
ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রুপির বিনিময় হার সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এখন রুপির বিনিময় হার ৮০।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত থেকে প্রতিবছর ১৩ দশমিক ২৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক যান যুক্তরাষ্ট্রে (৪ দশমিক ৬৫ লাখ), এরপরেই জনপ্রিয়তম গন্তব্য কানাডা (১ দশমিক ৮৩ লাখ)। অন্যান্য গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ দশমিক ৬৪ লাখ) এবং অস্ট্রেলিয়া (১ দশমিক ০৯ লাখ)।
বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন হাতছাড়া হতে পারে। কারণ, সেখানে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথবা তুলনামূলক কম খরচ হয় এমন দেশ বেছে নিতে হবে তাঁদের।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই উদ্বেগ আমলে নিচ্ছে। এতে বেশি পরিমাণে শিক্ষাঋণের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। তবে বিদেশে অধ্যয়নের পরামর্শদাতারা মনে করছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অত চিন্তা করার কারণ নেই। বিশেষ করে যাঁরা পড়াশোনা শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রেই কাজ করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন বিষয়ে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন একজন শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। এটি বিদেশে অধ্যয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের আর্থিক বোঝা বাড়াবে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অন্য বন্ধুদের জন্য পছন্দ পরিবর্তনটা সহজ হতে পারে। কিন্তু আমার জন্য সেটা সম্ভব নয়। প্রতিটি দেশের আলাদা আইনি ব্যবস্থা আছে, আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন করার জন্য বিভিন্ন জ্ঞানের প্রয়োজন। আমি তো তেমন প্রস্তুতি নিইনি।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি ক্রেডিলার এমডি এবং সিইও অরিজিৎ সান্যাল মনে করেন, রুপির অবমূল্যায়ন বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হবে। শিক্ষাঋণ দাতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এর ফলে চাহিদার আকার বড় হবে। একজন ঋণগ্রহীতাকে টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচসহ বাড়তি ব্যয় সংকুলান করার জন্য আরও বেশি টাকার দরকার হবে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পর্যায়ে গিয়ে ঋণগ্রহীতার জন্য কাজটা সহজ হবে যদি তিনি সেখানে ডলারে উপার্জন করেন।
বিদেশে পড়াশোনা করার সময় শিক্ষার্থীদের খরচের দুটি খাত থাকে—টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়। এখন রুপির দরপতনের কারণে দুটি খরচই বাড়বে।
অনলাইন শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম কুহু ফিনটেকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত এ ভোঁসলের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের খরচ বাড়বে, কারণ তাঁদের টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় ডলারে পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে, ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে রুপি শক্তিশালী হয়েছে, ফলস্বরূপ যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার খরচ কমবে।
আগের তথ্য-উপাত্ত তুলনা করলে বোঝা যায়, রুপির দরপতন শিক্ষার্থীদের খরচের বোঝা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ২০১৭ সালে প্রতি ডলারে প্রায় ৬৫ রুপি বিনিময় হারে ফি দিতেন, এখন তাঁকে প্রতি ডলারে ৭৭-৮০ রুপি পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম Credenc. com-এর প্রতিষ্ঠাতা অবিনাশ কুমার বলেন, রুপির দরপতন হলে টিউশন ফি থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার ব্যয়, ভ্রমণ টিকিট সবকিছুরই খরচ বাড়ে।
সাম্প্রতিক দরপতন অনুসারে, ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় হার ৭৯ দশমিক ৯৯। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার ডলার প্রতি সেমিস্টার ফি হিসেবে গত জানুয়ারিতে যেখানে ২৯ দশমিক ৫৩ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে, তাঁকেই এখন খরচ করতে হবে ৩১ দশমিক ৯২ লাখ রুপি। প্রতি সেমিস্টারে জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় ৯ হাজার ডলার (৭ লাখ ১৮ হাজার রুপি) এবং ভ্রমণ ব্যয় (৯০ হাজার থেকে ১ লাখ রুপি)-সহ এক সেমিস্টারেই খরচ করতে হবে ৪১ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ।
বিদেশে অধ্যয়ন পরামর্শদাতারা মনে করছেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারটি একটি সুচিন্তিত এবং দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম।
