শিক্ষা ডেস্ক

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এর ফলে গবেষণার ফলাফল হয় স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। তাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সিস্টেমেটিক রিভিউ অপরিহার্য। এ বিষয়ে লিখেছেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি ফেলো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাবির।
সিস্টেমেটিক রিভিউ কী?
সাধারণ রিভিউ অনেক সময় লেখকের মতামতনির্ভর হয়, যেখানে পক্ষপাতের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সিস্টেমেটিক রিভিউ হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। একটি স্পষ্ট গবেষণাপ্রশ্নকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক প্রবন্ধ খুঁজে বের করা হয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা হয় এবং স্বচ্ছভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ নথিভুক্ত থাকে, যাতে অন্য গবেষকেরাও চাইলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল যাচাই করতে পারেন।
কেন সিস্টেমেটিক রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ?
এটির মূল শক্তি হলো স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। বিচ্ছিন্ন গবেষণা যেখানে খণ্ডিত তথ্য দেয়, সেখানে সিস্টেমেটিক রিভিউ ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফল একত্র করে একটি সমন্বিত চিত্র হাজির করে। এটি নতুন জ্ঞান তৈরির পাশাপাশি গবেষণার ফাঁক চিহ্নিত করে এবং নীতিনির্ধারণেও শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়।
গবেষণা প্রশ্ন নির্ধারণ
পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দিয়ে। ডোমেইনভেদে PICO, SPIDER, PICo বা COSMIN কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: ‘ডিজিটাল শিক্ষা কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করে?’
প্রটোকল তৈরি
এরপর গবেষণার পরিকল্পনা বা প্রটোকল তৈরি করতে হয়। কোন ডেটাবেইসে অনুসন্ধান হবে, অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের মানদণ্ড কী, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ধাপগুলো কী—সব স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত থাকে। PROSPERO, OSF, INPLASY বা Cochrane Library-তে প্রটোকল নিবন্ধন করলে গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
ডেটাবেইস সার্চ
প্রবন্ধ খোঁজার জন্য Scopus, Web of Science, PubMed, ERIC, IEEE Xplore, JSTOR ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ডেটাবেইস ব্যবহৃত হয়। কার্যকর সার্চের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, Boolean অপারেটর (AND, OR, NOT) ও সার্চ স্ট্র্যাটেজি অপরিহার্য।
প্রবন্ধ বাছাই
প্রথমে রেফারেন্স ম্যানেজারে সব প্রবন্ধ রাখা হয় ও ডুপ্লিকেট বাদ দেওয়া হয়। এরপর শিরোনাম ও সারসংক্ষেপ দেখে অপ্রাসঙ্গিকগুলো বাদ পড়ে। অবশেষে পূর্ণ প্রবন্ধ পড়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। এই ধাপ সাধারণত PRISMA Flow Diagram দিয়ে উপস্থাপিত হয়।
তথ্য সংগ্রহ
নির্বাচিত প্রবন্ধ থেকে গবেষণার বছর, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত পদ্ধতি, ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য টেবিলে সাজালে তুলনা সহজ হয়।
মান যাচাই
সব গবেষণা সমান মানের নয়। তাই Cochrane Risk of Bias Tool, JBI Checklist ইত্যাদি ব্যবহার করে গবেষণার মান যাচাই করা হয়। দুর্বল গবেষণা বাদ দিয়ে শক্তিশালী ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য বিশ্লেষণ
এখানে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়—
■ Narrative synthesis: কথার মাধ্যমে ফলাফল ব্যাখ্যা।
■ Meta-analysis: পরিসংখ্যান দিয়ে ফলাফল একত্রিত করা। বিশেষ করে মেটা-অ্যানালাইসিস গবেষণাকে করে আরও নির্ভরযোগ্য।
আলোচনা ও উপসংহার
এই অংশে মূল অনুসন্ধান, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণার দিক তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে Plain Language Summary যোগ করা হয়, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রিপোর্টিং গাইডলাইন
সিস্টেমেটিক রিভিউ প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নির্দেশনা হলো PRISMA 2020 Statement। এর ২৭টি চেকলিস্ট ও ফ্লো ডায়াগ্রাম গবেষণার প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে।
সহায়ক টুল
রিভিউ সহজ করতে নানা টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন—RevMan বিশ্লেষণে, Methods Wizard পরিকল্পনায়, Zotero ও EndNote রেফারেন্স ম্যানেজমেন্টে, Rayyan প্রবন্ধ স্ক্রিনিংয়ে এবং Covidence পুরো প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে।
সিস্টেমেটিক রিভিউ গবেষণাকে করে আরও স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক। এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ পাঠকের কাছেও হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য উৎস।
তথ্যসূত্র: গুগল স্কলার, রিসার্চ গেট

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এর ফলে গবেষণার ফলাফল হয় স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। তাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সিস্টেমেটিক রিভিউ অপরিহার্য। এ বিষয়ে লিখেছেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি ফেলো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাবির।
সিস্টেমেটিক রিভিউ কী?
সাধারণ রিভিউ অনেক সময় লেখকের মতামতনির্ভর হয়, যেখানে পক্ষপাতের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সিস্টেমেটিক রিভিউ হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। একটি স্পষ্ট গবেষণাপ্রশ্নকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক প্রবন্ধ খুঁজে বের করা হয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা হয় এবং স্বচ্ছভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ নথিভুক্ত থাকে, যাতে অন্য গবেষকেরাও চাইলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল যাচাই করতে পারেন।
কেন সিস্টেমেটিক রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ?
এটির মূল শক্তি হলো স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। বিচ্ছিন্ন গবেষণা যেখানে খণ্ডিত তথ্য দেয়, সেখানে সিস্টেমেটিক রিভিউ ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফল একত্র করে একটি সমন্বিত চিত্র হাজির করে। এটি নতুন জ্ঞান তৈরির পাশাপাশি গবেষণার ফাঁক চিহ্নিত করে এবং নীতিনির্ধারণেও শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়।
গবেষণা প্রশ্ন নির্ধারণ
পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দিয়ে। ডোমেইনভেদে PICO, SPIDER, PICo বা COSMIN কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: ‘ডিজিটাল শিক্ষা কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করে?’
প্রটোকল তৈরি
এরপর গবেষণার পরিকল্পনা বা প্রটোকল তৈরি করতে হয়। কোন ডেটাবেইসে অনুসন্ধান হবে, অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের মানদণ্ড কী, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ধাপগুলো কী—সব স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত থাকে। PROSPERO, OSF, INPLASY বা Cochrane Library-তে প্রটোকল নিবন্ধন করলে গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
ডেটাবেইস সার্চ
প্রবন্ধ খোঁজার জন্য Scopus, Web of Science, PubMed, ERIC, IEEE Xplore, JSTOR ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ডেটাবেইস ব্যবহৃত হয়। কার্যকর সার্চের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, Boolean অপারেটর (AND, OR, NOT) ও সার্চ স্ট্র্যাটেজি অপরিহার্য।
প্রবন্ধ বাছাই
প্রথমে রেফারেন্স ম্যানেজারে সব প্রবন্ধ রাখা হয় ও ডুপ্লিকেট বাদ দেওয়া হয়। এরপর শিরোনাম ও সারসংক্ষেপ দেখে অপ্রাসঙ্গিকগুলো বাদ পড়ে। অবশেষে পূর্ণ প্রবন্ধ পড়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। এই ধাপ সাধারণত PRISMA Flow Diagram দিয়ে উপস্থাপিত হয়।
তথ্য সংগ্রহ
নির্বাচিত প্রবন্ধ থেকে গবেষণার বছর, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত পদ্ধতি, ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য টেবিলে সাজালে তুলনা সহজ হয়।
মান যাচাই
সব গবেষণা সমান মানের নয়। তাই Cochrane Risk of Bias Tool, JBI Checklist ইত্যাদি ব্যবহার করে গবেষণার মান যাচাই করা হয়। দুর্বল গবেষণা বাদ দিয়ে শক্তিশালী ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য বিশ্লেষণ
এখানে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়—
■ Narrative synthesis: কথার মাধ্যমে ফলাফল ব্যাখ্যা।
■ Meta-analysis: পরিসংখ্যান দিয়ে ফলাফল একত্রিত করা। বিশেষ করে মেটা-অ্যানালাইসিস গবেষণাকে করে আরও নির্ভরযোগ্য।
আলোচনা ও উপসংহার
এই অংশে মূল অনুসন্ধান, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণার দিক তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে Plain Language Summary যোগ করা হয়, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রিপোর্টিং গাইডলাইন
সিস্টেমেটিক রিভিউ প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নির্দেশনা হলো PRISMA 2020 Statement। এর ২৭টি চেকলিস্ট ও ফ্লো ডায়াগ্রাম গবেষণার প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে।
সহায়ক টুল
রিভিউ সহজ করতে নানা টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন—RevMan বিশ্লেষণে, Methods Wizard পরিকল্পনায়, Zotero ও EndNote রেফারেন্স ম্যানেজমেন্টে, Rayyan প্রবন্ধ স্ক্রিনিংয়ে এবং Covidence পুরো প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে।
সিস্টেমেটিক রিভিউ গবেষণাকে করে আরও স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক। এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ পাঠকের কাছেও হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য উৎস।
তথ্যসূত্র: গুগল স্কলার, রিসার্চ গেট
শিক্ষা ডেস্ক

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এর ফলে গবেষণার ফলাফল হয় স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। তাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সিস্টেমেটিক রিভিউ অপরিহার্য। এ বিষয়ে লিখেছেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি ফেলো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাবির।
সিস্টেমেটিক রিভিউ কী?
