Ajker Patrika

নির্দেশনা আসার আগেই ক্লাস চালু করলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৩
নির্দেশনা আসার আগেই ক্লাস চালু করলেন প্রধান শিক্ষক

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলতে জোর তোড়জোড় চালাচ্ছে সরকার। শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী করতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। তবে এখনই বিদ্যালয় খুলে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা না এলেও নিজ ক্ষমতায় শিক্ষার্থীদের ডেকে ক্লাস করাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক।  

অভিযোগটি মনিরামপুরের মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা মিত্রর বিরুদ্ধে। গেল বৃহস্পতিবার থেকে তিনি স্কুলে ক্লাস চালু করেছেন। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১০টার দিকে সরেজমিন ওই প্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষককে ক্লাস নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান একটি কক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। শ্রেণিকক্ষে তিন সারিতে ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সামনে সবার বই খোলা। সঙ্গের ব্যাগে রয়েছে বই-খাতা। উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী কারও মুখে মাস্ক নেই। নেই করোনা রোধে কোনো  সুরক্ষাব্যবস্থা।

ইসমাইল হোসেন নামে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের বাংলা ক্লাস চলছে। সাবিহা নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, কামরুল স্যার আমাদের বিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে শ্রেণিশিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, বাচ্চারা বাড়িতে লেখাপড়া করছে না। তাই তাদের ক্লাস নিচ্ছি।

প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা মিত্র বলেন, `আশপাশের দুটো স্কুলে ক্লাস চালু হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার থেকে আমরা ক্লাস চালু করেছি।'

খেদাপাড়া ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালু রাখতে প্রতি সপ্তাহে ওয়ার্কশিট দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি ওয়ার্কশিট পৌঁছে দিয়ে আবার নিজেরা গিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশনা রয়েছে। এসব তদারক করতে নিয়মিত শিক্ষকদের দুপুর ১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কোনোক্রমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনার কথা নয়। 

এও বলেন, `আমি মাহমুদকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ক্লাস চালু করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কেন আইন ভেঙে ক্লাস নিচ্ছেন, এক দিনের মধ্যে তার লিখিত জবাব ওই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের কাছে চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেহেলী ফেরদৌস বলেন, বিদ্যালয় চালু করার কোনো  নির্দেশনা আসেনি। মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন ক্লাস চালু করা হলো সে ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করতে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৩০ জনের নামে মামলা

‘কথিত আওয়ামী লীগ সদস্যদের’ বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিষয়ে ভারত অবহিত নয়: মুখপাত্র

কলকাতার নিউটাউনে বসে আয়েশ করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা

চাকরি না ছেড়েই বিদেশে পাড়ি, ৪৮ শিক্ষক বরখাস্ত

ভিসা ছাড়া পাকিস্তান সফরের চুক্তি হতে পারে শিগগির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত