নাজমুল ইসলাম

সারাক্ষণ টই টই, সারাক্ষণ চঞ্চল। এই খেলে তো, ওই প্রশ্ন ছোড়ে। আর এত এত প্রশ্ন যে, মাথা ঘুরে ওঠে। এ তো যেকোনো শিশুরই বৈশিষ্ট্য। শিশুমাত্রই চঞ্চল, একজোড়া ঝকঝকে চোখ। শিশুদের এই চাঞ্চল্য নিয়ে অভিভাবকদের প্রায়ই কপাল কুঁচকে চিন্তা করতে দেখা যায়। চিন্তার ভাঁজ পড়ে শিক্ষকদের কপালেও। কীভাবে তাকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়—সে ভাবনাই দখল নিয়ে নেয় অধিকাংশের মনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর চেপে বসে এক জগদ্দল পাথর। অথচ শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দময়।
আমাদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে লীলা মজুমদার তক সাহিত্যিকেরা শিশু শিক্ষা নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। নিজেদের সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তাঁরা শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার নানা উদাহরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আজও শিক্ষাবিদেরা বারবার বলছেন, শিক্ষা হতে হবে আনন্দময়। কিন্তু বিশেষত এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো অধরাই থেকে গেছে। শিশুদের এই আনন্দময় শিক্ষার প্রসঙ্গ নিয়েই চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য বই তোত্তোচান।
মূল বইটি জাপানি ভাষায় লিখিত। বইটির ইংরেজি অনুবাদ–Totto-Chan: The little girl at the window; অনুবাদক ডরোথি ব্রিটন। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো একজন ভালো শিক্ষকের প্রভাবে শিশুদের বদলে যাওয়া জীবন। সে জীবন আনন্দময়, মধুর।
অনুবাদক চৈতী রহমান বইয়ের ভূমিকাতে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুর শিক্ষাজীবন হবার কথা আনন্দময় ও ভয়ভীতিহীন। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে দেশভেদে শিশুর ইশকুল–ভাগ্য ভিন্নরকম। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার শিশুরা জন্মের পরপরই পাচ্ছে মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, হাসিখুশি আনন্দ উৎসব আর নিরাপত্তা।...দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিরানন্দ সব ইশকুলে যাচ্ছে কেবলমাত্র এইজন্য যে শিক্ষা তাদের একটা চাকরি জুটিয়ে দেবে।’
এই আনন্দ আর নিরানন্দের শিক্ষার মধ্যে যে বিশাল ফারাক, তা কেবল শিশুরাই অনুভব করতে পারে। ছোট শিশু তোত্তোচানের কাছে একটা বিদ্যালয় ছিল আনন্দের আধার, কিন্তু অন্যটি তেমন ছিল না। বইয়ের মূল চরিত্র তোত্তোচান আসলে বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। একটি বিদ্যালয় তার শৈশবকে কীভাবে পাল্টে দিয়েছে, তাই বর্ণিত হয়েছে এই বইয়ে। আনন্দমুখর বিদ্যালয়ের স্মৃতি নিয়েই বইটি লিখেছেন। সেই স্মৃতি তাঁর কাছে এখনো জীবন্ত।
বইয়ে ঢোকার আগে একটু তাকানো যাক তেৎসুকো কুরোয়ানাগির দিকে। তেৎসুকো কুরোয়ানাগির জন্ম টোকিওতে ১৯৩৩ সালে। অপেরা সংগীতের পাঠ নিলেও পরে হয়ে ওঠেন জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। একাধারে সংগীত, অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে জাপানের প্রথম নিয়মিত টক শো উপস্থাপনা করতে শুরু করেন, যা ছিল দৈনিক। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন আরও জনপ্রিয়। তোত্তোচান বলা যায় তেৎসুকোর শৈশবের এক সাহিত্যিক নির্মাণ।
বইয়ের প্রথম দিকে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণিতে তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনও বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এডিসনের হাতে একটা চিঠি দিয়ে তার মাকে দিতে বললেন। তার মা চিঠি পড়লেন। চিঠি পড়ে তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়লে লাগল। চিঠিতে লেখা ছিল—‘আপনার ছেলে স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন, আমরা আপনার ছেলেকে পড়াতে পারব না। তাকে অন্য কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’
কিন্তু টমাস আলভা এডিসনের মা শুনিয়ে শুনিয়ে চিঠি পড়লেন এভাবে—‘আপনার ছেলে খুবই মেধাবী। তাকে ভালোভাবে পড়ানোর মতো শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে নেই। তাকে ভালো কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’ স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন বলে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া সেই এডিসন পরে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হন। পরিণত বয়সে একদিন টমাস আলভা এডিসন সেই চিঠিটি দেখতে পান; তখন তাঁর মা জীবিত ছিলেন না। চিঠি খুলতেই তাঁর চোখে জল আসে। তখন টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, ‘আমার এই সাফল্যের পেছনে আছে আমার মায়ের অবদান।’
একই কথা বলেছেন তোত্তোচান বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিল, সে কথা তার মা তখন বলেনি। বলেছেন, তার বয়স কুড়ি অতিক্রম করার পর। বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে লেখক তেৎসুকো লিখেছেন, ‘মা যদি বহিষ্কারের পরপরই সেই ছোট্ট আমাকে বলতেন, “এখন কী হবে? এই স্কুল থেকে তো তোমাকে বহিষ্কার করল। অন্য স্কুল থেকেও যদি করে তখন কী হবে? আর কোনো স্কুল তোমাকে ভর্তি নেবে না। ” তাহলে আমি এত আনন্দ নিয়ে স্কুলের জ্যান্ত গাছের গুঁড়িঅলা ফটক পেরোতে পারতাম না। আমি ভীরু, মার খাওয়া জন্তুর মতন ভয়ে ভয়ে হাঁটতাম। আমি রেলগাড়ি ক্লাসঘর দেখে উচ্ছ্বসিত হতাম না। কোনো কিছুই আমাকে আনন্দ দিত না। আমি হয়ে যেতাম নিষ্প্রাণ, হীনম্মন্য, নির্জীব। আমার মা কত বুদ্ধিমান যে, তিনি তার শিশুর আনন্দময় শৈশব নষ্ট করতে চাননি। এমন মা আমাকে মানুষ করেছেন, তা আমার সৌভাগ্যই বটে!’
তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে কী কী বলতে চাও তুমি? যা কিছু বলতে ইচ্ছা হয় আমাকে বলতে পার।’ এই প্রশ্নের উত্তরে তোত্তোচান চার ঘণ্টা কথা বলেছিল। তার কাছে এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তার কথা এত মনোযোগ দিয়ে আর কেউ কখনো শোনেনি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে হলে তাদের মনোজগৎ বুঝতে হয়। তাদের আগ্রহের জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হয়। তোমার রোল কত, পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছ, বড় হয়ে ডাক্তার হবে না ইঞ্জিনিয়ার হবে—এসব প্রশ্ন শিশুদের কাছে অবান্তর। এসব অবান্তর প্রশ্ন করা বয়স্ক প্রাণীগুলো শিশুদের জীবন দুঃসহ করে তোলে। আর তোত্তোচানের এই প্রধান শিক্ষকের অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। তাই তো তোত্তোচানসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিশুরা তাদের প্রধান শিক্ষককে খুব বেশি পছন্দ করত।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের দিকেও নজর রাখেন। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমিষ ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের এই মেনু অনুসরণ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। সেটা তিনি করেছিলেন সুন্দর একটি প্রশ্ন উত্থাপনের মধ্য দিয়ে। হলঘরে বসে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন—‘সবাই সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু এনেছ?’ সবাই উত্তরে বলে, ‘এনেছি’। তোত্তোচানের এই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সেও টিফিনে সমুদ্র আর পাহাড়ের কিছু আনার জন্য অস্থির হয়ে যায়। এখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের কিছু বলতে সমুদ্র ও পাহাড়ে প্রাপ্ত মানুষের খাদ্যদ্রব্যকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে শহরের অধিকাংশ শিশু শাক–সবজি খেতে চায় না। তার একটি কারণ হতে পারে হয়তো শিশুদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি না, যেমনটা তোত্তোচানের প্রধান শিক্ষক পেরেছিলেন।
পুথিগত বিদ্যা যদি বাস্তবে প্রয়োগ না করা যায়, তাহলে সেই বিদ্যার মূল্য কোথায়? তোত্তোচানদের এই নতুন বিদ্যালয় তাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদ্যালয় থেকে কখনো তারা চলে যেত নদীর পাড়ে, কখনো সরষে খেতে। শিক্ষিকা (বিদ্যালয়ের অন্য নারী শিক্ষক) তাদের পুংকেশর ও গর্ভকেশরের গল্প বলতেন। নতুন কোনো অভিজ্ঞতার জন্য তাদের বিদ্যালয়ে রাত কাটানোর সুযোগ দেওয়া হতো। এর আনন্দ শিশুদের কাছে নিরবধি সমুদ্রের মতো। শিশুদের মাঠে নিয়ে শেখানো হতো জমি চাষের কৌশল।
প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তেও উৎসাহিত করছিলেন। শিক্ষার্থীদের জন্য রেলের নতুন একটা কামরায় পাঠাগার করলেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামতো যেকোনো বই পড়তে পারত। তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন, ‘যখন ইচ্ছা তোমরা এখানে এসে বই পড়তে পারবে। বই বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। তবে পড়া শেষ হলে ফিরিয়ে দিতে হবে।’ তার এ কথা খুব উত্তেজনা তৈরি করছিল শিশুদের মধ্যে। শিশুরা তখনই বই পড়ার জন্য চেঁচাতে শুরু করল।
অনেক শিশু জন্মের সময় কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, যাদের আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলি। এসব শিশুর মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়, যদি তার চারপাশের মানুষ তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। আবার এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোনো শিশু বড় প্রকৌশলী হতে পারে, যদি তাকে উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ থাকে, পরিবেশ যদি তার অনুকূল হয়। যেমনটা হয়েছিলেন আকিরা তাকাহাশি। তিনি একজন বড় মাপের প্রকৌশলী হয়েছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে কোবাইয়াশি মহাশয় এমন এক খেলার উদ্ভাবন করেছিলেন, যা আকিরা তাকাহাশির জন্য অনুকূল ছিল। সেই খেলায় তাকাহাশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এটা তাকাহাশির জন্য কতটা আনন্দের ছিল, তা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না। প্রধান শিক্ষকের এই উৎসাহ, উদ্দীপনাই হয়তো তাকাহাশিকে বিশাল স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বইয়ের শেষ হয় কিছুটা বিষাদের মধ্য দিয়ে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধবিমান থেকে পড়া অজস্র বোমার আঘাতে তাদের সেই আনন্দমুখর স্কুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরে অবশ্য কোবাইয়াশি মহাশয় সেই স্কুল পুনর্নির্মাণ করেন। তবে সেই কাজ তিনি পুরোপুরি সমাপ্ত করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি
ইংরেজি থেকে অনুবাদক: চৈতী রহমান
মূল লেখক: তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
প্রকাশনী: দুন্দুভি
বইয়ের মূল্য: ২৫০ টাকা

