নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি এই তিন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে বেতনে ১১তম গ্রেড নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত রোববার ও সোমবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।’
এদিকে কিছুদিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চার সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন না।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা ৩০ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করব।’

গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে দশম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে শহীদ মিনারে ফেরত পাঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে গত ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। সভায় একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিলে ওইদিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ৷
এর আগে তিন দাবিতে ২৬ মে থেকে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ে তাঁরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

পরে গত ২৯ মে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে কর্মবিরতির কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
গত ৩০ আগস্ট শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা। পরে দুর্গাপূজার কারণে অনশন কর্মসূচি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকেরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।
এরইমধ্যে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা সহকারী শিক্ষকদের মূল দাবি একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন একাদশ গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যেসব সহকারী শিক্ষক ১৩ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, তাঁরা যেন ১১ তম গ্রেডে বেতন পান সেজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। উনারা রেফার করেছেন বেতন কমিশনে। আমরা কেবিনেট ডিভিশনে তদবির করেছি, যেন উনারা আমাদের ফেভারে বলেন, উপদেষ্টাদের তদবির করছি যেন ফেভারে বলেন। আমি নিজে বেতন কমিশনে গিয়েছি, আমি গিয়ে উনাদের কনভিন্স করার চেষ্টা করছি।’

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি এই তিন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে বেতনে ১১তম গ্রেড নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত রোববার ও সোমবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।’
এদিকে কিছুদিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চার সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন না।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা ৩০ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করব।’

গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে দশম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে শহীদ মিনারে ফেরত পাঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে গত ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। সভায় একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিলে ওইদিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ৷
এর আগে তিন দাবিতে ২৬ মে থেকে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ে তাঁরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

পরে গত ২৯ মে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে কর্মবিরতির কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
গত ৩০ আগস্ট শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা। পরে দুর্গাপূজার কারণে অনশন কর্মসূচি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকেরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।
এরইমধ্যে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা সহকারী শিক্ষকদের মূল দাবি একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন একাদশ গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যেসব সহকারী শিক্ষক ১৩ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, তাঁরা যেন ১১ তম গ্রেডে বেতন পান সেজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। উনারা রেফার করেছেন বেতন কমিশনে। আমরা কেবিনেট ডিভিশনে তদবির করেছি, যেন উনারা আমাদের ফেভারে বলেন, উপদেষ্টাদের তদবির করছি যেন ফেভারে বলেন। আমি নিজে বেতন কমিশনে গিয়েছি, আমি গিয়ে উনাদের কনভিন্স করার চেষ্টা করছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি এই তিন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে বেতনে ১১তম গ্রেড নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত রোববার ও সোমবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।’
এদিকে কিছুদিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চার সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন না।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা ৩০ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করব।’

গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে দশম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে শহীদ মিনারে ফেরত পাঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে গত ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। সভায় একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিলে ওইদিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ৷
এর আগে তিন দাবিতে ২৬ মে থেকে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ে তাঁরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

পরে গত ২৯ মে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে কর্মবিরতির কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
গত ৩০ আগস্ট শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা। পরে দুর্গাপূজার কারণে অনশন কর্মসূচি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকেরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।
এরইমধ্যে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা সহকারী শিক্ষকদের মূল দাবি একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন একাদশ গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যেসব সহকারী শিক্ষক ১৩ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, তাঁরা যেন ১১ তম গ্রেডে বেতন পান সেজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। উনারা রেফার করেছেন বেতন কমিশনে। আমরা কেবিনেট ডিভিশনে তদবির করেছি, যেন উনারা আমাদের ফেভারে বলেন, উপদেষ্টাদের তদবির করছি যেন ফেভারে বলেন। আমি নিজে বেতন কমিশনে গিয়েছি, আমি গিয়ে উনাদের কনভিন্স করার চেষ্টা করছি।’

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি এই তিন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদে বেতনে ১১তম গ্রেড নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত রোববার ও সোমবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।’
এদিকে কিছুদিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চার সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন না।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা ৩০ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করব।’

গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে দশম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে শহীদ মিনারে ফেরত পাঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে গত ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। সভায় একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিলে ওইদিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ৷
এর আগে তিন দাবিতে ২৬ মে থেকে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ে তাঁরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