সাধারণ রিভিউ অনেক সময় লেখকের মতামতনির্ভর হয়, যেখানে পক্ষপাতের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সিস্টেমেটিক রিভিউ হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। একটি স্পষ্ট গবেষণাপ্রশ্নকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক প্রবন্ধ খুঁজে বের করা হয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা হয় এবং স্বচ্ছভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ নথিভুক্ত থাকে, যাতে অন্য গবেষকেরাও চাইলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল যাচাই করতে পারেন।
কেন সিস্টেমেটিক রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ?
এটির মূল শক্তি হলো স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। বিচ্ছিন্ন গবেষণা যেখানে খণ্ডিত তথ্য দেয়, সেখানে সিস্টেমেটিক রিভিউ ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফল একত্র করে একটি সমন্বিত চিত্র হাজির করে। এটি নতুন জ্ঞান তৈরির পাশাপাশি গবেষণার ফাঁক চিহ্নিত করে এবং নীতিনির্ধারণেও শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়।
গবেষণা প্রশ্ন নির্ধারণ
পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দিয়ে। ডোমেইনভেদে PICO, SPIDER, PICo বা COSMIN কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: ‘ডিজিটাল শিক্ষা কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করে?’
প্রটোকল তৈরি
এরপর গবেষণার পরিকল্পনা বা প্রটোকল তৈরি করতে হয়। কোন ডেটাবেইসে অনুসন্ধান হবে, অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের মানদণ্ড কী, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ধাপগুলো কী—সব স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত থাকে। PROSPERO, OSF, INPLASY বা Cochrane Library-তে প্রটোকল নিবন্ধন করলে গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
ডেটাবেইস সার্চ
প্রবন্ধ খোঁজার জন্য Scopus, Web of Science, PubMed, ERIC, IEEE Xplore, JSTOR ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ডেটাবেইস ব্যবহৃত হয়। কার্যকর সার্চের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, Boolean অপারেটর (AND, OR, NOT) ও সার্চ স্ট্র্যাটেজি অপরিহার্য।
প্রবন্ধ বাছাই
প্রথমে রেফারেন্স ম্যানেজারে সব প্রবন্ধ রাখা হয় ও ডুপ্লিকেট বাদ দেওয়া হয়। এরপর শিরোনাম ও সারসংক্ষেপ দেখে অপ্রাসঙ্গিকগুলো বাদ পড়ে। অবশেষে পূর্ণ প্রবন্ধ পড়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। এই ধাপ সাধারণত PRISMA Flow Diagram দিয়ে উপস্থাপিত হয়।
তথ্য সংগ্রহ
নির্বাচিত প্রবন্ধ থেকে গবেষণার বছর, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত পদ্ধতি, ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য টেবিলে সাজালে তুলনা সহজ হয়।
মান যাচাই
সব গবেষণা সমান মানের নয়। তাই Cochrane Risk of Bias Tool, JBI Checklist ইত্যাদি ব্যবহার করে গবেষণার মান যাচাই করা হয়। দুর্বল গবেষণা বাদ দিয়ে শক্তিশালী ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য বিশ্লেষণ
এখানে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়—
■ Narrative synthesis: কথার মাধ্যমে ফলাফল ব্যাখ্যা।
■ Meta-analysis: পরিসংখ্যান দিয়ে ফলাফল একত্রিত করা। বিশেষ করে মেটা-অ্যানালাইসিস গবেষণাকে করে আরও নির্ভরযোগ্য।
আলোচনা ও উপসংহার
এই অংশে মূল অনুসন্ধান, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণার দিক তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে Plain Language Summary যোগ করা হয়, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রিপোর্টিং গাইডলাইন
সিস্টেমেটিক রিভিউ প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নির্দেশনা হলো PRISMA 2020 Statement। এর ২৭টি চেকলিস্ট ও ফ্লো ডায়াগ্রাম গবেষণার প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে।
সহায়ক টুল
রিভিউ সহজ করতে নানা টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন—RevMan বিশ্লেষণে, Methods Wizard পরিকল্পনায়, Zotero ও EndNote রেফারেন্স ম্যানেজমেন্টে, Rayyan প্রবন্ধ স্ক্রিনিংয়ে এবং Covidence পুরো প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে।
সিস্টেমেটিক রিভিউ গবেষণাকে করে আরও স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক। এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ পাঠকের কাছেও হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য উৎস।
তথ্যসূত্র: গুগল স্কলার, রিসার্চ গেট

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এর ফলে গবেষণার ফলাফল হয় স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। তাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সিস্টেমেটিক রিভিউ অপরিহার্য। এ বিষয়ে লিখেছেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি ফেলো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাবির।
সিস্টেমেটিক রিভিউ কী?