সারাক্ষণ টই টই, সারাক্ষণ চঞ্চল। এই খেলে তো, ওই প্রশ্ন ছোড়ে। আর এত এত প্রশ্ন যে, মাথা ঘুরে ওঠে। এ তো যেকোনো শিশুরই বৈশিষ্ট্য। শিশুমাত্রই চঞ্চল, একজোড়া ঝকঝকে চোখ। শিশুদের এই চাঞ্চল্য নিয়ে অভিভাবকদের প্রায়ই কপাল কুঁচকে চিন্তা করতে দেখা যায়। চিন্তার ভাঁজ পড়ে শিক্ষকদের কপালেও। কীভাবে তাকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়—সে ভাবনাই দখল নিয়ে নেয় অধিকাংশের মনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর চেপে বসে এক জগদ্দল পাথর। অথচ শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দময়।
আমাদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে লীলা মজুমদার তক সাহিত্যিকেরা শিশু শিক্ষা নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। নিজেদের সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তাঁরা শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার নানা উদাহরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আজও শিক্ষাবিদেরা বারবার বলছেন, শিক্ষা হতে হবে আনন্দময়। কিন্তু বিশেষত এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো অধরাই থেকে গেছে। শিশুদের এই আনন্দময় শিক্ষার প্রসঙ্গ নিয়েই চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য বই তোত্তোচান।
মূল বইটি জাপানি ভাষায় লিখিত। বইটির ইংরেজি অনুবাদ–Totto-Chan: The little girl at the window; অনুবাদক ডরোথি ব্রিটন। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো একজন ভালো শিক্ষকের প্রভাবে শিশুদের বদলে যাওয়া জীবন। সে জীবন আনন্দময়, মধুর।
অনুবাদক চৈতী রহমান বইয়ের ভূমিকাতে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুর শিক্ষাজীবন হবার কথা আনন্দময় ও ভয়ভীতিহীন। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে দেশভেদে শিশুর ইশকুল–ভাগ্য ভিন্নরকম। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার শিশুরা জন্মের পরপরই পাচ্ছে মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, হাসিখুশি আনন্দ উৎসব আর নিরাপত্তা।...দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিরানন্দ সব ইশকুলে যাচ্ছে কেবলমাত্র এইজন্য যে শিক্ষা তাদের একটা চাকরি জুটিয়ে দেবে।’
এই আনন্দ আর নিরানন্দের শিক্ষার মধ্যে যে বিশাল ফারাক, তা কেবল শিশুরাই অনুভব করতে পারে। ছোট শিশু তোত্তোচানের কাছে একটা বিদ্যালয় ছিল আনন্দের আধার, কিন্তু অন্যটি তেমন ছিল না। বইয়ের মূল চরিত্র তোত্তোচান আসলে বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। একটি বিদ্যালয় তার শৈশবকে কীভাবে পাল্টে দিয়েছে, তাই বর্ণিত হয়েছে এই বইয়ে। আনন্দমুখর বিদ্যালয়ের স্মৃতি নিয়েই বইটি লিখেছেন। সেই স্মৃতি তাঁর কাছে এখনো জীবন্ত।
বইয়ে ঢোকার আগে একটু তাকানো যাক তেৎসুকো কুরোয়ানাগির দিকে। তেৎসুকো কুরোয়ানাগির জন্ম টোকিওতে ১৯৩৩ সালে। অপেরা সংগীতের পাঠ নিলেও পরে হয়ে ওঠেন জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। একাধারে সংগীত, অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে জাপানের প্রথম নিয়মিত টক শো উপস্থাপনা করতে শুরু করেন, যা ছিল দৈনিক। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন আরও জনপ্রিয়। তোত্তোচান বলা যায় তেৎসুকোর শৈশবের এক সাহিত্যিক নির্মাণ।
বইয়ের প্রথম দিকে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণিতে তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনও বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এডিসনের হাতে একটা চিঠি দিয়ে তার মাকে দিতে বললেন। তার মা চিঠি পড়লেন। চিঠি পড়ে তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়লে লাগল। চিঠিতে লেখা ছিল—‘আপনার ছেলে স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন, আমরা আপনার ছেলেকে পড়াতে পারব না। তাকে অন্য কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’
কিন্তু টমাস আলভা এডিসনের মা শুনিয়ে শুনিয়ে চিঠি পড়লেন এভাবে—‘আপনার ছেলে খুবই মেধাবী। তাকে ভালোভাবে পড়ানোর মতো শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে নেই। তাকে ভালো কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’ স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন বলে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া সেই এডিসন পরে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হন। পরিণত বয়সে একদিন টমাস আলভা এডিসন সেই চিঠিটি দেখতে পান; তখন তাঁর মা জীবিত ছিলেন না। চিঠি খুলতেই তাঁর চোখে জল আসে। তখন টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, ‘আমার এই সাফল্যের পেছনে আছে আমার মায়ের অবদান।’
একই কথা বলেছেন তোত্তোচান বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিল, সে কথা তার মা তখন বলেনি। বলেছেন, তার বয়স কুড়ি অতিক্রম করার পর। বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে লেখক তেৎসুকো লিখেছেন, ‘মা যদি বহিষ্কারের পরপরই সেই ছোট্ট আমাকে বলতেন, “এখন কী হবে? এই স্কুল থেকে তো তোমাকে বহিষ্কার করল। অন্য স্কুল থেকেও যদি করে তখন কী হবে? আর কোনো স্কুল তোমাকে ভর্তি নেবে না। ” তাহলে আমি এত আনন্দ নিয়ে স্কুলের জ্যান্ত গাছের গুঁড়িঅলা ফটক পেরোতে পারতাম না। আমি ভীরু, মার খাওয়া জন্তুর মতন ভয়ে ভয়ে হাঁটতাম। আমি রেলগাড়ি ক্লাসঘর দেখে উচ্ছ্বসিত হতাম না। কোনো কিছুই আমাকে আনন্দ দিত না। আমি হয়ে যেতাম নিষ্প্রাণ, হীনম্মন্য, নির্জীব। আমার মা কত বুদ্ধিমান যে, তিনি তার শিশুর আনন্দময় শৈশব নষ্ট করতে চাননি। এমন মা আমাকে মানুষ করেছেন, তা আমার সৌভাগ্যই বটে!’
তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে কী কী বলতে চাও তুমি? যা কিছু বলতে ইচ্ছা হয় আমাকে বলতে পার।’ এই প্রশ্নের উত্তরে তোত্তোচান চার ঘণ্টা কথা বলেছিল। তার কাছে এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তার কথা এত মনোযোগ দিয়ে আর কেউ কখনো শোনেনি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে হলে তাদের মনোজগৎ বুঝতে হয়। তাদের আগ্রহের জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হয়। তোমার রোল কত, পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছ, বড় হয়ে ডাক্তার হবে না ইঞ্জিনিয়ার হবে—এসব প্রশ্ন শিশুদের কাছে অবান্তর। এসব অবান্তর প্রশ্ন করা বয়স্ক প্রাণীগুলো শিশুদের জীবন দুঃসহ করে তোলে। আর তোত্তোচানের এই প্রধান শিক্ষকের অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। তাই তো তোত্তোচানসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিশুরা তাদের প্রধান শিক্ষককে খুব বেশি পছন্দ করত।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের দিকেও নজর রাখেন। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমিষ ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের এই মেনু অনুসরণ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। সেটা তিনি করেছিলেন সুন্দর একটি প্রশ্ন উত্থাপনের মধ্য দিয়ে। হলঘরে বসে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন—‘সবাই সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু এনেছ?’ সবাই উত্তরে বলে, ‘এনেছি’। তোত্তোচানের এই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সেও টিফিনে সমুদ্র আর পাহাড়ের কিছু আনার জন্য অস্থির হয়ে যায়। এখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের কিছু বলতে সমুদ্র ও পাহাড়ে প্রাপ্ত মানুষের খাদ্যদ্রব্যকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে শহরের অধিকাংশ শিশু শাক–সবজি খেতে চায় না। তার একটি কারণ হতে পারে হয়তো শিশুদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি না, যেমনটা তোত্তোচানের প্রধান শিক্ষক পেরেছিলেন।
পুথিগত বিদ্যা যদি বাস্তবে প্রয়োগ না করা যায়, তাহলে সেই বিদ্যার মূল্য কোথায়? তোত্তোচানদের এই নতুন বিদ্যালয় তাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদ্যালয় থেকে কখনো তারা চলে যেত নদীর পাড়ে, কখনো সরষে খেতে। শিক্ষিকা (বিদ্যালয়ের অন্য নারী শিক্ষক) তাদের পুংকেশর ও গর্ভকেশরের গল্প বলতেন। নতুন কোনো অভিজ্ঞতার জন্য তাদের বিদ্যালয়ে রাত কাটানোর সুযোগ দেওয়া হতো। এর আনন্দ শিশুদের কাছে নিরবধি সমুদ্রের মতো। শিশুদের মাঠে নিয়ে শেখানো হতো জমি চাষের কৌশল।
প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তেও উৎসাহিত করছিলেন। শিক্ষার্থীদের জন্য রেলের নতুন একটা কামরায় পাঠাগার করলেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামতো যেকোনো বই পড়তে পারত। তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন, ‘যখন ইচ্ছা তোমরা এখানে এসে বই পড়তে পারবে। বই বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। তবে পড়া শেষ হলে ফিরিয়ে দিতে হবে।’ তার এ কথা খুব উত্তেজনা তৈরি করছিল শিশুদের মধ্যে। শিশুরা তখনই বই পড়ার জন্য চেঁচাতে শুরু করল।
অনেক শিশু জন্মের সময় কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, যাদের আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলি। এসব শিশুর মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়, যদি তার চারপাশের মানুষ তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। আবার এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোনো শিশু বড় প্রকৌশলী হতে পারে, যদি তাকে উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ থাকে, পরিবেশ যদি তার অনুকূল হয়। যেমনটা হয়েছিলেন আকিরা তাকাহাশি। তিনি একজন বড় মাপের প্রকৌশলী হয়েছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে কোবাইয়াশি মহাশয় এমন এক খেলার উদ্ভাবন করেছিলেন, যা আকিরা তাকাহাশির জন্য অনুকূল ছিল। সেই খেলায় তাকাহাশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এটা তাকাহাশির জন্য কতটা আনন্দের ছিল, তা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না। প্রধান শিক্ষকের এই উৎসাহ, উদ্দীপনাই হয়তো তাকাহাশিকে বিশাল স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বইয়ের শেষ হয় কিছুটা বিষাদের মধ্য দিয়ে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধবিমান থেকে পড়া অজস্র বোমার আঘাতে তাদের সেই আনন্দমুখর স্কুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরে অবশ্য কোবাইয়াশি মহাশয় সেই স্কুল পুনর্নির্মাণ করেন। তবে সেই কাজ তিনি পুরোপুরি সমাপ্ত করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি
ইংরেজি থেকে অনুবাদক: চৈতী রহমান
মূল লেখক: তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
প্রকাশনী: দুন্দুভি
বইয়ের মূল্য: ২৫০ টাকা
নাজমুল ইসলাম

