রবিউল আলম, ঢাকা
করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।
করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।
আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলন ২০২৫-এ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের (বিএমডি) শিক্ষার্থীরা অসাধারণ গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০ ও ২১ জুন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাঁরা দেশের হয়ে গর্বের উদাহরণ সৃষ্টি...
৮ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও ‘বিশেষ সুবিধা’ বাড়ছে। এ সুবিধার আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাড়বে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
১২ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেগবেষণার জগতে পা রাখার পর প্রায় সবার স্বপ্ন থাকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা প্রবন্ধ (রিসার্চ পেপার) প্রকাশ করার। তবে শুধু প্রবন্ধ প্রকাশ নয়, অনেকের লক্ষ্য থাকে কিউওয়ান র্যাংকের জার্নালে নিজের গবেষণাকাজ ছাপানো—যা একাডেমিক ও প্রফেশনাল জীবনে অসাধারণ একটি অর্জন।
১ দিন আগে