সুব্রত
সিজিপিএ স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—এমন ধারণা অনেকেরই। তবে অধ্যবসায়, একাগ্রতা আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সীমাবদ্ধতাও জয় করা সম্ভব। তারই উদাহরণ ববির সুব্রত। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি, যেখানে তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৮। একাডেমিক ফলাফল খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও সুব্রত কখনোই হাল ছাড়েননি। নিয়মিত অধ্যয়ন, আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বপ্নপথে।
টানা দুইবার ব্যর্থ হয়ে ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় তিনি সহকারী জজ হিসেবে নির্বাচিত হন। সুব্রতর এই অর্জন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি অনুপ্রেরণা হতে পারে তাঁদের জন্য, যারা সিজিপিএ নিয়ে হতাশ। কীভাবে তিনি এই পথ পেরিয়ে এসেছেন? বিজেএস প্রস্তুতির কৌশলই বা কী? নতুনদের জন্য তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ জানাচ্ছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
সুব্রতর প্রস্তুতি শুরুর গল্প
এইচএসসিতে সায়েন্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন সুব্রত। তাই আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর নিজের বিভাগ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ ছিল তার। সাধারণত ব্যাকবেঞ্চারদের মতোই ক্লাসে মনোযোগ ছিল কম, যার প্রভাব পড়েছিল ফলাফলেও। করোনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে আরও কিছুটা কাজে লাগানোর। একদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসান শাকিল স্যারের অনলাইন ব্যাচের কথা শুনে সেই ব্যাচে ভর্তি হন। শাকিল স্যার তখন ১৩তম জুডিশিয়ারিতে রিকমেন্ডেড ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আইনের প্রতি সুব্রতর আগ্রহ জন্ম নেয়।
প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা প্রস্তুতি
প্রথমে প্রিলি পরীক্ষার জন্য তিনি জানতেন যে সঠিক বই নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইন অংশে বেয়ার এক্টের পাশাপাশি তিনি বাজারের প্রচলিত কয়েকটি প্রিলি কেন্দ্রিক বই থেকে পড়াশোনা শুরু করলেন। পাশাপাশি বিগত জুডিশিয়ারি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করেও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
লিখিত পরীক্ষার জন্য একাডেমিক লাইফে যেসব বই পড়েছিলেন, সেগুলোকেই পুনরায় হাতের কাছে রাখলেন। তিনি জানতেন, তাতেই তার ভেতরের জ্ঞান শক্তিশালী হবে। এছাড়া, বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান করা, তার চিন্তা ভাবনার গতি আরও তীক্ষ্ণ করে তুলল।
ভাইভা প্রস্তুতির জন্য সুব্রত বেছে নিলেন কিছু ভাইভা কেন্দ্রিক বই। কিন্তু তার জন্য সবচেয়ে বড় সহায়ক ছিল রিয়েল ভাইভা অভিজ্ঞতা। কিছু মানুষের অভিজ্ঞতার গল্প শুনে তিনি বুঝলেন, ভাইভায় কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।
সাফল্যের রহস্য
সাফল্যের মূল রহস্য ছিল কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনা। তিনি বলেন, বিগত তিন বছর ধরে আমি নিয়মমাফিক পড়াশোনা করেছি। আমার জন্য লাইব্রেরির কোনার সিট ছিল একান্তভাবে বরাদ্দ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরিতে সময় কাটিয়েছি। শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়া আর হালকা ঘোরাঘুরি ছাড়া। আমি নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছি, যা আমাকে সময় ব্যবস্থাপনা শেখায় এবং পড়াশোনায় ফোকাস রাখতে সাহায্য করেছে।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নতুনদের পরামর্শ দিয়ে সুব্রত জানান, প্রথমেই ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিন। একসাথে সব কিছু পড়তে গিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির প্রয়োজন নেই। প্রতিটি বিষয়কে আলাদা করে বোঝার চেষ্টা করুন, যাতে একে একে সব কিছু শিখতে পারেন। নিয়মিত লেখা অনুশীলন খুবই জরুরি।