সাধারণ রিভিউ অনেক সময় লেখকের মতামতনির্ভর হয়, যেখানে পক্ষপাতের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সিস্টেমেটিক রিভিউ হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। একটি স্পষ্ট গবেষণাপ্রশ্নকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক প্রবন্ধ খুঁজে বের করা হয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা হয় এবং স্বচ্ছভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ নথিভুক্ত থাকে, যাতে অন্য গবেষকেরাও চাইলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল যাচাই করতে পারেন।
কেন সিস্টেমেটিক রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ?
এটির মূল শক্তি হলো স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। বিচ্ছিন্ন গবেষণা যেখানে খণ্ডিত তথ্য দেয়, সেখানে সিস্টেমেটিক রিভিউ ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফল একত্র করে একটি সমন্বিত চিত্র হাজির করে। এটি নতুন জ্ঞান তৈরির পাশাপাশি গবেষণার ফাঁক চিহ্নিত করে এবং নীতিনির্ধারণেও শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়।
গবেষণা প্রশ্ন নির্ধারণ
পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দিয়ে। ডোমেইনভেদে PICO, SPIDER, PICo বা COSMIN কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: ‘ডিজিটাল শিক্ষা কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করে?’
প্রটোকল তৈরি
এরপর গবেষণার পরিকল্পনা বা প্রটোকল তৈরি করতে হয়। কোন ডেটাবেইসে অনুসন্ধান হবে, অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের মানদণ্ড কী, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ধাপগুলো কী—সব স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত থাকে। PROSPERO, OSF, INPLASY বা Cochrane Library-তে প্রটোকল নিবন্ধন করলে গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
ডেটাবেইস সার্চ
প্রবন্ধ খোঁজার জন্য Scopus, Web of Science, PubMed, ERIC, IEEE Xplore, JSTOR ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ডেটাবেইস ব্যবহৃত হয়। কার্যকর সার্চের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, Boolean অপারেটর (AND, OR, NOT) ও সার্চ স্ট্র্যাটেজি অপরিহার্য।
প্রবন্ধ বাছাই
প্রথমে রেফারেন্স ম্যানেজারে সব প্রবন্ধ রাখা হয় ও ডুপ্লিকেট বাদ দেওয়া হয়। এরপর শিরোনাম ও সারসংক্ষেপ দেখে অপ্রাসঙ্গিকগুলো বাদ পড়ে। অবশেষে পূর্ণ প্রবন্ধ পড়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। এই ধাপ সাধারণত PRISMA Flow Diagram দিয়ে উপস্থাপিত হয়।
তথ্য সংগ্রহ
নির্বাচিত প্রবন্ধ থেকে গবেষণার বছর, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত পদ্ধতি, ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য টেবিলে সাজালে তুলনা সহজ হয়।
মান যাচাই
সব গবেষণা সমান মানের নয়। তাই Cochrane Risk of Bias Tool, JBI Checklist ইত্যাদি ব্যবহার করে গবেষণার মান যাচাই করা হয়। দুর্বল গবেষণা বাদ দিয়ে শক্তিশালী ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য বিশ্লেষণ
এখানে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়—
■ Narrative synthesis: কথার মাধ্যমে ফলাফল ব্যাখ্যা।
■ Meta-analysis: পরিসংখ্যান দিয়ে ফলাফল একত্রিত করা। বিশেষ করে মেটা-অ্যানালাইসিস গবেষণাকে করে আরও নির্ভরযোগ্য।
আলোচনা ও উপসংহার
এই অংশে মূল অনুসন্ধান, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণার দিক তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে Plain Language Summary যোগ করা হয়, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
রিপোর্টিং গাইডলাইন
সিস্টেমেটিক রিভিউ প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নির্দেশনা হলো PRISMA 2020 Statement। এর ২৭টি চেকলিস্ট ও ফ্লো ডায়াগ্রাম গবেষণার প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে।
সহায়ক টুল
রিভিউ সহজ করতে নানা টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন—RevMan বিশ্লেষণে, Methods Wizard পরিকল্পনায়, Zotero ও EndNote রেফারেন্স ম্যানেজমেন্টে, Rayyan প্রবন্ধ স্ক্রিনিংয়ে এবং Covidence পুরো প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে।
সিস্টেমেটিক রিভিউ গবেষণাকে করে আরও স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক। এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ পাঠকের কাছেও হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য উৎস।
তথ্যসূত্র: গুগল স্কলার, রিসার্চ গেট

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ...
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ...
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ...
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৭ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ...
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে