আইন পেশা শুধু একটি চাকরি নয়, এটি একটি দায়িত্ব, সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ। বাংলাদেশি তরুণ মাসুদ আলম সে সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন বিশ্বমঞ্চে। বর্তমানে তিনি নিউজিল্যান্ড হাইকোর্টে একজন প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার ও সলিসিটর। নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মীর রাকিব হাসান।
মাসুদ আলম
নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রয়োজন দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম, তেমনি প্রয়োজন দূরদৃষ্টি। চলুন জেনে নিই নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে করণীয় নিয়ে—
নিউজিল্যান্ড কেন
নিউজিল্যান্ড একটি শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক দেশ। এখানকার মানুষ খুবই বন্ধুবৎসল, যুক্তরাজ্য বা অস্ট্রেলিয়ার মতো অভিবাসীর সংকটও নেই। জীবনযাত্রার মানও এখানে তুলনামূলক ভালো।
ব্যারিস্টার হতে চাইলে
নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমেই একজন প্রার্থীর একাডেমিক যোগ্যতা ও পূর্বের প্র্যাকটিস সার্টিফিকেট নিউজিল্যান্ড কাউন্সিল অব লিগ্যাল এডুকেশনের কাছে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হয়। এরপর সাধারণত যেসব ধাপ পার
হতে হয়:
১. নিউজিল্যান্ড আইনের ৬টি মূল বিষয়ের ওপর পড়াশোনা বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।
২. আইইএলটিএস পরীক্ষায় প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে ৭.৫ স্কোর অর্জন।
৩. ‘প্রফস’ কোর্স সম্পন্ন করা (প্রফেশনাল লিগ্যাল স্টাডিজ)।
এই ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করলেই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে ব্যারিস্টার ও সলিসিটর হিসেবে কাজ করার অনুমতি পান।
পড়াশোনার মান ও কোর্স কাঠামো
যুক্তরাজ্যে এলএলবি স্নাতক করতে বছরে প্রায় ২৯ হাজার জিবিপি খরচ হয়, যার মধ্যে কোর্স ফি, জীবনযাত্রা ও পড়াশোনার উপকরণ অন্তর্ভুক্ত। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে জিডিএল কোর্সে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের প্রতি কোর্সে খরচ পড়ে ৫০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। এইউটিতে সিওপি কোর্সে খরচ হয় প্রায় ৪৬ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের আইন ডিগ্রির জন্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি, অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড আইন কোর্সের মতো সম্মান বহন করে। মাসুদ আলম বলেন, ‘আমার সকল আইন ডিগ্রি—এলএলবি অনার্স, জিডিএল এবং সিওপিতে গড় নম্বর ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। এমন রেজাল্ট খুবই জরুরি নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।’
স্কলারশিপ বা ফিন্যান্সিয়াল এইড
দুর্ভাগ্যবশত নিউজিল্যান্ডে আইন পড়ার জন্য কোনো স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। সরাসরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বা সুদমুক্ত ঋণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। নিউজিল্যান্ডে বৃত্তিগুলো সাধারণত গবেষণাভিত্তিক প্রোগ্রাম, যেমন পিএইচডির জন্য দেওয়া হয়। মাসুদ আলম নিউজিল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে দুটি কোর্সেই ১০০ শতাংশ সুদমুক্ত ঋণ পান। সেটা সম্ভব হয়েছে একাডেমিক ভালো ফলের জন্য।
যাঁরা ব্যারিস্টারি নিয়ে ভাবছেন
শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, নিজেকে গড়ে তুলুন একজন মানবিক আইনজীবী হিসেবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সে ভালো ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডে পেশাগত মান অনেক উঁচু, তাই সততা ও নিষ্ঠা ছাড়া টিকে থাকা কঠিন। নিজেকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করতে হলে অধ্যবসায়, সময়ের সঠিক ব্যবহার ও লক্ষ্য নির্ধারণ অপরিহার্য।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
মাসুদ আলম বলেন, ‘আপনি এখন কোনো গ্রামের দরিদ্র ঘরে বসে পড়াশোনা করছেন, সেটা বিষয় নয়। আপনি কী জানছেন, সেটা বিষয়। আপনি ওই গ্রামে বসেই পুরো বিশ্বের খোঁজ নিতে পারবেন। এখন সবকিছু অনলাইনে হয়। বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে ঘরে বসেই খোঁজখবর নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আবেদনপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপ, কোর্স কাঠামো—সবই পাওয়া যায়। যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি নিজেও ১৫ মিনিটের ফ্রি পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমার একটি বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে, যারা একাডেমিক পরামর্শ দিয়ে থাকে।’
নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রয়োজন দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম, তেমনি প্রয়োজন দূরদৃষ্টি। চলুন জেনে নিই নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে করণীয় নিয়ে—
নিউজিল্যান্ড কেন
নিউজিল্যান্ড একটি শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক দেশ। এখানকার মানুষ খুবই বন্ধুবৎসল, যুক্তরাজ্য বা অস্ট্রেলিয়ার মতো অভিবাসীর সংকটও নেই। জীবনযাত্রার মানও এখানে তুলনামূলক ভালো।
