রাহুল শর্মা, ঢাকা

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩৫ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩৫ মিনিট আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩৫ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩৫ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে