এইচএসসি বিশেষ পরামর্শ
মো. সুজাউদ দৌলা
২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো ভয়ভীতি বা সংশয় থাকার কারণ নেই। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করলে দেখবে, বাংলা পরীক্ষাই তোমার সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ; তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু বলতে চাই।
বাংলা প্রথমপত্রে ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) ৪টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) ২টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) ২টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদের ‘ক’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২টি, ‘খ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২টি, ‘গ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ১টি এবং ‘ঘ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ১টিসহ মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। মান ৭০। সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২১ বা ২২ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, উত্তর করতে হবে ৩০টি; এখানে সময় ৩০ মিনিট। বাংলা প্রথমপত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্ন চারটি অংশে (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) বিভক্ত থাকে। তাই প্রত্যেক অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন: তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সেক্ষেত্রে ৩নং প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর—এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সেক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে, সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন: ‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছে করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পার। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। যদিও এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই-তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে, তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব/Theme-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে, সেটিই জ্ঞান।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়; তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনি প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো ভয়ভীতি বা সংশয় থাকার কারণ নেই। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করলে দেখবে, বাংলা পরীক্ষাই তোমার সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ; তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু বলতে চাই।
বাংলা প্রথমপত্রে ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) ৪টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) ২টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) ২টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদের ‘ক’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২টি, ‘খ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২টি, ‘গ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ১টি এবং ‘ঘ’ বিভাগ থেকে কমপক্ষে ১টিসহ মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। মান ৭০। সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২১ বা ২২ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, উত্তর করতে হবে ৩০টি; এখানে সময় ৩০ মিনিট। বাংলা প্রথমপত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্ন চারটি অংশে (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) বিভক্ত থাকে। তাই প্রত্যেক অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন: তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সেক্ষেত্রে ৩নং প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩নং প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর—এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সেক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে, সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন: ‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছে করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পার। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। যদিও এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই-তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে, তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব/Theme-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে, সেটিই জ্ঞান।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়; তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনি প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
১২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
২০ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১ দিন আগে