সারাক্ষণ টই টই, সারাক্ষণ চঞ্চল। এই খেলে তো, ওই প্রশ্ন ছোড়ে। আর এত এত প্রশ্ন যে, মাথা ঘুরে ওঠে। এ তো যেকোনো শিশুরই বৈশিষ্ট্য। শিশুমাত্রই চঞ্চল, একজোড়া ঝকঝকে চোখ। শিশুদের এই চাঞ্চল্য নিয়ে অভিভাবকদের প্রায়ই কপাল কুঁচকে চিন্তা করতে দেখা যায়। চিন্তার ভাঁজ পড়ে শিক্ষকদের কপালেও। কীভাবে তাকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়—সে ভাবনাই দখল নিয়ে নেয় অধিকাংশের মনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর চেপে বসে এক জগদ্দল পাথর। অথচ শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দময়।
আমাদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে লীলা মজুমদার তক সাহিত্যিকেরা শিশু শিক্ষা নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। নিজেদের সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তাঁরা শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার নানা উদাহরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আজও শিক্ষাবিদেরা বারবার বলছেন, শিক্ষা হতে হবে আনন্দময়। কিন্তু বিশেষত এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো অধরাই থেকে গেছে। শিশুদের এই আনন্দময় শিক্ষার প্রসঙ্গ নিয়েই চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য বই তোত্তোচান।
মূল বইটি জাপানি ভাষায় লিখিত। বইটির ইংরেজি অনুবাদ–Totto-Chan: The little girl at the window; অনুবাদক ডরোথি ব্রিটন। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো একজন ভালো শিক্ষকের প্রভাবে শিশুদের বদলে যাওয়া জীবন। সে জীবন আনন্দময়, মধুর।
অনুবাদক চৈতী রহমান বইয়ের ভূমিকাতে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুর শিক্ষাজীবন হবার কথা আনন্দময় ও ভয়ভীতিহীন। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে দেশভেদে শিশুর ইশকুল–ভাগ্য ভিন্নরকম। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার শিশুরা জন্মের পরপরই পাচ্ছে মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, হাসিখুশি আনন্দ উৎসব আর নিরাপত্তা।...দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিরানন্দ সব ইশকুলে যাচ্ছে কেবলমাত্র এইজন্য যে শিক্ষা তাদের একটা চাকরি জুটিয়ে দেবে।’
এই আনন্দ আর নিরানন্দের শিক্ষার মধ্যে যে বিশাল ফারাক, তা কেবল শিশুরাই অনুভব করতে পারে। ছোট শিশু তোত্তোচানের কাছে একটা বিদ্যালয় ছিল আনন্দের আধার, কিন্তু অন্যটি তেমন ছিল না। বইয়ের মূল চরিত্র তোত্তোচান আসলে বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। একটি বিদ্যালয় তার শৈশবকে কীভাবে পাল্টে দিয়েছে, তাই বর্ণিত হয়েছে এই বইয়ে। আনন্দমুখর বিদ্যালয়ের স্মৃতি নিয়েই বইটি লিখেছেন। সেই স্মৃতি তাঁর কাছে এখনো জীবন্ত।
বইয়ে ঢোকার আগে একটু তাকানো যাক তেৎসুকো কুরোয়ানাগির দিকে। তেৎসুকো কুরোয়ানাগির জন্ম টোকিওতে ১৯৩৩ সালে। অপেরা সংগীতের পাঠ নিলেও পরে হয়ে ওঠেন জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। একাধারে সংগীত, অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে জাপানের প্রথম নিয়মিত টক শো উপস্থাপনা করতে শুরু করেন, যা ছিল দৈনিক। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন আরও জনপ্রিয়। তোত্তোচান বলা যায় তেৎসুকোর শৈশবের এক সাহিত্যিক নির্মাণ।
বইয়ের প্রথম দিকে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণিতে তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনও বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এডিসনের হাতে একটা চিঠি দিয়ে তার মাকে দিতে বললেন। তার মা চিঠি পড়লেন। চিঠি পড়ে তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়লে লাগল। চিঠিতে লেখা ছিল—‘আপনার ছেলে স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন, আমরা আপনার ছেলেকে পড়াতে পারব না। তাকে অন্য কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’
কিন্তু টমাস আলভা এডিসনের মা শুনিয়ে শুনিয়ে চিঠি পড়লেন এভাবে—‘আপনার ছেলে খুবই মেধাবী। তাকে ভালোভাবে পড়ানোর মতো শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে নেই। তাকে ভালো কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’ স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন বলে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া সেই এডিসন পরে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হন। পরিণত বয়সে একদিন টমাস আলভা এডিসন সেই চিঠিটি দেখতে পান; তখন তাঁর মা জীবিত ছিলেন না। চিঠি খুলতেই তাঁর চোখে জল আসে। তখন টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, ‘আমার এই সাফল্যের পেছনে আছে আমার মায়ের অবদান।’
একই কথা বলেছেন তোত্তোচান বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিল, সে কথা তার মা তখন বলেনি। বলেছেন, তার বয়স কুড়ি অতিক্রম করার পর। বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে লেখক তেৎসুকো লিখেছেন, ‘মা যদি বহিষ্কারের পরপরই সেই ছোট্ট আমাকে বলতেন, “এখন কী হবে? এই স্কুল থেকে তো তোমাকে বহিষ্কার করল। অন্য স্কুল থেকেও যদি করে তখন কী হবে? আর কোনো স্কুল তোমাকে ভর্তি নেবে না। ” তাহলে আমি এত আনন্দ নিয়ে স্কুলের জ্যান্ত গাছের গুঁড়িঅলা ফটক পেরোতে পারতাম না। আমি ভীরু, মার খাওয়া জন্তুর মতন ভয়ে ভয়ে হাঁটতাম। আমি রেলগাড়ি ক্লাসঘর দেখে উচ্ছ্বসিত হতাম না। কোনো কিছুই আমাকে আনন্দ দিত না। আমি হয়ে যেতাম নিষ্প্রাণ, হীনম্মন্য, নির্জীব। আমার মা কত বুদ্ধিমান যে, তিনি তার শিশুর আনন্দময় শৈশব নষ্ট করতে চাননি। এমন মা আমাকে মানুষ করেছেন, তা আমার সৌভাগ্যই বটে!’
তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে কী কী বলতে চাও তুমি? যা কিছু বলতে ইচ্ছা হয় আমাকে বলতে পার।’ এই প্রশ্নের উত্তরে তোত্তোচান চার ঘণ্টা কথা বলেছিল। তার কাছে এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তার কথা এত মনোযোগ দিয়ে আর কেউ কখনো শোনেনি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে হলে তাদের মনোজগৎ বুঝতে হয়। তাদের আগ্রহের জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হয়। তোমার রোল কত, পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছ, বড় হয়ে ডাক্তার হবে না ইঞ্জিনিয়ার হবে—এসব প্রশ্ন শিশুদের কাছে অবান্তর। এসব অবান্তর প্রশ্ন করা বয়স্ক প্রাণীগুলো শিশুদের জীবন দুঃসহ করে তোলে। আর তোত্তোচানের এই প্রধান শিক্ষকের অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। তাই তো তোত্তোচানসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিশুরা তাদের প্রধান শিক্ষককে খুব বেশি পছন্দ করত।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের দিকেও নজর রাখেন। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমিষ ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের এই মেনু অনুসরণ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। সেটা তিনি করেছিলেন সুন্দর একটি প্রশ্ন উত্থাপনের মধ্য দিয়ে। হলঘরে বসে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন—‘সবাই সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু এনেছ?’ সবাই উত্তরে বলে, ‘এনেছি’। তোত্তোচানের এই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সেও টিফিনে সমুদ্র আর পাহাড়ের কিছু আনার জন্য অস্থির হয়ে যায়। এখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের কিছু বলতে সমুদ্র ও পাহাড়ে প্রাপ্ত মানুষের খাদ্যদ্রব্যকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে শহরের অধিকাংশ শিশু শাক–সবজি খেতে চায় না। তার একটি কারণ হতে পারে হয়তো শিশুদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি না, যেমনটা তোত্তোচানের প্রধান শিক্ষক পেরেছিলেন।
পুথিগত বিদ্যা যদি বাস্তবে প্রয়োগ না করা যায়, তাহলে সেই বিদ্যার মূল্য কোথায়? তোত্তোচানদের এই নতুন বিদ্যালয় তাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদ্যালয় থেকে কখনো তারা চলে যেত নদীর পাড়ে, কখনো সরষে খেতে। শিক্ষিকা (বিদ্যালয়ের অন্য নারী শিক্ষক) তাদের পুংকেশর ও গর্ভকেশরের গল্প বলতেন। নতুন কোনো অভিজ্ঞতার জন্য তাদের বিদ্যালয়ে রাত কাটানোর সুযোগ দেওয়া হতো। এর আনন্দ শিশুদের কাছে নিরবধি সমুদ্রের মতো। শিশুদের মাঠে নিয়ে শেখানো হতো জমি চাষের কৌশল।
প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তেও উৎসাহিত করছিলেন। শিক্ষার্থীদের জন্য রেলের নতুন একটা কামরায় পাঠাগার করলেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামতো যেকোনো বই পড়তে পারত। তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন, ‘যখন ইচ্ছা তোমরা এখানে এসে বই পড়তে পারবে। বই বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। তবে পড়া শেষ হলে ফিরিয়ে দিতে হবে।’ তার এ কথা খুব উত্তেজনা তৈরি করছিল শিশুদের মধ্যে। শিশুরা তখনই বই পড়ার জন্য চেঁচাতে শুরু করল।
অনেক শিশু জন্মের সময় কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, যাদের আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলি। এসব শিশুর মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়, যদি তার চারপাশের মানুষ তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। আবার এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোনো শিশু বড় প্রকৌশলী হতে পারে, যদি তাকে উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ থাকে, পরিবেশ যদি তার অনুকূল হয়। যেমনটা হয়েছিলেন আকিরা তাকাহাশি। তিনি একজন বড় মাপের প্রকৌশলী হয়েছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে কোবাইয়াশি মহাশয় এমন এক খেলার উদ্ভাবন করেছিলেন, যা আকিরা তাকাহাশির জন্য অনুকূল ছিল। সেই খেলায় তাকাহাশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এটা তাকাহাশির জন্য কতটা আনন্দের ছিল, তা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না। প্রধান শিক্ষকের এই উৎসাহ, উদ্দীপনাই হয়তো তাকাহাশিকে বিশাল স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বইয়ের শেষ হয় কিছুটা বিষাদের মধ্য দিয়ে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধবিমান থেকে পড়া অজস্র বোমার আঘাতে তাদের সেই আনন্দমুখর স্কুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরে অবশ্য কোবাইয়াশি মহাশয় সেই স্কুল পুনর্নির্মাণ করেন। তবে সেই কাজ তিনি পুরোপুরি সমাপ্ত করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি
ইংরেজি থেকে অনুবাদক: চৈতী রহমান
মূল লেখক: তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
প্রকাশনী: দুন্দুভি
বইয়ের মূল্য: ২৫০ টাকা

সারাক্ষণ টই টই, সারাক্ষণ চঞ্চল। এই খেলে তো, ওই প্রশ্ন ছোড়ে। আর এত এত প্রশ্ন যে, মাথা ঘুরে ওঠে। এ তো যেকোনো শিশুরই বৈশিষ্ট্য। শিশুমাত্রই চঞ্চল, একজোড়া ঝকঝকে চোখ। শিশুদের এই চাঞ্চল্য নিয়ে অভিভাবকদের প্রায়ই কপাল কুঁচকে চিন্তা করতে দেখা যায়। চিন্তার ভাঁজ পড়ে শিক্ষকদের কপালেও। কীভাবে তাকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়—সে ভাবনাই দখল নিয়ে নেয় অধিকাংশের মনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর চেপে বসে এক জগদ্দল পাথর। অথচ শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দময়।
আমাদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে লীলা মজুমদার তক সাহিত্যিকেরা শিশু শিক্ষা নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। নিজেদের সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তাঁরা শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার নানা উদাহরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আজও শিক্ষাবিদেরা বারবার বলছেন, শিক্ষা হতে হবে আনন্দময়। কিন্তু বিশেষত এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো অধরাই থেকে গেছে। শিশুদের এই আনন্দময় শিক্ষার প্রসঙ্গ নিয়েই চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য বই তোত্তোচান।
মূল বইটি জাপানি ভাষায় লিখিত। বইটির ইংরেজি অনুবাদ–Totto-Chan: The little girl at the window; অনুবাদক ডরোথি ব্রিটন। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো একজন ভালো শিক্ষকের প্রভাবে শিশুদের বদলে যাওয়া জীবন। সে জীবন আনন্দময়, মধুর।
অনুবাদক চৈতী রহমান বইয়ের ভূমিকাতে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুর শিক্ষাজীবন হবার কথা আনন্দময় ও ভয়ভীতিহীন। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে দেশভেদে শিশুর ইশকুল–ভাগ্য ভিন্নরকম। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার শিশুরা জন্মের পরপরই পাচ্ছে মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, হাসিখুশি আনন্দ উৎসব আর নিরাপত্তা।...দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিরানন্দ সব ইশকুলে যাচ্ছে কেবলমাত্র এইজন্য যে শিক্ষা তাদের একটা চাকরি জুটিয়ে দেবে।’
এই আনন্দ আর নিরানন্দের শিক্ষার মধ্যে যে বিশাল ফারাক, তা কেবল শিশুরাই অনুভব করতে পারে। ছোট শিশু তোত্তোচানের কাছে একটা বিদ্যালয় ছিল আনন্দের আধার, কিন্তু অন্যটি তেমন ছিল না। বইয়ের মূল চরিত্র তোত্তোচান আসলে বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। একটি বিদ্যালয় তার শৈশবকে কীভাবে পাল্টে দিয়েছে, তাই বর্ণিত হয়েছে এই বইয়ে। আনন্দমুখর বিদ্যালয়ের স্মৃতি নিয়েই বইটি লিখেছেন। সেই স্মৃতি তাঁর কাছে এখনো জীবন্ত।
বইয়ে ঢোকার আগে একটু তাকানো যাক তেৎসুকো কুরোয়ানাগির দিকে। তেৎসুকো কুরোয়ানাগির জন্ম টোকিওতে ১৯৩৩ সালে। অপেরা সংগীতের পাঠ নিলেও পরে হয়ে ওঠেন জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। একাধারে সংগীত, অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে জাপানের প্রথম নিয়মিত টক শো উপস্থাপনা করতে শুরু করেন, যা ছিল দৈনিক। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন আরও জনপ্রিয়। তোত্তোচান বলা যায় তেৎসুকোর শৈশবের এক সাহিত্যিক নির্মাণ।
বইয়ের প্রথম দিকে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণিতে তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনও বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এডিসনের হাতে একটা চিঠি দিয়ে তার মাকে দিতে বললেন। তার মা চিঠি পড়লেন। চিঠি পড়ে তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়লে লাগল। চিঠিতে লেখা ছিল—‘আপনার ছেলে স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন, আমরা আপনার ছেলেকে পড়াতে পারব না। তাকে অন্য কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’
কিন্তু টমাস আলভা এডিসনের মা শুনিয়ে শুনিয়ে চিঠি পড়লেন এভাবে—‘আপনার ছেলে খুবই মেধাবী। তাকে ভালোভাবে পড়ানোর মতো শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে নেই। তাকে ভালো কোনো বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করুন।’ স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন বলে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া সেই এডিসন পরে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হন। পরিণত বয়সে একদিন টমাস আলভা এডিসন সেই চিঠিটি দেখতে পান; তখন তাঁর মা জীবিত ছিলেন না। চিঠি খুলতেই তাঁর চোখে জল আসে। তখন টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, ‘আমার এই সাফল্যের পেছনে আছে আমার মায়ের অবদান।’
একই কথা বলেছেন তোত্তোচান বইয়ের লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। তোত্তোচান বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিল, সে কথা তার মা তখন বলেনি। বলেছেন, তার বয়স কুড়ি অতিক্রম করার পর। বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে লেখক তেৎসুকো লিখেছেন, ‘মা যদি বহিষ্কারের পরপরই সেই ছোট্ট আমাকে বলতেন, “এখন কী হবে? এই স্কুল থেকে তো তোমাকে বহিষ্কার করল। অন্য স্কুল থেকেও যদি করে তখন কী হবে? আর কোনো স্কুল তোমাকে ভর্তি নেবে না। ” তাহলে আমি এত আনন্দ নিয়ে স্কুলের জ্যান্ত গাছের গুঁড়িঅলা ফটক পেরোতে পারতাম না। আমি ভীরু, মার খাওয়া জন্তুর মতন ভয়ে ভয়ে হাঁটতাম। আমি রেলগাড়ি ক্লাসঘর দেখে উচ্ছ্বসিত হতাম না। কোনো কিছুই আমাকে আনন্দ দিত না। আমি হয়ে যেতাম নিষ্প্রাণ, হীনম্মন্য, নির্জীব। আমার মা কত বুদ্ধিমান যে, তিনি তার শিশুর আনন্দময় শৈশব নষ্ট করতে চাননি। এমন মা আমাকে মানুষ করেছেন, তা আমার সৌভাগ্যই বটে!’
তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে কী কী বলতে চাও তুমি? যা কিছু বলতে ইচ্ছা হয় আমাকে বলতে পার।’ এই প্রশ্নের উত্তরে তোত্তোচান চার ঘণ্টা কথা বলেছিল। তার কাছে এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তার কথা এত মনোযোগ দিয়ে আর কেউ কখনো শোনেনি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে হলে তাদের মনোজগৎ বুঝতে হয়। তাদের আগ্রহের জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হয়। তোমার রোল কত, পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছ, বড় হয়ে ডাক্তার হবে না ইঞ্জিনিয়ার হবে—এসব প্রশ্ন শিশুদের কাছে অবান্তর। এসব অবান্তর প্রশ্ন করা বয়স্ক প্রাণীগুলো শিশুদের জীবন দুঃসহ করে তোলে। আর তোত্তোচানের এই প্রধান শিক্ষকের অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। তাই তো তোত্তোচানসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিশুরা তাদের প্রধান শিক্ষককে খুব বেশি পছন্দ করত।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের দিকেও নজর রাখেন। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমিষ ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের এই মেনু অনুসরণ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। সেটা তিনি করেছিলেন সুন্দর একটি প্রশ্ন উত্থাপনের মধ্য দিয়ে। হলঘরে বসে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন—‘সবাই সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু এনেছ?’ সবাই উত্তরে বলে, ‘এনেছি’। তোত্তোচানের এই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সেও টিফিনে সমুদ্র আর পাহাড়ের কিছু আনার জন্য অস্থির হয়ে যায়। এখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের কিছু বলতে সমুদ্র ও পাহাড়ে প্রাপ্ত মানুষের খাদ্যদ্রব্যকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে শহরের অধিকাংশ শিশু শাক–সবজি খেতে চায় না। তার একটি কারণ হতে পারে হয়তো শিশুদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি না, যেমনটা তোত্তোচানের প্রধান শিক্ষক পেরেছিলেন।
পুথিগত বিদ্যা যদি বাস্তবে প্রয়োগ না করা যায়, তাহলে সেই বিদ্যার মূল্য কোথায়? তোত্তোচানদের এই নতুন বিদ্যালয় তাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদ্যালয় থেকে কখনো তারা চলে যেত নদীর পাড়ে, কখনো সরষে খেতে। শিক্ষিকা (বিদ্যালয়ের অন্য নারী শিক্ষক) তাদের পুংকেশর ও গর্ভকেশরের গল্প বলতেন। নতুন কোনো অভিজ্ঞতার জন্য তাদের বিদ্যালয়ে রাত কাটানোর সুযোগ দেওয়া হতো। এর আনন্দ শিশুদের কাছে নিরবধি সমুদ্রের মতো। শিশুদের মাঠে নিয়ে শেখানো হতো জমি চাষের কৌশল।
প্রধান শিক্ষক কোবাইয়াশি মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তেও উৎসাহিত করছিলেন। শিক্ষার্থীদের জন্য রেলের নতুন একটা কামরায় পাঠাগার করলেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামতো যেকোনো বই পড়তে পারত। তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন, ‘যখন ইচ্ছা তোমরা এখানে এসে বই পড়তে পারবে। বই বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। তবে পড়া শেষ হলে ফিরিয়ে দিতে হবে।’ তার এ কথা খুব উত্তেজনা তৈরি করছিল শিশুদের মধ্যে। শিশুরা তখনই বই পড়ার জন্য চেঁচাতে শুরু করল।
অনেক শিশু জন্মের সময় কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, যাদের আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলি। এসব শিশুর মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়, যদি তার চারপাশের মানুষ তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। আবার এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোনো শিশু বড় প্রকৌশলী হতে পারে, যদি তাকে উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ থাকে, পরিবেশ যদি তার অনুকূল হয়। যেমনটা হয়েছিলেন আকিরা তাকাহাশি। তিনি একজন বড় মাপের প্রকৌশলী হয়েছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে কোবাইয়াশি মহাশয় এমন এক খেলার উদ্ভাবন করেছিলেন, যা আকিরা তাকাহাশির জন্য অনুকূল ছিল। সেই খেলায় তাকাহাশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এটা তাকাহাশির জন্য কতটা আনন্দের ছিল, তা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না। প্রধান শিক্ষকের এই উৎসাহ, উদ্দীপনাই হয়তো তাকাহাশিকে বিশাল স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বইয়ের শেষ হয় কিছুটা বিষাদের মধ্য দিয়ে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধবিমান থেকে পড়া অজস্র বোমার আঘাতে তাদের সেই আনন্দমুখর স্কুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরে অবশ্য কোবাইয়াশি মহাশয় সেই স্কুল পুনর্নির্মাণ করেন। তবে সেই কাজ তিনি পুরোপুরি সমাপ্ত করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি
ইংরেজি থেকে অনুবাদক: চৈতী রহমান
মূল লেখক: তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
প্রকাশনী: দুন্দুভি
বইয়ের মূল্য: ২৫০ টাকা

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১৮ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে ক
২৪ জুলাই ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১৮ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার।

এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’

এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার।

এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’

এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে ক
২৪ জুলাই ২০২১
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১৮ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে ক
২৪ জুলাই ২০২১
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

তোত্তোচান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলটি তার বেশ পছন্দ হয়। রেলগাড়ির ছয়টি কামরা দিয়ে বানানো হয়েছে স্কুলটি। রেলগাড়ির এই স্কুল তোত্তোচানের কাছে আনন্দের উৎস ছিল। এই আনন্দসীমা অতিক্রম করে যখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রধান শিক্ষক তোত্তোচানকে বলেন, ‘বলো দেখি তোত্তোচান নিজের সম্পর্কে ক
২৪ জুলাই ২০২১
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১৮ ঘণ্টা আগে