ব্যারিস্টার হতে চাইলে
নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমেই একজন প্রার্থীর একাডেমিক যোগ্যতা ও পূর্বের প্র্যাকটিস সার্টিফিকেট নিউজিল্যান্ড কাউন্সিল অব লিগ্যাল এডুকেশনের কাছে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হয়। এরপর সাধারণত যেসব ধাপ পার
হতে হয়:
১. নিউজিল্যান্ড আইনের ৬টি মূল বিষয়ের ওপর পড়াশোনা বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।
২. আইইএলটিএস পরীক্ষায় প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে ৭.৫ স্কোর অর্জন।
৩. ‘প্রফস’ কোর্স সম্পন্ন করা (প্রফেশনাল লিগ্যাল স্টাডিজ)।
এই ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করলেই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে ব্যারিস্টার ও সলিসিটর হিসেবে কাজ করার অনুমতি পান।
পড়াশোনার মান ও কোর্স কাঠামো
যুক্তরাজ্যে এলএলবি স্নাতক করতে বছরে প্রায় ২৯ হাজার জিবিপি খরচ হয়, যার মধ্যে কোর্স ফি, জীবনযাত্রা ও পড়াশোনার উপকরণ অন্তর্ভুক্ত। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে জিডিএল কোর্সে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের প্রতি কোর্সে খরচ পড়ে ৫০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। এইউটিতে সিওপি কোর্সে খরচ হয় প্রায় ৪৬ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের আইন ডিগ্রির জন্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি, অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড আইন কোর্সের মতো সম্মান বহন করে। মাসুদ আলম বলেন, ‘আমার সকল আইন ডিগ্রি—এলএলবি অনার্স, জিডিএল এবং সিওপিতে গড় নম্বর ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। এমন রেজাল্ট খুবই জরুরি নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।’
স্কলারশিপ বা ফিন্যান্সিয়াল এইড
দুর্ভাগ্যবশত নিউজিল্যান্ডে আইন পড়ার জন্য কোনো স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। সরাসরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বা সুদমুক্ত ঋণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। নিউজিল্যান্ডে বৃত্তিগুলো সাধারণত গবেষণাভিত্তিক প্রোগ্রাম, যেমন পিএইচডির জন্য দেওয়া হয়। মাসুদ আলম নিউজিল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে দুটি কোর্সেই ১০০ শতাংশ সুদমুক্ত ঋণ পান। সেটা সম্ভব হয়েছে একাডেমিক ভালো ফলের জন্য।
যাঁরা ব্যারিস্টারি নিয়ে ভাবছেন
শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, নিজেকে গড়ে তুলুন একজন মানবিক আইনজীবী হিসেবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সে ভালো ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডে পেশাগত মান অনেক উঁচু, তাই সততা ও নিষ্ঠা ছাড়া টিকে থাকা কঠিন। নিজেকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করতে হলে অধ্যবসায়, সময়ের সঠিক ব্যবহার ও লক্ষ্য নির্ধারণ অপরিহার্য।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
মাসুদ আলম বলেন, ‘আপনি এখন কোনো গ্রামের দরিদ্র ঘরে বসে পড়াশোনা করছেন, সেটা বিষয় নয়। আপনি কী জানছেন, সেটা বিষয়। আপনি ওই গ্রামে বসেই পুরো বিশ্বের খোঁজ নিতে পারবেন। এখন সবকিছু অনলাইনে হয়। বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে ঘরে বসেই খোঁজখবর নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আবেদনপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপ, কোর্স কাঠামো—সবই পাওয়া যায়। যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি নিজেও ১৫ মিনিটের ফ্রি পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমার একটি বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে, যারা একাডেমিক পরামর্শ দিয়ে থাকে।’
প্রিয় এইচএসসি শিক্ষার্থীরা, তোমাদের অর্থনীতি পরীক্ষা অতীব নিকটে। তাই পঠিত বিষয়গুলো বারবার চর্চা করো। অর্থনীতি বিষয়ে ভালো ফলাফলের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করছি...
৫ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা নিও। ইংরেজি প্রথম পত্রে ভালো করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যাবে না। তোমরা নিশ্চয়ই জানো, গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার পেছনে ইংরেজির প্রভাব ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়—
৫ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষায় সমাজবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—বিশেষ করে যাঁরা মানবিক শাখায় পড়াশোনা করেন তাঁদের জন্য। ভালো প্রস্তুতির জন্য কেবল মুখস্থ নয়, বোঝা ও ব্যাখ্যা করার দক্ষতাও জরুরি। নিচে বিষয়ভিত্তিক কিছু টিপস দেওয়া হলো, যা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাজে...
৬ ঘণ্টা আগেকেমব্রিজ বুকলেটের লিসনিংয়ের যেকোনো একটি উত্তরপত্র (আনসার কি) দেখুন তো। উত্তরগুলো অপশন (এ, বি, সি, ডি) কিংবা নম্বর কিংবা কোনো শব্দ। এবার শব্দগুলোর দিকে একটু খেয়াল করুন তো, দেখবেন প্রায় সবই বিশেষ্য (দু-একটা ছাড়া)। সুতরাং ধরে নিতে পারেন, লিসনিংয়ের শব্দগত উত্তরগুলো বিশেষ্য হবে।
৬ ঘণ্টা আগে