Ajker Patrika

স্কুল যেন খেলাঘর

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার), প্রতিনিধি
স্কুল যেন খেলাঘর

আজকের শিশু আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ। বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠদানের পরিবেশের ওপর তাদের ভালো থাকা অনেকটা নির্ভর করে। তারা বিদ্যালয়ে সুন্দর শেখার পরিবেশ পেলে, আনন্দিত আর সুস্থ থাকে।

কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালীর আকবর আলী শিকদার পাড়ায় জালাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৫ সালে এই প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এই বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. শফিউল আজম। তিনি শুরুতেই নজর দেন বিদ্যালয় সৌন্দর্যের দিকে।

জানা যায়, তিনি ১টি অফিস কক্ষসহ ৩টি ক্লাসের মাধ্যমে শুরু করেন স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়া। শ্রেণিকক্ষগুলো এমনভাবে তৈরি করেন যেন শিশুরা খেলাঘর মনে করে। তাঁর এই কাজে তিনি সঙ্গে রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেমকে। 

বিদ্যালয়ের বার্ষিক স্লিপ বরাদ্দের টাকা আর সভাপতির আর্থিক সহায়তায় তাঁরা বিদ্যালয়ের সীমানা, কক্ষ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, শহীদ মিনার, শিশুদের যাবতীয় খেলনা, জ্ঞানী-গুণীদের ছবি, বাণী, ফুলের বাগান, দোলনা সহ কোন কিছুই যেন বাদ দেননি। ফলে এখানে শিক্ষার্থীরা শিশু বান্ধব পরিবেশে পাঠদান করেন।

স্কুলের অবকাঠামোর দিক দিয়ে মাত্র দুবছরেই বিদ্যালয়টি উপজেলার ৫৯টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা। 

করোনার দীর্ঘদিন বন্ধের পর শিশুদের পদচারণায় ফের মুখরিত হয় এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। তবে, করোনার দাপটে ১৯৪ জন শিক্ষার্থী থেকে আর শিক্ষার্থী বাড়েনি।

এ বিষয়ে বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিউল আজম বলেন, নিয়মিত সরকারি বরাদ্দ আর সদিচ্ছা থাকলেই উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এভাবে সাজানো সম্ভব। তবে তালা ভেঙে বিদ্যালয়ের ৫টি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি চুরি যাওয়াকে তিনি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন। মামলা করেও সেগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে রাতের বাতির আলো নিভে গেছে।

সরকারি অন্যান্য বিদ্যালয়ের মত এখানে সুবিধা কম। দুই শিফটে পাঠদান চলে। শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা সত্ত্বেও সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করে শিশু বান্ধব পরিবেশে পাঠদান করা হচ্ছে। যাতে তারা পড়ালেখা করতে আনন্দ পায়।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, মো. শফিউল আজম প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এতে স্কুল যেন হয়ে উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাঘর। 

উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. শহীদউল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদিচ্ছায় শিশু বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। তবে করোনা আর ব্যাটারি চুরি হওয়াতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০-১২তম গ্রেডে নিয়োগ: প্রতি পদের বিপরীতে দুজন থাকবেন অপেক্ষমাণ

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

সাবেক ‘র’-এর প্রধানের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত