অনুলিখন: মুসাররাত আবির
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী মুবিন ইবনে মকবুল। তাঁর সর্বমোট নম্বর ছিল ২৯২.৫। এটি ডেন্টালে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ নম্বর। তিনি ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পাশাপাশি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১১০তম স্থান অধিকার করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ঘ-ইউনিটে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন–
আমার পরিবারে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। বলা যায়, একজন চিকিৎসক হওয়ার জন্য তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন। তখন থেকেই আমি চিকিৎসক হতে চাইতাম। তবে এটার পাশাপাশি আরেকটা ইচ্ছা ছিল–তা হলো, বিজ্ঞানী হওয়া। অষ্টম শেণি থেকেই আমার ইচ্ছে একজন বিজ্ঞানী হওয়ার। এখনো আমার ইচ্ছা, চিকিৎসকের পাশাপাশি গবেষক বা বিজ্ঞানী হওয়া। আমাদের মেডিকেল সেক্টরে ডাক্তাররা গবেষণাসংক্রান্ত কাজ কম করেন। তাই আমার ইচ্ছা, একজন ভালো ডাক্তারের পাশাপাশি ভালো গবেষক বা ভালো বিজ্ঞানী হওয়া।
ডাক্তারি খুবই মানবিক একটা পেশা। মেডিকেলের প্রথম দিনই রোগীর স্বার্থরক্ষায় সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে পেশাচর্চার শপথ নিই আমরা নবীন চিকিৎসকেরা। তখনই আমাদের মধ্যে চিকিৎসক সত্তা জেগে ওঠে। কেউ যদি নিজের কর্মজীবনে প্রবেশ করে রোগীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে তাঁদের সেবা দিতে পারেন, তবে তিনি একজন ভালো মানুষ ও ভালো ডাক্তার হতে পারবেন।
আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি মূলত ইন্টারমিডিয়েটের শুরু থেকেই ছিল। তবে মূল লক্ষ্য ছিল এইচএসসি। আমি এইচএসসির পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মেডিকেলের প্রশ্নগুলো দেখতাম। অবসর সময়ে সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি পড়াশোনা করতাম। এইচএসসির শেষেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়া শুরু করেছি। রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করেছি। আর মূল বইটার ওপর ভালো দখল এনেছিলাম। সিনিয়রদের জিজ্ঞেস করতাম কীভাবে পড়লে বেশি মনে থাকে।
পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার অনুভূতি তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যখন দেখলাম ১ম হয়েছি, বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার জীবনে যত আনন্দের ঘটনা আছে, এটা তার মধ্যে একটা। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে বলছি, সৃষ্টিকর্তার রহমত ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব হতো না আমার এই পর্যায়ে আসা। তারপর আমার বাবা-মা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং কোচিংয়ের ভাইয়া-আপুদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি।
আমার আগামী দিনের স্বপ্ন একজন ভালো মানুষ এবং একজন ভালো চিকিৎসক হওয়া। বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে যেখানেই থাকি না কেন, দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখতে চাই।
আমার মতে, অধ্যবসায় ছাড়া জীবনে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। অনেক বড় একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
জীবনে বারবার হোঁচট খেয়েও পথচলা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলাম। তোমাদের পারিবারিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সমস্যা থাকলেও সেগুলো যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। তোমরা জীবনে যে স্বপ্ন দেখছ, তার জন্য অধ্যবসায় চালিয়ে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
ডেন্টাল পরীক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশ হলো, নিয়মিত পড়াশোনা করার ধৈর্য ধরে রাখতে হবে। মূল বইটা ভালো করে পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি অবহেলা করা যাবে না। নিয়মিত এই দুটো বিষয় পড়ার পাশাপাশি বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান ও অনুশীলন করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য অনুশীলনের কোনো
বিকল্প নেই।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী মুবিন ইবনে মকবুল। তাঁর সর্বমোট নম্বর ছিল ২৯২.৫। এটি ডেন্টালে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ নম্বর। তিনি ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পাশাপাশি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১১০তম স্থান অধিকার করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ঘ-ইউনিটে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন–