সিজিপিএ স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—এমন ধারণা অনেকেরই। তবে অধ্যবসায়, একাগ্রতা আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সীমাবদ্ধতাও জয় করা সম্ভব। তারই উদাহরণ ববির সুব্রত। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি, যেখানে তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৮। একাডেমিক ফলাফল খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও সুব্রত কখনোই হাল ছাড়েননি। নিয়মিত অধ্যয়ন, আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বপ্নপথে।
টানা দুইবার ব্যর্থ হয়ে ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় তিনি সহকারী জজ হিসেবে নির্বাচিত হন। সুব্রতর এই অর্জন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি অনুপ্রেরণা হতে পারে তাঁদের জন্য, যারা সিজিপিএ নিয়ে হতাশ। কীভাবে তিনি এই পথ পেরিয়ে এসেছেন? বিজেএস প্রস্তুতির কৌশলই বা কী? নতুনদের জন্য তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ জানাচ্ছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
সুব্রতর প্রস্তুতি শুরুর গল্প
এইচএসসিতে সায়েন্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন সুব্রত। তাই আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর নিজের বিভাগ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ ছিল তার। সাধারণত ব্যাকবেঞ্চারদের মতোই ক্লাসে মনোযোগ ছিল কম, যার প্রভাব পড়েছিল ফলাফলেও। করোনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে আরও কিছুটা কাজে লাগানোর। একদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসান শাকিল স্যারের অনলাইন ব্যাচের কথা শুনে সেই ব্যাচে ভর্তি হন। শাকিল স্যার তখন ১৩তম জুডিশিয়ারিতে রিকমেন্ডেড ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আইনের প্রতি সুব্রতর আগ্রহ জন্ম নেয়।
প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা প্রস্তুতি
প্রথমে প্রিলি পরীক্ষার জন্য তিনি জানতেন যে সঠিক বই নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইন অংশে বেয়ার এক্টের পাশাপাশি তিনি বাজারের প্রচলিত কয়েকটি প্রিলি কেন্দ্রিক বই থেকে পড়াশোনা শুরু করলেন। পাশাপাশি বিগত জুডিশিয়ারি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করেও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
লিখিত পরীক্ষার জন্য একাডেমিক লাইফে যেসব বই পড়েছিলেন, সেগুলোকেই পুনরায় হাতের কাছে রাখলেন। তিনি জানতেন, তাতেই তার ভেতরের জ্ঞান শক্তিশালী হবে। এছাড়া, বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান করা, তার চিন্তা ভাবনার গতি আরও তীক্ষ্ণ করে তুলল।
ভাইভা প্রস্তুতির জন্য সুব্রত বেছে নিলেন কিছু ভাইভা কেন্দ্রিক বই। কিন্তু তার জন্য সবচেয়ে বড় সহায়ক ছিল রিয়েল ভাইভা অভিজ্ঞতা। কিছু মানুষের অভিজ্ঞতার গল্প শুনে তিনি বুঝলেন, ভাইভায় কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।
সাফল্যের রহস্য
সাফল্যের মূল রহস্য ছিল কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনা। তিনি বলেন, বিগত তিন বছর ধরে আমি নিয়মমাফিক পড়াশোনা করেছি। আমার জন্য লাইব্রেরির কোনার সিট ছিল একান্তভাবে বরাদ্দ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরিতে সময় কাটিয়েছি। শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়া আর হালকা ঘোরাঘুরি ছাড়া। আমি নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছি, যা আমাকে সময় ব্যবস্থাপনা শেখায় এবং পড়াশোনায় ফোকাস রাখতে সাহায্য করেছে।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নতুনদের পরামর্শ দিয়ে সুব্রত জানান, প্রথমেই ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিন। একসাথে সব কিছু পড়তে গিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির প্রয়োজন নেই। প্রতিটি বিষয়কে আলাদা করে বোঝার চেষ্টা করুন, যাতে একে একে সব কিছু শিখতে পারেন। নিয়মিত লেখা অনুশীলন খুবই জরুরি।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
৯ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
২১ ঘণ্টা আগে