ইউনিভার্সিটি লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সৌরভ অরোরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনো বিদেশে যেতে চাইছেন। তবে তাঁরা ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনের মতো নতুন গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন যেখানে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার মান এবং খরচ কিছুটা কম।
বিদেশে পড়াশোনায় সহায়তাকারী অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন, মহামারির পরে শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনা করার আকাঙ্ক্ষা আগের চেয়ে আরও সাহসী হয়েছে। রুপির পতন এই উচ্চাভিলাষে জলা ঢালবে এমন সম্ভাবনা কম। তার মানে ভারত থেকে মেধা পাচারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থও বিদেশে চলে যাবে।

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রুপির বিনিময় হার সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এখন রুপির বিনিময় হার ৮০।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত থেকে প্রতিবছর ১৩ দশমিক ২৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক যান যুক্তরাষ্ট্রে (৪ দশমিক ৬৫ লাখ), এরপরেই জনপ্রিয়তম গন্তব্য কানাডা (১ দশমিক ৮৩ লাখ)। অন্যান্য গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ দশমিক ৬৪ লাখ) এবং অস্ট্রেলিয়া (১ দশমিক ০৯ লাখ)।
বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন হাতছাড়া হতে পারে। কারণ, সেখানে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথবা তুলনামূলক কম খরচ হয় এমন দেশ বেছে নিতে হবে তাঁদের।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই উদ্বেগ আমলে নিচ্ছে। এতে বেশি পরিমাণে শিক্ষাঋণের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। তবে বিদেশে অধ্যয়নের পরামর্শদাতারা মনে করছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অত চিন্তা করার কারণ নেই। বিশেষ করে যাঁরা পড়াশোনা শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রেই কাজ করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন বিষয়ে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন একজন শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। এটি বিদেশে অধ্যয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের আর্থিক বোঝা বাড়াবে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অন্য বন্ধুদের জন্য পছন্দ পরিবর্তনটা সহজ হতে পারে। কিন্তু আমার জন্য সেটা সম্ভব নয়। প্রতিটি দেশের আলাদা আইনি ব্যবস্থা আছে, আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন করার জন্য বিভিন্ন জ্ঞানের প্রয়োজন। আমি তো তেমন প্রস্তুতি নিইনি।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি ক্রেডিলার এমডি এবং সিইও অরিজিৎ সান্যাল মনে করেন, রুপির অবমূল্যায়ন বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হবে। শিক্ষাঋণ দাতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এর ফলে চাহিদার আকার বড় হবে। একজন ঋণগ্রহীতাকে টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচসহ বাড়তি ব্যয় সংকুলান করার জন্য আরও বেশি টাকার দরকার হবে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পর্যায়ে গিয়ে ঋণগ্রহীতার জন্য কাজটা সহজ হবে যদি তিনি সেখানে ডলারে উপার্জন করেন।
বিদেশে পড়াশোনা করার সময় শিক্ষার্থীদের খরচের দুটি খাত থাকে—টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়। এখন রুপির দরপতনের কারণে দুটি খরচই বাড়বে।
অনলাইন শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম কুহু ফিনটেকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত এ ভোঁসলের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের খরচ বাড়বে, কারণ তাঁদের টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় ডলারে পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে, ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে রুপি শক্তিশালী হয়েছে, ফলস্বরূপ যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার খরচ কমবে।
আগের তথ্য-উপাত্ত তুলনা করলে বোঝা যায়, রুপির দরপতন শিক্ষার্থীদের খরচের বোঝা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ২০১৭ সালে প্রতি ডলারে প্রায় ৬৫ রুপি বিনিময় হারে ফি দিতেন, এখন তাঁকে প্রতি ডলারে ৭৭-৮০ রুপি পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম Credenc. com-এর প্রতিষ্ঠাতা অবিনাশ কুমার বলেন, রুপির দরপতন হলে টিউশন ফি থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার ব্যয়, ভ্রমণ টিকিট সবকিছুরই খরচ বাড়ে।
সাম্প্রতিক দরপতন অনুসারে, ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় হার ৭৯ দশমিক ৯৯। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার ডলার প্রতি সেমিস্টার ফি হিসেবে গত জানুয়ারিতে যেখানে ২৯ দশমিক ৫৩ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে, তাঁকেই এখন খরচ করতে হবে ৩১ দশমিক ৯২ লাখ রুপি। প্রতি সেমিস্টারে জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় ৯ হাজার ডলার (৭ লাখ ১৮ হাজার রুপি) এবং ভ্রমণ ব্যয় (৯০ হাজার থেকে ১ লাখ রুপি)-সহ এক সেমিস্টারেই খরচ করতে হবে ৪১ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ।
বিদেশে অধ্যয়ন পরামর্শদাতারা মনে করছেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারটি একটি সুচিন্তিত এবং দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম।
ইউনিভার্সিটি লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সৌরভ অরোরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনো বিদেশে যেতে চাইছেন। তবে তাঁরা ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনের মতো নতুন গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন যেখানে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার মান এবং খরচ কিছুটা কম।
বিদেশে পড়াশোনায় সহায়তাকারী অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন, মহামারির পরে শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনা করার আকাঙ্ক্ষা আগের চেয়ে আরও সাহসী হয়েছে। রুপির পতন এই উচ্চাভিলাষে জলা ঢালবে এমন সম্ভাবনা কম। তার মানে ভারত থেকে মেধা পাচারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থও বিদেশে চলে যাবে।

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রুপির বিনিময় হার সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এখন রুপির বিনিময় হার ৮০।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত থেকে প্রতিবছর ১৩ দশমিক ২৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক যান যুক্তরাষ্ট্রে (৪ দশমিক ৬৫ লাখ), এরপরেই জনপ্রিয়তম গন্তব্য কানাডা (১ দশমিক ৮৩ লাখ)। অন্যান্য গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ দশমিক ৬৪ লাখ) এবং অস্ট্রেলিয়া (১ দশমিক ০৯ লাখ)।
বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন হাতছাড়া হতে পারে। কারণ, সেখানে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথবা তুলনামূলক কম খরচ হয় এমন দেশ বেছে নিতে হবে তাঁদের।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই উদ্বেগ আমলে নিচ্ছে। এতে বেশি পরিমাণে শিক্ষাঋণের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। তবে বিদেশে অধ্যয়নের পরামর্শদাতারা মনে করছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অত চিন্তা করার কারণ নেই। বিশেষ করে যাঁরা পড়াশোনা শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রেই কাজ করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন বিষয়ে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন একজন শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। এটি বিদেশে অধ্যয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের আর্থিক বোঝা বাড়াবে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অন্য বন্ধুদের জন্য পছন্দ পরিবর্তনটা সহজ হতে পারে। কিন্তু আমার জন্য সেটা সম্ভব নয়। প্রতিটি দেশের আলাদা আইনি ব্যবস্থা আছে, আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন করার জন্য বিভিন্ন জ্ঞানের প্রয়োজন। আমি তো তেমন প্রস্তুতি নিইনি।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি ক্রেডিলার এমডি এবং সিইও অরিজিৎ সান্যাল মনে করেন, রুপির অবমূল্যায়ন বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হবে। শিক্ষাঋণ দাতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এর ফলে চাহিদার আকার বড় হবে। একজন ঋণগ্রহীতাকে টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচসহ বাড়তি ব্যয় সংকুলান করার জন্য আরও বেশি টাকার দরকার হবে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পর্যায়ে গিয়ে ঋণগ্রহীতার জন্য কাজটা সহজ হবে যদি তিনি সেখানে ডলারে উপার্জন করেন।
বিদেশে পড়াশোনা করার সময় শিক্ষার্থীদের খরচের দুটি খাত থাকে—টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়। এখন রুপির দরপতনের কারণে দুটি খরচই বাড়বে।
অনলাইন শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম কুহু ফিনটেকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত এ ভোঁসলের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের খরচ বাড়বে, কারণ তাঁদের টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় ডলারে পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে, ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে রুপি শক্তিশালী হয়েছে, ফলস্বরূপ যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার খরচ কমবে।
আগের তথ্য-উপাত্ত তুলনা করলে বোঝা যায়, রুপির দরপতন শিক্ষার্থীদের খরচের বোঝা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ২০১৭ সালে প্রতি ডলারে প্রায় ৬৫ রুপি বিনিময় হারে ফি দিতেন, এখন তাঁকে প্রতি ডলারে ৭৭-৮০ রুপি পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম Credenc. com-এর প্রতিষ্ঠাতা অবিনাশ কুমার বলেন, রুপির দরপতন হলে টিউশন ফি থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার ব্যয়, ভ্রমণ টিকিট সবকিছুরই খরচ বাড়ে।
সাম্প্রতিক দরপতন অনুসারে, ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় হার ৭৯ দশমিক ৯৯। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার ডলার প্রতি সেমিস্টার ফি হিসেবে গত জানুয়ারিতে যেখানে ২৯ দশমিক ৫৩ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে, তাঁকেই এখন খরচ করতে হবে ৩১ দশমিক ৯২ লাখ রুপি। প্রতি সেমিস্টারে জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় ৯ হাজার ডলার (৭ লাখ ১৮ হাজার রুপি) এবং ভ্রমণ ব্যয় (৯০ হাজার থেকে ১ লাখ রুপি)-সহ এক সেমিস্টারেই খরচ করতে হবে ৪১ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ।
বিদেশে অধ্যয়ন পরামর্শদাতারা মনে করছেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারটি একটি সুচিন্তিত এবং দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম।
ইউনিভার্সিটি লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সৌরভ অরোরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনো বিদেশে যেতে চাইছেন। তবে তাঁরা ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনের মতো নতুন গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন যেখানে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার মান এবং খরচ কিছুটা কম।
বিদেশে পড়াশোনায় সহায়তাকারী অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন, মহামারির পরে শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনা করার আকাঙ্ক্ষা আগের চেয়ে আরও সাহসী হয়েছে। রুপির পতন এই উচ্চাভিলাষে জলা ঢালবে এমন সম্ভাবনা কম। তার মানে ভারত থেকে মেধা পাচারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থও বিদেশে চলে যাবে।

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রুপির বিনিময় হার সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এখন রুপির বিনিময় হার ৮০।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত থেকে প্রতিবছর ১৩ দশমিক ২৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক যান যুক্তরাষ্ট্রে (৪ দশমিক ৬৫ লাখ), এরপরেই জনপ্রিয়তম গন্তব্য কানাডা (১ দশমিক ৮৩ লাখ)। অন্যান্য গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ দশমিক ৬৪ লাখ) এবং অস্ট্রেলিয়া (১ দশমিক ০৯ লাখ)।
বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন হাতছাড়া হতে পারে। কারণ, সেখানে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথবা তুলনামূলক কম খরচ হয় এমন দেশ বেছে নিতে হবে তাঁদের।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই উদ্বেগ আমলে নিচ্ছে। এতে বেশি পরিমাণে শিক্ষাঋণের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। তবে বিদেশে অধ্যয়নের পরামর্শদাতারা মনে করছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অত চিন্তা করার কারণ নেই। বিশেষ করে যাঁরা পড়াশোনা শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রেই কাজ করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন বিষয়ে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন একজন শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। এটি বিদেশে অধ্যয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের আর্থিক বোঝা বাড়াবে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অন্য বন্ধুদের জন্য পছন্দ পরিবর্তনটা সহজ হতে পারে। কিন্তু আমার জন্য সেটা সম্ভব নয়। প্রতিটি দেশের আলাদা আইনি ব্যবস্থা আছে, আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন করার জন্য বিভিন্ন জ্ঞানের প্রয়োজন। আমি তো তেমন প্রস্তুতি নিইনি।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি ক্রেডিলার এমডি এবং সিইও অরিজিৎ সান্যাল মনে করেন, রুপির অবমূল্যায়ন বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হবে। শিক্ষাঋণ দাতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এর ফলে চাহিদার আকার বড় হবে। একজন ঋণগ্রহীতাকে টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচসহ বাড়তি ব্যয় সংকুলান করার জন্য আরও বেশি টাকার দরকার হবে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পর্যায়ে গিয়ে ঋণগ্রহীতার জন্য কাজটা সহজ হবে যদি তিনি সেখানে ডলারে উপার্জন করেন।
বিদেশে পড়াশোনা করার সময় শিক্ষার্থীদের খরচের দুটি খাত থাকে—টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়। এখন রুপির দরপতনের কারণে দুটি খরচই বাড়বে।
