মুসাররাত আবির
উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থীরই প্রথম পছন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের জন্য অনেকেই এখানে আবেদন করেন না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তেমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান। ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অবস্থান সবার ওপরে। আর কিইউএস ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে এর অবস্থান ২৫তম।
ক্যাম্পাসের পরিবেশ
বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৫১, যার মধ্যে ৭ হাজার ৩৪১ জন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের শিক্ষার্থী। মোট ফ্যাকাল্টির সংখ্যা ৭ হাজার ১৩২। প্রতিটি ক্লাসে ২০ জনেরও কম শিক্ষার্থী থাকেন। এখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ক্লাসরুম অনুপাত ১৫: ১। অর্থাৎ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতিই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এখানে ভর্তি হওয়াটা বেশ কঠিন। কারণ আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। ক্যাম্পাস সব সময় কড়া নিরাপত্তায় থাকায় এখানে অপরাধের হারও কম। তা ছাড়া নানান দেশের মানুষ এখানে পড়তে আসেন, তাই ক্যাম্পাসের পরিবেশটাও বেশ বর্ণিল।
চাকরি খোঁজার জন্য এখানে রয়েছে জব বোর্ড এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিলর। আপনি আপনার মেজর ও আগ্রহ অনুযায়ী খুব সহজেই চাকরি খুঁজে পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ক্লাস চলাকালীন ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়।
কোর্সসমূহ
স্নাতক স্তরে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ২৫০টিরও বেশি ডিগ্রি প্রোগ্রাম দিয়ে থাকে। এখানকার উল্লেখযোগ্য কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেস, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিকস, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট, বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, মলিক্যুলার বায়োলজি। এখানকার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ল স্কুল, মেডিকেল স্কুল, ডেন্টিস্ট্রি স্কুল এবং আর্কিটেকচার কলেজ।
টিউশন ফি ও স্কলারশিপ
প্রতিবছর তিনটি সেমিস্টারে এখানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়। তবে বছরে চারবার—ফল, উইন্টার, স্প্রিং ও সামারে আবেদন গ্রহণ করা হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি ৫৭ হাজার ২৭৩ ডলার। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের একটি অন্যতম সুবিধা হলো এর স্কলারশিপ ব্যবস্থা। এখানকার প্রায় ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো স্কলারশিপ নিয়ে এখানে পড়াশোনা করছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৩৩ হাজার ১৮৮ ডলার পর্যন্ত ফাইন্যান্সিয়াল এইড দেওয়া হয়। কারও যদি আর্থিক সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের ওপর ভিত্তি করেও ফাইন্যান্সিয়াল এইড দেওয়া হয় ৷ আরও আছে ফেডারেল লোন নিয়ে পড়ার সুযোগ। এখানে ৩৯ শতাংশ ফুলটাইম স্নাতক শিক্ষার্থীরা নিড-বেজড ফাইন্যান্সিয়াল এইড অথবা ২৩ হাজার ১৩৭ ডলার পেয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে মেরিট বেজড স্কলারশিপ তো থাকছেই। গড়ে ৪ হাজার ৪৮০ ডলার মেধার ওপর ভিত্তি করে স্কলারশিপ দেওয়া হয় ৷ আর যাঁরা খেলাধুলায় ভালো, তাঁদের জন্য রয়েছে অ্যাথলেট স্কলারশিপ। আপনি যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, সে ক্ষেত্রেও আপনাকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। মজার ব্যাপার হলো, আপনি যদি কখনো সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করেন অথবা আপনার মধ্যে যদি অনন্য কিছু গুণাবলি ও উল্লেখযোগ্য শখ থাকে, ব্যক্তিগত জীবনে আকর্ষণীয় কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তা-ও আপনাকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কমন অ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে খোঁজ নিলেই স্কলারশিপ ও ফাইন্যান্সিয়াল এইড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া
কাজের সুযোগ
যেসব শিক্ষার্থী লোন নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করে সেই লোন শোধ করে দেন। চাকরি খোঁজার জন্য এখানে রয়েছে জব বোর্ড এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিলর। আপনি আপনার মেজর ও আগ্রহ অনুযায়ী খুব সহজেই চাকরি খুঁজে পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ক্লাস চলাকালীন ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়। আর গ্রীষ্মের ছুটিতে আপনি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।
উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থীরই প্রথম পছন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের জন্য অনেকেই এখানে আবেদন করেন না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তেমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান। ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অবস্থান সবার ওপরে। আর কিইউএস ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে এর অবস্থান ২৫তম।
ক্যাম্পাসের পরিবেশ
বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৫১, যার মধ্যে ৭ হাজার ৩৪১ জন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের শিক্ষার্থী। মোট ফ্যাকাল্টির সংখ্যা ৭ হাজার ১৩২। প্রতিটি ক্লাসে ২০ জনেরও কম শিক্ষার্থী থাকেন। এখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ক্লাসরুম অনুপাত ১৫: ১। অর্থাৎ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতিই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এখানে ভর্তি হওয়াটা বেশ কঠিন। কারণ আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। ক্যাম্পাস সব সময় কড়া নিরাপত্তায় থাকায় এখানে অপরাধের হারও কম। তা ছাড়া নানান দেশের মানুষ এখানে পড়তে আসেন, তাই ক্যাম্পাসের পরিবেশটাও বেশ বর্ণিল।
চাকরি খোঁজার জন্য এখানে রয়েছে জব বোর্ড এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিলর। আপনি আপনার মেজর ও আগ্রহ অনুযায়ী খুব সহজেই চাকরি খুঁজে পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ক্লাস চলাকালীন ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়।
কোর্সসমূহ
স্নাতক স্তরে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ২৫০টিরও বেশি ডিগ্রি প্রোগ্রাম দিয়ে থাকে। এখানকার উল্লেখযোগ্য কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেস, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিকস, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট, বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, মলিক্যুলার বায়োলজি। এখানকার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ল স্কুল, মেডিকেল স্কুল, ডেন্টিস্ট্রি স্কুল এবং আর্কিটেকচার কলেজ।
টিউশন ফি ও স্কলারশিপ
প্রতিবছর তিনটি সেমিস্টারে এখানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়। তবে বছরে চারবার—ফল, উইন্টার, স্প্রিং ও সামারে আবেদন গ্রহণ করা হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি ৫৭ হাজার ২৭৩ ডলার। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের একটি অন্যতম সুবিধা হলো এর স্কলারশিপ ব্যবস্থা। এখানকার প্রায় ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো স্কলারশিপ নিয়ে এখানে পড়াশোনা করছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৩৩ হাজার ১৮৮ ডলার পর্যন্ত ফাইন্যান্সিয়াল এইড দেওয়া হয়। কারও যদি আর্থিক সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের ওপর ভিত্তি করেও ফাইন্যান্সিয়াল এইড দেওয়া হয় ৷ আরও আছে ফেডারেল লোন নিয়ে পড়ার সুযোগ। এখানে ৩৯ শতাংশ ফুলটাইম স্নাতক শিক্ষার্থীরা নিড-বেজড ফাইন্যান্সিয়াল এইড অথবা ২৩ হাজার ১৩৭ ডলার পেয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে মেরিট বেজড স্কলারশিপ তো থাকছেই। গড়ে ৪ হাজার ৪৮০ ডলার মেধার ওপর ভিত্তি করে স্কলারশিপ দেওয়া হয় ৷ আর যাঁরা খেলাধুলায় ভালো, তাঁদের জন্য রয়েছে অ্যাথলেট স্কলারশিপ। আপনি যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, সে ক্ষেত্রেও আপনাকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। মজার ব্যাপার হলো, আপনি যদি কখনো সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করেন অথবা আপনার মধ্যে যদি অনন্য কিছু গুণাবলি ও উল্লেখযোগ্য শখ থাকে, ব্যক্তিগত জীবনে আকর্ষণীয় কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তা-ও আপনাকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কমন অ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে খোঁজ নিলেই স্কলারশিপ ও ফাইন্যান্সিয়াল এইড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া
কাজের সুযোগ
যেসব শিক্ষার্থী লোন নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করে সেই লোন শোধ করে দেন। চাকরি খোঁজার জন্য এখানে রয়েছে জব বোর্ড এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিলর। আপনি আপনার মেজর ও আগ্রহ অনুযায়ী খুব সহজেই চাকরি খুঁজে পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ক্লাস চলাকালীন ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়। আর গ্রীষ্মের ছুটিতে আপনি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) রাহেলা রহমত উল্লাহর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছে আন্তর্জাতিক শিক্ষাবৃত্তি একটি বড় আকর্ষণ। এর মধ্যে ভারতের আইসিসিআর (ICCR) বৃত্তি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই স্কলারশিপে আবেদন করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো প্রবন্ধ বা ‘Essay’ লেখা। এটি কেবল আপনার প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা নয়...
১ দিন আগেআগামী ১৭ ও ২৪ মে (দুই শনিবার) সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ দুই দিন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
১ দিন আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শত শত শিক্ষার্থী গবেষণা নিয়ে পড়ে থাকেন অন্ধকারে। একে একে বছর পেরোয়, স্নাতকোত্তরও শেষ হয়ে যায়, কিন্তু গবেষণার স্বাদ গ্রহণ করা হয় না। ঠিক সেই জায়গা থেকেই দুটি অ্যাপ বদলে দিচ্ছে তরুণ গবেষকদের গল্প। ‘গবেষণা ১০১’ এবং ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’—এ দুটি মোবাইল অ্যাপ, যা স্মার্টফোনের
২ দিন আগে