রাহুল শর্মা, ঢাকা
রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’
রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৪ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে