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশের পরীক্ষা ও দ্বাদশের পাবলিক পরীক্ষা মিলিয়ে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
১২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
২০ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১ দিন আগে