আমার পরিবারে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। বলা যায়, একজন চিকিৎসক হওয়ার জন্য তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন। তখন থেকেই আমি চিকিৎসক হতে চাইতাম। তবে এটার পাশাপাশি আরেকটা ইচ্ছা ছিল–তা হলো, বিজ্ঞানী হওয়া। অষ্টম শেণি থেকেই আমার ইচ্ছে একজন বিজ্ঞানী হওয়ার। এখনো আমার ইচ্ছা, চিকিৎসকের পাশাপাশি গবেষক বা বিজ্ঞানী হওয়া। আমাদের মেডিকেল সেক্টরে ডাক্তাররা গবেষণাসংক্রান্ত কাজ কম করেন। তাই আমার ইচ্ছা, একজন ভালো ডাক্তারের পাশাপাশি ভালো গবেষক বা ভালো বিজ্ঞানী হওয়া।
ডাক্তারি খুবই মানবিক একটা পেশা। মেডিকেলের প্রথম দিনই রোগীর স্বার্থরক্ষায় সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে পেশাচর্চার শপথ নিই আমরা নবীন চিকিৎসকেরা। তখনই আমাদের মধ্যে চিকিৎসক সত্তা জেগে ওঠে। কেউ যদি নিজের কর্মজীবনে প্রবেশ করে রোগীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে তাঁদের সেবা দিতে পারেন, তবে তিনি একজন ভালো মানুষ ও ভালো ডাক্তার হতে পারবেন।
আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি মূলত ইন্টারমিডিয়েটের শুরু থেকেই ছিল। তবে মূল লক্ষ্য ছিল এইচএসসি। আমি এইচএসসির পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মেডিকেলের প্রশ্নগুলো দেখতাম। অবসর সময়ে সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি পড়াশোনা করতাম। এইচএসসির শেষেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়া শুরু করেছি। রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করেছি। আর মূল বইটার ওপর ভালো দখল এনেছিলাম। সিনিয়রদের জিজ্ঞেস করতাম কীভাবে পড়লে বেশি মনে থাকে।
পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার অনুভূতি তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যখন দেখলাম ১ম হয়েছি, বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার জীবনে যত আনন্দের ঘটনা আছে, এটা তার মধ্যে একটা। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে বলছি, সৃষ্টিকর্তার রহমত ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব হতো না আমার এই পর্যায়ে আসা। তারপর আমার বাবা-মা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং কোচিংয়ের ভাইয়া-আপুদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি।
আমার আগামী দিনের স্বপ্ন একজন ভালো মানুষ এবং একজন ভালো চিকিৎসক হওয়া। বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে যেখানেই থাকি না কেন, দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখতে চাই।
আমার মতে, অধ্যবসায় ছাড়া জীবনে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। অনেক বড় একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
জীবনে বারবার হোঁচট খেয়েও পথচলা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলাম। তোমাদের পারিবারিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সমস্যা থাকলেও সেগুলো যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। তোমরা জীবনে যে স্বপ্ন দেখছ, তার জন্য অধ্যবসায় চালিয়ে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
ডেন্টাল পরীক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশ হলো, নিয়মিত পড়াশোনা করার ধৈর্য ধরে রাখতে হবে। মূল বইটা ভালো করে পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি অবহেলা করা যাবে না। নিয়মিত এই দুটো বিষয় পড়ার পাশাপাশি বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান ও অনুশীলন করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য অনুশীলনের কোনো
বিকল্প নেই।
নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রয়োজন দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম, তেমনি প্রয়োজন দূরদৃষ্টি। চলুন জেনে নিই নিউজিল্যান্ডে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে করণীয় নিয়ে...
৫ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি শিক্ষার্থীরা, তোমাদের অর্থনীতি পরীক্ষা অতীব নিকটে। তাই পঠিত বিষয়গুলো বারবার চর্চা করো। অর্থনীতি বিষয়ে ভালো ফলাফলের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করছি...
৫ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা নিও। ইংরেজি প্রথম পত্রে ভালো করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যাবে না। তোমরা নিশ্চয়ই জানো, গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার পেছনে ইংরেজির প্রভাব ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়—
৫ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষায় সমাজবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—বিশেষ করে যাঁরা মানবিক শাখায় পড়াশোনা করেন তাঁদের জন্য। ভালো প্রস্তুতির জন্য কেবল মুখস্থ নয়, বোঝা ও ব্যাখ্যা করার দক্ষতাও জরুরি। নিচে বিষয়ভিত্তিক কিছু টিপস দেওয়া হলো, যা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাজে...
৬ ঘণ্টা আগে