সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুম
আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
প্রশ্নফাঁসের হুমকি ‘সব সময়ই থাকে’ কিন্তু প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি আরও বলেন, ‘দুষ্টু চক্রতো সবসময় চেষ্টা করবে এগুলো করতে। যেভাবে আমরা এসএসসিটা সামলেছি আশা করি এগুলোও পারব।’
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশিত হবে। গতকাল বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেএবার দেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন, ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৭টি।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। ইংরেজি প্রথম পত্রে ভালো করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যাবে না।
৮ ঘণ্টা আগে