আবুল কালাম আল মাহমুদ
সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্র হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। আলোচ্য বিষয়, তত্ত্ব, পদ্ধতি, সাধারণীকরণ এবং বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞান আজ সত্যিই অনেক পরিণত। কিন্তু শাস্ত্রটি এ অবস্থায় একদিনে আসেনি। সমাজতাত্ত্বিকদের দীর্ঘদিনের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় বিকশিত হয়ে সমাজবিজ্ঞান আজকের এ অবস্থায় উন্নীত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান উদ্ভবের মূলে একটি দীর্ঘ পটভূমি এবং অসংখ্য মনীষীর অবদান রয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিকাশেও রয়েছে বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিকের অবিস্মরণীয় অবদান। তাঁদের অবদানেই সামাজিক বিজ্ঞানের একটি জনপ্রিয় শাখা হিসেবে সমাজবিজ্ঞান আজ পরিণত, প্রতিষ্ঠিত। অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞানের জনক। কিন্তু ইবনে খালদুন, হারবার্ট স্পেনসার, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্স ওয়েবার, এমিল ডুর্খেইম সমাজবিজ্ঞানের একেকজন স্থপতি। বস্তুত তাঁরাই সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ। তাদের হাত ধরেই সমাজবিজ্ঞান আজকের এই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। আজকে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশে সমাজবিজ্ঞানীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অগাস্ট কোঁত: সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ। তিনি সমাজবিজ্ঞানে প্রথম Sociology শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় ও পরিধি নিয়ে গবেষণা করেন।
কার্ল মার্ক্স: কার্ল মার্ক্স সমাজ বিজ্ঞানী ছিলেন। সমাজবিজ্ঞান বিকাশে তাঁর শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সামাজিক স্তরকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন। যথা:
প্লেটো: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে প্লেটো আধুনিক সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেটি ছিল তাঁর আদর্শ সমাজকাঠামো।
অ্যারিস্টটল: অ্যারিস্টটল ছিলেন গ্রিক দার্শনিক ও প্লেটোর ছাত্র। তিনি তাঁর Polities ও Ethies গ্রন্থের বাস্তবভিত্তিক ও আদর্শ সমাজকাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর গ্রন্থে জীব ও জীবনের সম্পর্ক তুলে ধরেন। অ্যারিস্টটলের মতে, ‘মানুষ সামাজিক জীব। যে সমাজে বাস করে না, সে হয় দেবতা, না হয় পশু।’
হাম্বুরাবি: হাম্বুরাবির সনদ সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে সহায়তা করেন। এই সনদের খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় দুই হাজার বছর আগে ব্যবিলনীয়দের সমাজব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। পরবর্তী গবেষকেরা এই সনদের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা করেন।
টমাস হবস: টমাস হবস সমাজ নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণা ও সমাধানের সঠিক পন্থা আলোচনা করেন। আধুনিক সমাজব্যবস্থা ও অবকাঠামো নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।
ম্যাকিয়াভেলি: ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন সমাজবিজ্ঞানী। তিনি তার ‘The Prince’ গ্রন্থের সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও গঠনপ্রণালি তুলে ধরেছেন। তার এ গ্রন্থটি সমাজবিজ্ঞানের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।
ভিকো: ভিকো ছিলেন ইতালিয়ান লেখক ও সমাজ বিজ্ঞানী। সমাজবিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পাশ্চাত্যের সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি তাঁর ‘The New Science’ গ্রন্থে সমাজবিজ্ঞানের বিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
ইবনে খালদুন: সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম জনক হিসেবে খ্যাত ইবনে খালদুন। তিনি তাঁর ‘Science If Culture’ গ্রন্থে সমাজ- সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেন। সমাজবিজ্ঞানের উন্নতিতে খালদুনের আসাবিয়া, বাদওয়া ও হার্ডয়ার অবদান অনেক।
ডারউইন: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে ডারউইনের অবদান অপরিসীম। তিনি সমাজকে জীববিজ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করেন।
হার্বার্ট স্পেন্সার: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে স্পেন্সারের অবদান অপরিসীম। তিনি সামাজিক বিবর্তনের তত্ত্ব, অধিকার তত্ত্ব, হিয়াবাদী তত্ত্ব, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ইত্যাদি আবিষ্কার করেন।
এমিল ডুর্খেইম: ফরাসি দার্শনিক এমিল ডুর্খেইম ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশে তিনি সামাজিক সংহতি ধারণা আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রমবিভাজন ধারণা দেন।
ম্যাক্স ওয়েবার: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে ম্যাক্স ওয়েবারের অবদান অনেক। তিনি বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যাখ্যা, আমলাতন্ত্রের ধারণা, সামাজিক স্তরবিন্যাস করেন; যা সামাজিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতি ধারণাটি সমাজবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে, তিনি সমাজের এই চিরাচরিত সত্য তুলে ধরেছেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক,অমৃত লাল দে কলেজ, বরিশাল।
সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্র হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। আলোচ্য বিষয়, তত্ত্ব, পদ্ধতি, সাধারণীকরণ এবং বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞান আজ সত্যিই অনেক পরিণত। কিন্তু শাস্ত্রটি এ অবস্থায় একদিনে আসেনি। সমাজতাত্ত্বিকদের দীর্ঘদিনের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় বিকশিত হয়ে সমাজবিজ্ঞান আজকের এ অবস্থায় উন্নীত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান উদ্ভবের মূলে একটি দীর্ঘ পটভূমি এবং অসংখ্য মনীষীর অবদান রয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিকাশেও রয়েছে বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিকের অবিস্মরণীয় অবদান। তাঁদের অবদানেই সামাজিক বিজ্ঞানের একটি জনপ্রিয় শাখা হিসেবে সমাজবিজ্ঞান আজ পরিণত, প্রতিষ্ঠিত। অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞানের জনক। কিন্তু ইবনে খালদুন, হারবার্ট স্পেনসার, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্স ওয়েবার, এমিল ডুর্খেইম সমাজবিজ্ঞানের একেকজন স্থপতি। বস্তুত তাঁরাই সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ। তাদের হাত ধরেই সমাজবিজ্ঞান আজকের এই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। আজকে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশে সমাজবিজ্ঞানীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অগাস্ট কোঁত: সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ। তিনি সমাজবিজ্ঞানে প্রথম Sociology শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় ও পরিধি নিয়ে গবেষণা করেন।
কার্ল মার্ক্স: কার্ল মার্ক্স সমাজ বিজ্ঞানী ছিলেন। সমাজবিজ্ঞান বিকাশে তাঁর শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সামাজিক স্তরকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন। যথা:
প্লেটো: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে প্লেটো আধুনিক সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেটি ছিল তাঁর আদর্শ সমাজকাঠামো।
অ্যারিস্টটল: অ্যারিস্টটল ছিলেন গ্রিক দার্শনিক ও প্লেটোর ছাত্র। তিনি তাঁর Polities ও Ethies গ্রন্থের বাস্তবভিত্তিক ও আদর্শ সমাজকাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর গ্রন্থে জীব ও জীবনের সম্পর্ক তুলে ধরেন। অ্যারিস্টটলের মতে, ‘মানুষ সামাজিক জীব। যে সমাজে বাস করে না, সে হয় দেবতা, না হয় পশু।’
হাম্বুরাবি: হাম্বুরাবির সনদ সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে সহায়তা করেন। এই সনদের খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় দুই হাজার বছর আগে ব্যবিলনীয়দের সমাজব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। পরবর্তী গবেষকেরা এই সনদের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা করেন।
টমাস হবস: টমাস হবস সমাজ নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণা ও সমাধানের সঠিক পন্থা আলোচনা করেন। আধুনিক সমাজব্যবস্থা ও অবকাঠামো নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।
ম্যাকিয়াভেলি: ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন সমাজবিজ্ঞানী। তিনি তার ‘The Prince’ গ্রন্থের সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও গঠনপ্রণালি তুলে ধরেছেন। তার এ গ্রন্থটি সমাজবিজ্ঞানের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।
ভিকো: ভিকো ছিলেন ইতালিয়ান লেখক ও সমাজ বিজ্ঞানী। সমাজবিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পাশ্চাত্যের সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি তাঁর ‘The New Science’ গ্রন্থে সমাজবিজ্ঞানের বিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
ইবনে খালদুন: সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম জনক হিসেবে খ্যাত ইবনে খালদুন। তিনি তাঁর ‘Science If Culture’ গ্রন্থে সমাজ- সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেন। সমাজবিজ্ঞানের উন্নতিতে খালদুনের আসাবিয়া, বাদওয়া ও হার্ডয়ার অবদান অনেক।
ডারউইন: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে ডারউইনের অবদান অপরিসীম। তিনি সমাজকে জীববিজ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করেন।
হার্বার্ট স্পেন্সার: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে স্পেন্সারের অবদান অপরিসীম। তিনি সামাজিক বিবর্তনের তত্ত্ব, অধিকার তত্ত্ব, হিয়াবাদী তত্ত্ব, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ইত্যাদি আবিষ্কার করেন।
এমিল ডুর্খেইম: ফরাসি দার্শনিক এমিল ডুর্খেইম ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশে তিনি সামাজিক সংহতি ধারণা আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রমবিভাজন ধারণা দেন।
ম্যাক্স ওয়েবার: সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে ম্যাক্স ওয়েবারের অবদান অনেক। তিনি বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যাখ্যা, আমলাতন্ত্রের ধারণা, সামাজিক স্তরবিন্যাস করেন; যা সামাজিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতি ধারণাটি সমাজবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে, তিনি সমাজের এই চিরাচরিত সত্য তুলে ধরেছেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক,অমৃত লাল দে কলেজ, বরিশাল।
বিজ্ঞান মানেই একটু জটিল বিষয়। তাই বোঝাও কঠিন। প্রায়ই দেখা যায়, শিক্ষকেরা ক্লাসের শুরুতে সংজ্ঞা লিখে দেন, তারপর পড়ানো শুরু করেন। কিন্তু শুধু সংজ্ঞা শুনে তো আর পড়া মনে থাকে না! তাই আগেই যদি বিষয়টি হাতে-কলমে বোঝানো হয়। তবে শেখা হয় দীর্ঘস্থায়ী।
১ ঘণ্টা আগেআনোয়ার হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের ছেলে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তবে নামের আগে ‘ডক্টর’ শব্দটি বসাতে পিএইচডি করার স্বপ্ন দেখেন।
১ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাহিন সরকার। গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে পরিস্থিতি একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’-এর ব্যানারে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার। গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
১০ ঘণ্টা আগে