ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লার একটি ছোট ভাড়া বাসা। জানালার পাশে টেবিলে বসে নিয়মিত পড়াশোনা করত নিবিড় কর্মকার। চারপাশে গুঞ্জন, ব্যস্ততা—তবু সেই কিশোর নিজের ভুবনে ছিল নিবিষ্ট। সময় কাটাত বইয়ের পাতায়, স্বপ্ন বুনত ভবিষ্যতের জন্য।
আজ সেই স্বপ্নের একধাপ পূরণ হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫ পেয়ে সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিবিড়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা করা হয়নি। তবে এ বছর ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেলেও কিছু ব্যতিক্রমী ফলের মধ্যে এটা একেবারেই আলাদা এই শিক্ষার্থীর।
ছেলে নিজেই নিজের গন্তব্য খুঁজে নিয়েছে
ছেলের সাফল্যের পেছনের গল্প জানতে চাইলে নিবিড়ের বাবা জীবন কর্মকার বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। প্রত্যেক মা-বাবাই এমন সাফল্য প্রত্যাশা করে। নিবিড় স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় বেশ ভালো রেজাল্ট করেছিল। তখন শ্রেণিশিক্ষক ডেকে বলেছিলেন, নাসিরাবাদ স্কুলের ইতিহাসে এমন নম্বর কেউ কখনো পায়নি। তখনই বুঝেছিলাম, ছেলে এসএসসিতেও ভালো রেজাল্ট করবে।
জীবন কর্মকার বলেন, সাফল্যের পেছনে আলাদা কোনো গল্প নেই। ছেলে নিয়মিত স্কুলের দিকনির্দেশনা মেনেই পড়াশোনা করেছে। শিক্ষকেরা ছিলেন খুব আন্তরিক। ঘরে আমরা শুধু খেয়াল রেখেছি, ওর পড়ালেখার পরিবেশটা ঠিক আছে কি না। তবে এসএসসি পরীক্ষার আগে কয়েকটি কোচিংয়ে কেবল মডেল টেস্ট দিয়েছে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জীবন কর্মকার। মা রিপা রায় একজন গৃহিণী। সংসার চলে সীমিত আয়ে, তবু ছেলের পড়াশোনার পরিবেশে কোনো ঘাটতি রাখেননি তাঁরা। নিবিড়ের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
নিয়মের মধ্যেই নিবিড়ের দৃঢ়তা
নিবিড় বলে, ‘প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়তাম। তবে যেটুকু পড়তাম, খুব মন দিয়ে পড়তাম। একসময় আঁকাআঁকিতে আগ্রহ ছিল, কিন্তু নবম-দশমে উঠে সেই সময়টা পুরোপুরি দিয়েছি পাঠ্যবইয়ে। কোনো কোচিং ক্লাস করিনি, শুধু কয়েকটি মডেল টেস্ট দিয়েছি।’
শুধু পাঠ্যবই নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও নিবিড় ছিল সক্রিয়। অংশ নিয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন আয়োজনে। রেজাল্ট নিয়ে আনন্দিত নিবিড়ের মা রিপা রায় বলেন, ‘ওকে কখনো চাপ দিইনি। নিজে থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী ছিল। রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অংশ নিত। এসব জায়গায়ও আমরা ওকে উৎসাহ দিয়েছি।’
স্কুলের গর্ব হয়ে উঠেছে নিবিড়
নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘নিবিড়
খুবই ভদ্র, পরিশ্রমী ও মনোযোগী ছাত্র। টেস্ট পরীক্ষায় ১১৫০ নম্বরের মধ্যে ১০৪০ পেয়ে স্কুলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। আমরা টেস্ট পরীক্ষার খাতা খুব কঠোরভাবে মূল্যায়ন করি, সেখানে এমন ফল সত্যিই ব্যতিক্রম।’
আবদুর রহমান জানান, স্কুলের শিক্ষকেরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক। নিবিড় তার প্রচেষ্টায় নিজেকে আলাদা করে তুলেছে।
স্বপ্ন এখন বুয়েট
এই ফলকে সাফল্যের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছে নিবিড়। তার চোখ এখন আরও বড় স্বপ্নের দিকে। ‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। বুয়েটের মতো দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যেই এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি’—জানায় নিবিড়।
চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লার একটি ছোট ভাড়া বাসা। জানালার পাশে টেবিলে বসে নিয়মিত পড়াশোনা করত নিবিড় কর্মকার। চারপাশে গুঞ্জন, ব্যস্ততা—তবু সেই কিশোর নিজের ভুবনে ছিল নিবিষ্ট। সময় কাটাত বইয়ের পাতায়, স্বপ্ন বুনত ভবিষ্যতের জন্য।
আজ সেই স্বপ্নের একধাপ পূরণ হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫ পেয়ে সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিবিড়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা করা হয়নি। তবে এ বছর ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেলেও কিছু ব্যতিক্রমী ফলের মধ্যে এটা একেবারেই আলাদা এই শিক্ষার্থীর।
ছেলে নিজেই নিজের গন্তব্য খুঁজে নিয়েছে
ছেলের সাফল্যের পেছনের গল্প জানতে চাইলে নিবিড়ের বাবা জীবন কর্মকার বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। প্রত্যেক মা-বাবাই এমন সাফল্য প্রত্যাশা করে। নিবিড় স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় বেশ ভালো রেজাল্ট করেছিল। তখন শ্রেণিশিক্ষক ডেকে বলেছিলেন, নাসিরাবাদ স্কুলের ইতিহাসে এমন নম্বর কেউ কখনো পায়নি। তখনই বুঝেছিলাম, ছেলে এসএসসিতেও ভালো রেজাল্ট করবে।
জীবন কর্মকার বলেন, সাফল্যের পেছনে আলাদা কোনো গল্প নেই। ছেলে নিয়মিত স্কুলের দিকনির্দেশনা মেনেই পড়াশোনা করেছে। শিক্ষকেরা ছিলেন খুব আন্তরিক। ঘরে আমরা শুধু খেয়াল রেখেছি, ওর পড়ালেখার পরিবেশটা ঠিক আছে কি না। তবে এসএসসি পরীক্ষার আগে কয়েকটি কোচিংয়ে কেবল মডেল টেস্ট দিয়েছে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জীবন কর্মকার। মা রিপা রায় একজন গৃহিণী। সংসার চলে সীমিত আয়ে, তবু ছেলের পড়াশোনার পরিবেশে কোনো ঘাটতি রাখেননি তাঁরা। নিবিড়ের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
নিয়মের মধ্যেই নিবিড়ের দৃঢ়তা
নিবিড় বলে, ‘প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়তাম। তবে যেটুকু পড়তাম, খুব মন দিয়ে পড়তাম। একসময় আঁকাআঁকিতে আগ্রহ ছিল, কিন্তু নবম-দশমে উঠে সেই সময়টা পুরোপুরি দিয়েছি পাঠ্যবইয়ে। কোনো কোচিং ক্লাস করিনি, শুধু কয়েকটি মডেল টেস্ট দিয়েছি।’
শুধু পাঠ্যবই নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও নিবিড় ছিল সক্রিয়। অংশ নিয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন আয়োজনে। রেজাল্ট নিয়ে আনন্দিত নিবিড়ের মা রিপা রায় বলেন, ‘ওকে কখনো চাপ দিইনি। নিজে থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী ছিল। রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অংশ নিত। এসব জায়গায়ও আমরা ওকে উৎসাহ দিয়েছি।’
স্কুলের গর্ব হয়ে উঠেছে নিবিড়
নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘নিবিড়
খুবই ভদ্র, পরিশ্রমী ও মনোযোগী ছাত্র। টেস্ট পরীক্ষায় ১১৫০ নম্বরের মধ্যে ১০৪০ পেয়ে স্কুলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। আমরা টেস্ট পরীক্ষার খাতা খুব কঠোরভাবে মূল্যায়ন করি, সেখানে এমন ফল সত্যিই ব্যতিক্রম।’
আবদুর রহমান জানান, স্কুলের শিক্ষকেরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক। নিবিড় তার প্রচেষ্টায় নিজেকে আলাদা করে তুলেছে।
স্বপ্ন এখন বুয়েট
এই ফলকে সাফল্যের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছে নিবিড়। তার চোখ এখন আরও বড় স্বপ্নের দিকে। ‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। বুয়েটের মতো দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যেই এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি’—জানায় নিবিড়।
বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
১ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
১ দিন আগেন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে
১ দিন আগে