যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে আগের রাতটি সবারই কমবেশি কাটে ভয়ে, চিন্তা আর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। এই ভয় আর উৎকণ্ঠাই অনেক পরীক্ষার্থীর ঝরে পড়ার কারণ হয়। পরীক্ষার আগমুহূর্তে পড়াশোনার আর তেমন সুযোগ থাকে না। এটা শুধু কিছু সতর্কতা অবলম্বন আর মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণের সময়। তাই এই পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার হলের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো–
পরীক্ষার কেন্দ্র চেক করুন
প্রথম কাজ হবে পরীক্ষাকেন্দ্র অন্তত দুবার চেক করা। বরাবরের মতো এবারের কেন্দ্রও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। গতবার অনেককে দেখেছি ভুল কেন্দ্রে চলে যেতে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ রকম কিছু ঘটলে আপনি পরে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছালেও এর প্রভাব পরীক্ষায় অবশ্যই পড়বে।
প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিন
আপনার অ্যাডমিট কার্ড, কলম, পেনসিলসহ যাবতীয় জিনিসপত্র রাতের বেলায়ই গুছিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় তাড়াহুড়ায় অনেকেই এসব ঠিকমতো গোছাতে পারেন না।
প্রথম ধাপে শুধু সেগুলোই দাগাবেন, যেগুলো আপনি শতভাগ শিওর। দ্বিতীয় ধাপে যেগুলো মোটামুটি আইডিয়া আছে, সেগুলো দাগাবেন।
দরকার পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকেই পরীক্ষার আগের রাতটি না ঘুমিয়ে কাটায়। এটা একেবারেই ঠিক নয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখবেন আপনার খুব ভালোভাবে আয়ত্তে থাকা তথ্যও আপনি মনে করতে পারছেন না। তাই পরীক্ষার আগের রাতের ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
রিলাক্স থাকুন
টুকটাক পড়া রিভাইস করে নিন। যদি নিজস্ব নোট থাকে এই মুহূর্তে শুধু এটাতেই চোখ বুলিয়ে নিন। কিন্তু খুব বেশি চাপ নেবেন না। রিলাক্স থাকুন। কারণ, অতিরিক্ত চাপের ফলে আপনি যা পড়েছেন তা ভুলে যেতে পারেন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ
অনেকেই পরীক্ষার আগে উৎকণ্ঠায় খেতে পারেন না। অনেকে আবার ক্লান্তি কাটাতে অতিরিক্ত চা-কফি খেয়ে ফেলেন। এর কুপ্রভাব পড়ে রাতে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। পরীক্ষার দিন না খেয়ে হলে যাবেন না। আপনি মস্তিষ্ককে খাবার সরবরাহ না করলে সেও আপনাকে সার্ভ করবে না। তাই অবশ্যই ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করুন।
পরীক্ষার হলে করণীয়
সেট কোড, রোল পূরণ করে ফেলুন সবার আগে। প্রশ্নটা ভালো করে পড়ে নিন। প্রথম ধাপে শুধু সেগুলোই দাগাবেন, যেগুলো আপনি শতভাগ শিওর। দ্বিতীয় ধাপে যেগুলো মোটামুটি আইডিয়া আছে, সেগুলো দাগাবেন। এরপর যদি দেখেন আপনার নম্বর মোটামুটি সেইফ জোনে, তাহলে আর দাগানোর দরকার নেই।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
টাইম ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষার হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাগ্য খারাপ হলে কেন্দ্রে ঘড়ি থাকে না বা অনেক সময় নষ্ট থাকে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। দায়িত্বরত ব্যক্তিকে অনুরোধ করবেন সময়ের আপডেট দিতে। আপনি যদি পরিশ্রম করে থাকেন এবং কৌশলী হন, আপনার সফলতা অনেকটাই নিশ্চিত। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন। এটা আপনাকে রিলাক্স হতে সাহায্য করবে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকল।
ইসরাত জাহান জ্যোতি, ১৪তম বিজেএসে তৃতীয় স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন
যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে আগের রাতটি সবারই কমবেশি কাটে ভয়ে, চিন্তা আর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। এই ভয় আর উৎকণ্ঠাই অনেক পরীক্ষার্থীর ঝরে পড়ার কারণ হয়। পরীক্ষার আগমুহূর্তে পড়াশোনার আর তেমন সুযোগ থাকে না। এটা শুধু কিছু সতর্কতা অবলম্বন আর মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণের সময়। তাই এই পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার হলের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো–