অনলাইন শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম কুহু ফিনটেকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত এ ভোঁসলের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের খরচ বাড়বে, কারণ তাঁদের টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় ডলারে পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে, ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে রুপি শক্তিশালী হয়েছে, ফলস্বরূপ যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার খরচ কমবে।
আগের তথ্য-উপাত্ত তুলনা করলে বোঝা যায়, রুপির দরপতন শিক্ষার্থীদের খরচের বোঝা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী ২০১৭ সালে প্রতি ডলারে প্রায় ৬৫ রুপি বিনিময় হারে ফি দিতেন, এখন তাঁকে প্রতি ডলারে ৭৭-৮০ রুপি পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষাঋণ প্ল্যাটফর্ম Credenc. com-এর প্রতিষ্ঠাতা অবিনাশ কুমার বলেন, রুপির দরপতন হলে টিউশন ফি থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার ব্যয়, ভ্রমণ টিকিট সবকিছুরই খরচ বাড়ে।
সাম্প্রতিক দরপতন অনুসারে, ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় হার ৭৯ দশমিক ৯৯। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার ডলার প্রতি সেমিস্টার ফি হিসেবে গত জানুয়ারিতে যেখানে ২৯ দশমিক ৫৩ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে, তাঁকেই এখন খরচ করতে হবে ৩১ দশমিক ৯২ লাখ রুপি। প্রতি সেমিস্টারে জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় ৯ হাজার ডলার (৭ লাখ ১৮ হাজার রুপি) এবং ভ্রমণ ব্যয় (৯০ হাজার থেকে ১ লাখ রুপি)-সহ এক সেমিস্টারেই খরচ করতে হবে ৪১ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ।
বিদেশে অধ্যয়ন পরামর্শদাতারা মনে করছেন, বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারটি একটি সুচিন্তিত এবং দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম।
ইউনিভার্সিটি লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সৌরভ অরোরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনো বিদেশে যেতে চাইছেন। তবে তাঁরা ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনের মতো নতুন গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন যেখানে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার মান এবং খরচ কিছুটা কম।
বিদেশে পড়াশোনায় সহায়তাকারী অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন, মহামারির পরে শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনা করার আকাঙ্ক্ষা আগের চেয়ে আরও সাহসী হয়েছে। রুপির পতন এই উচ্চাভিলাষে জলা ঢালবে এমন সম্ভাবনা কম। তার মানে ভারত থেকে মেধা পাচারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থও বিদেশে চলে যাবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২ দিন আগে
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
২ দিন আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ বিভাগগুলো হলো রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ দুই বিভাগে শূন্য পদ রয়েছে ৪ হাজার ১৬৬টি।
আজ বুধবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামীকাল দেশের তিনটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর ৩১ আগস্ট গঠিত হয় আট সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’। এ কমিটির চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সদস্যসচিব অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) পরিচালক। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে।
পরে ২ নভেম্বর সংশোধিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করা হয়। এতে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাদ দেওয়া হয়। এ দুটি পদ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বিধিমালায় কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ বিভাগগুলো হলো রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ দুই বিভাগে শূন্য পদ রয়েছে ৪ হাজার ১৬৬টি।
আজ বুধবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামীকাল দেশের তিনটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর ৩১ আগস্ট গঠিত হয় আট সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’। এ কমিটির চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সদস্যসচিব অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) পরিচালক। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে।
পরে ২ নভেম্বর সংশোধিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করা হয়। এতে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাদ দেওয়া হয়। এ দুটি পদ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বিধিমালায় কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে।

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
১৭ জুলাই ২০২২
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
২ দিন আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন অষ্টম ও ইবতেদায়ি (পঞ্চম) শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত সময়সূচিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় থাকবে।
বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ এবং পরীক্ষার সময় (১.৩০ + ১.৩০) = ৩ ঘণ্টা। দুটি বিষয়ে একই দিনে ভিন্ন কোডে পরীক্ষা হবে এবং উত্তরপত্র আলাদা থাকবে। গণিত ও বিজ্ঞান পরীক্ষাও একই পদ্ধতিতে হবে, পূর্ণমান (৭০ + ৩০) = ১০০।
অন্যদিকে ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ আর গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পূর্ণমান (৬০ + ৪০) = ১০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পাঠ্যবই থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত প্রশ্নকাঠামো অনুযায়ী উভয় পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের কক্ষে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠানপ্রধানের স্বাক্ষর, সিলসহ পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা ওএমআর ফরমে সঠিকভাবে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড পূরণ করবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা কেবল অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (নন-প্রোগ্রামেবল) ব্যবহার করতে পারবে। কোনো অবস্থায় উত্তরপত্র ভাঁজ করা বা প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন অষ্টম ও ইবতেদায়ি (পঞ্চম) শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত সময়সূচিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় থাকবে।
বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ এবং পরীক্ষার সময় (১.৩০ + ১.৩০) = ৩ ঘণ্টা। দুটি বিষয়ে একই দিনে ভিন্ন কোডে পরীক্ষা হবে এবং উত্তরপত্র আলাদা থাকবে। গণিত ও বিজ্ঞান পরীক্ষাও একই পদ্ধতিতে হবে, পূর্ণমান (৭০ + ৩০) = ১০০।
অন্যদিকে ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ আর গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পূর্ণমান (৬০ + ৪০) = ১০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পাঠ্যবই থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত প্রশ্নকাঠামো অনুযায়ী উভয় পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের কক্ষে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠানপ্রধানের স্বাক্ষর, সিলসহ পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা ওএমআর ফরমে সঠিকভাবে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড পূরণ করবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা কেবল অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (নন-প্রোগ্রামেবল) ব্যবহার করতে পারবে। কোনো অবস্থায় উত্তরপত্র ভাঁজ করা বা প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
১৭ জুলাই ২০২২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
২ দিন আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ৫ নভেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ নভেম্বর, জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
এ ছাড়া জকসু নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হবে। ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে ২২ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবস, শহীদ দিবস, শীতকালীন ছুটি—সব বিবেচনা করে এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সব বিবেচনায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ৫ নভেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ নভেম্বর, জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
এ ছাড়া জকসু নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হবে। ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে ২২ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবস, শহীদ দিবস, শীতকালীন ছুটি—সব বিবেচনা করে এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সব বিবেচনায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।’

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
১৭ জুলাই ২০২২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২ দিন আগে
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
২ দিন আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দামে পতন অব্যাহত। আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। অনেকে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের গন্তব্য খুঁজছেন।
১৭ জুলাই ২০২২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২ দিন আগে
সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
২ দিন আগে