পরীক্ষার কেন্দ্র চেক করুন
প্রথম কাজ হবে পরীক্ষাকেন্দ্র অন্তত দুবার চেক করা। বরাবরের মতো এবারের কেন্দ্রও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। গতবার অনেককে দেখেছি ভুল কেন্দ্রে চলে যেতে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ রকম কিছু ঘটলে আপনি পরে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছালেও এর প্রভাব পরীক্ষায় অবশ্যই পড়বে।
প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিন
আপনার অ্যাডমিট কার্ড, কলম, পেনসিলসহ যাবতীয় জিনিসপত্র রাতের বেলায়ই গুছিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় তাড়াহুড়ায় অনেকেই এসব ঠিকমতো গোছাতে পারেন না।
প্রথম ধাপে শুধু সেগুলোই দাগাবেন, যেগুলো আপনি শতভাগ শিওর। দ্বিতীয় ধাপে যেগুলো মোটামুটি আইডিয়া আছে, সেগুলো দাগাবেন।
দরকার পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকেই পরীক্ষার আগের রাতটি না ঘুমিয়ে কাটায়। এটা একেবারেই ঠিক নয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখবেন আপনার খুব ভালোভাবে আয়ত্তে থাকা তথ্যও আপনি মনে করতে পারছেন না। তাই পরীক্ষার আগের রাতের ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
রিলাক্স থাকুন
টুকটাক পড়া রিভাইস করে নিন। যদি নিজস্ব নোট থাকে এই মুহূর্তে শুধু এটাতেই চোখ বুলিয়ে নিন। কিন্তু খুব বেশি চাপ নেবেন না। রিলাক্স থাকুন। কারণ, অতিরিক্ত চাপের ফলে আপনি যা পড়েছেন তা ভুলে যেতে পারেন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ
অনেকেই পরীক্ষার আগে উৎকণ্ঠায় খেতে পারেন না। অনেকে আবার ক্লান্তি কাটাতে অতিরিক্ত চা-কফি খেয়ে ফেলেন। এর কুপ্রভাব পড়ে রাতে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। পরীক্ষার দিন না খেয়ে হলে যাবেন না। আপনি মস্তিষ্ককে খাবার সরবরাহ না করলে সেও আপনাকে সার্ভ করবে না। তাই অবশ্যই ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করুন।
পরীক্ষার হলে করণীয়
সেট কোড, রোল পূরণ করে ফেলুন সবার আগে। প্রশ্নটা ভালো করে পড়ে নিন। প্রথম ধাপে শুধু সেগুলোই দাগাবেন, যেগুলো আপনি শতভাগ শিওর। দ্বিতীয় ধাপে যেগুলো মোটামুটি আইডিয়া আছে, সেগুলো দাগাবেন। এরপর যদি দেখেন আপনার নম্বর মোটামুটি সেইফ জোনে, তাহলে আর দাগানোর দরকার নেই।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
টাইম ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষার হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাগ্য খারাপ হলে কেন্দ্রে ঘড়ি থাকে না বা অনেক সময় নষ্ট থাকে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। দায়িত্বরত ব্যক্তিকে অনুরোধ করবেন সময়ের আপডেট দিতে। আপনি যদি পরিশ্রম করে থাকেন এবং কৌশলী হন, আপনার সফলতা অনেকটাই নিশ্চিত। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন। এটা আপনাকে রিলাক্স হতে সাহায্য করবে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকল।
ইসরাত জাহান জ্যোতি, ১৪তম বিজেএসে তৃতীয় স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু পড়াশোনা নয়, এটি স্বপ্ন গড়ে তোলার, লক্ষ্য নির্ধারণের এবং ক্যারিয়ার তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য। তাঁদের মনে এমন পরিকল্পনা থাকতে পারে—আমি কী হব, আমি কী করব, আমি কী করতে চাই এবং...
১ দিন আগেমনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়েত্তি। বয়স সবে ৯ বছর। এ ছোট্ট বয়সেই রোবট বানিয়ে তাঁর অর্জনের ঝুলিতে পুরেছে গোল্ড মেডেল। শুধু কি তা-ই? সে লিখেছে গল্পের বই, শিখেছে প্রোগ্রামিং!
১ দিন আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৮ জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫। জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের...
১ দিন আগেশিক্ষাজীবন শুধু পরীক্ষার খাতা ভরাট করার জন্য নয়। এটি আসলে ভবিষ্যৎ-জীবনের প্রস্তুতির সময়। একজন শিক্ষার্থীর বড় কাজ শুধু বই মুখস্থ করা নয়; বরং এমন শেখার কৌশল আয়ত্ত করা, যা দ্রুত, গভীর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে।
১ দিন আগে