পরে গত ২৯ মে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে কর্মবিরতির কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
গত ৩০ আগস্ট শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা। পরে দুর্গাপূজার কারণে অনশন কর্মসূচি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকেরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।
এরইমধ্যে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা সহকারী শিক্ষকদের মূল দাবি একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন একাদশ গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যেসব সহকারী শিক্ষক ১৩ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, তাঁরা যেন ১১ তম গ্রেডে বেতন পান সেজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। উনারা রেফার করেছেন বেতন কমিশনে। আমরা কেবিনেট ডিভিশনে তদবির করেছি, যেন উনারা আমাদের ফেভারে বলেন, উপদেষ্টাদের তদবির করছি যেন ফেভারে বলেন। আমি নিজে বেতন কমিশনে গিয়েছি, আমি গিয়ে উনাদের কনভিন্স করার চেষ্টা করছি।’

বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২ ঘণ্টা আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
২ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় কমনওয়েলথের ৫৪টি দেশের মোট ৫৩ হাজার ৪৩৪ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশ নেওয়ার নতুন মাইলফলক। স্কুলটি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অসাধারণ সাফল্য উদ্যাপন করেছে স্কুলটি।
স্বর্ণপদক জিতেছে গ্রেড-৯-এর আনা তাসনুভা, গ্রেড-১০-এর আরিশা আহমেদ রায়না এবং গ্রেড-১১-এর মো. ফারজান আলী। রৌপ্য পদক অর্জন করেছে গ্রেড-৬-এর উমাইযা শামস ও গ্রেড-৯-এর কাজী আফসান রওনাক আনান। ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে গ্রেড-৭-এর আনজার সাইফান ও মো. ফাইজান আলী।
গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রশাসন বিভাগ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য যেমনি তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল, একই সঙ্গে স্কুলের অঙ্গীকারেরও প্রমাণ। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে, ভাবনার প্রকাশে এবং নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তোলার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় কমনওয়েলথের ৫৪টি দেশের মোট ৫৩ হাজার ৪৩৪ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশ নেওয়ার নতুন মাইলফলক। স্কুলটি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অসাধারণ সাফল্য উদ্যাপন করেছে স্কুলটি।
স্বর্ণপদক জিতেছে গ্রেড-৯-এর আনা তাসনুভা, গ্রেড-১০-এর আরিশা আহমেদ রায়না এবং গ্রেড-১১-এর মো. ফারজান আলী। রৌপ্য পদক অর্জন করেছে গ্রেড-৬-এর উমাইযা শামস ও গ্রেড-৯-এর কাজী আফসান রওনাক আনান। ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে গ্রেড-৭-এর আনজার সাইফান ও মো. ফাইজান আলী।
গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রশাসন বিভাগ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য যেমনি তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল, একই সঙ্গে স্কুলের অঙ্গীকারেরও প্রমাণ। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে, ভাবনার প্রকাশে এবং নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তোলার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২ ঘণ্টা আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। উদীয়মান এই চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অধ্যয়নরত। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান। বিশেষভাবে তিনি বহুমূত্র রোগ (ডায়াবেটিস) ও বায়োমার্কারকে কেন্দ্র করে মানবস্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও জৈবিক উপাদানের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করছেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি। অনুলিখন মো. আশিকুর রহমানের।
নৃবিজ্ঞান বেছে নেওয়ার কারণ
বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞান এখনো তুলনামূলকভাবে অপরিচিত বিষয়। মিথিলা বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে এমন একটি বিষয় খুঁজছিলাম, যেখানে পাস-ফেলের ভয় থাকবে না।’ তবে পুরো স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়া তাঁর ‘চাপমুক্ত পড়াশোনা’র পরিকল্পনায় কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর ভাষায়, নৃবিজ্ঞানে শূন্য পাওয়া কঠিন হলেও ১০/১০ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ক্লাস নোট, বাংলা ও ইংরেজি নানা সোর্স ঘেঁটে পড়াশোনা করা এবং পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয় তাঁকে এগিয়ে রেখেছে।
মিথিলা মনে করেন, এই বিষয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজের বৈচিত্র্যময় দিকগুলোর প্রতি সহনশীলতা বেড়েছে, সংস্কৃতির আলোচনায় দক্ষতা অর্জন করেছেন। গোল্ড মেডেল ও ডিনস অ্যাওয়ার্ড—এই স্বীকৃতির দিনগুলো তাঁর জীবনের স্মৃতির খাতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসব অর্জন তাঁকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, ‘আমি না পারলে আর কে পারবে?’
হঠাৎ বদলে যাওয়া সিদ্ধান্ত
মিথিলা বলেন, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাজ্যে যাওয়ার। তবে হঠাৎ মনে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে দেখি ফান্ড পাই কি না। নিজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মিথিলা। সবকিছু ঠিক থাকলেও পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি, যা কষ্টের ছিল। তবু নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কারণ, যখন চেয়েছেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পেরেছেন।
প্রফেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। মিথিলার মতে, যাঁরা নির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত। না হলে সেখানে টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। প্রস্তুতি আগেভাগে গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। তাড়াহুড়ো করলে যেমন ভুল হয়, তেমনি আশানুরূপ ফলও আসে না।
গবেষণার বিষয়
বর্তমানে মিথিলা চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছেন এবং গবেষণার বিষয় হিসেবে ডায়াবেটিসকে চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই রোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বই এই ‘নীরব ঘাতক’ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে সামান্য অবদান রাখতে পারলেও সেটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি।
ভয় যেভাবে করেছেন জয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভয়। ভয় পেলে ইন্টারভিউ ভালো হয় না, কাগজপত্রের ঝামেলায় ঘাবড়ে যেতে হয়। তাই ভয় কমাতে হবে। তাঁর মতে, সঠিক গাইডলাইন ও পর্যাপ্ত তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করলে ভয় অনেকটা কমে। নিজের ফিল্ডের কোনো সিনিয়রের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়। আর্থিক বিষয়ে তিনি বলেন, ফুল ফান্ডেড প্রোগ্রামে বড় কোনো খরচ থাকে না। যেটুকু হয়, সেটাও ধার করে শোধ করা সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত এক বছর সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
কাছের মানুষের অনুপ্রেরণা
মিথিলার পথচলায় সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা। তিনি সব সময় বলতেন, আমেরিকায় গিয়ে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না। সেই নিষেধই যেন তাঁকে আমেরিকায় পৌঁছে দিয়েছে। ইন-লজরা তাঁর পড়াশোনায় সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। স্বামী যেভাবে প্রয়োজন হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। মা ও বোন সময়-সময় সাহস জুগিয়েছেন। পাবলিক স্পিকিংয়ে সব সময় আতঙ্ক ছিল তাঁর। প্রেজেন্টেশনে তাঁর বন্ধুরা অনেক সময় ভরসা হয়ে উঠেছে। সিনিয়র ভাই-আপুদের দিকনির্দেশনা, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্নেহ—সবকিছুর কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন মিথিলা।
আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ
মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলার মতে, আমেরিকায় যাওয়া এবং সেখানে টিকে থাকতে হলে ধৈর্য ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ফল একটু খারাপ হলেও পছন্দের ফিল্ডে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞানের স্কোপ স্টেমের তুলনায় কম হলেও সুযোগ একেবারে কম নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আশা হারানো যাবে না। লেগে থাকতে হবে, তাহলেই পথ খুলবে।

ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। উদীয়মান এই চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অধ্যয়নরত। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান। বিশেষভাবে তিনি বহুমূত্র রোগ (ডায়াবেটিস) ও বায়োমার্কারকে কেন্দ্র করে মানবস্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও জৈবিক উপাদানের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করছেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি। অনুলিখন মো. আশিকুর রহমানের।
নৃবিজ্ঞান বেছে নেওয়ার কারণ
বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞান এখনো তুলনামূলকভাবে অপরিচিত বিষয়। মিথিলা বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে এমন একটি বিষয় খুঁজছিলাম, যেখানে পাস-ফেলের ভয় থাকবে না।’ তবে পুরো স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়া তাঁর ‘চাপমুক্ত পড়াশোনা’র পরিকল্পনায় কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর ভাষায়, নৃবিজ্ঞানে শূন্য পাওয়া কঠিন হলেও ১০/১০ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ক্লাস নোট, বাংলা ও ইংরেজি নানা সোর্স ঘেঁটে পড়াশোনা করা এবং পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয় তাঁকে এগিয়ে রেখেছে।
মিথিলা মনে করেন, এই বিষয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজের বৈচিত্র্যময় দিকগুলোর প্রতি সহনশীলতা বেড়েছে, সংস্কৃতির আলোচনায় দক্ষতা অর্জন করেছেন। গোল্ড মেডেল ও ডিনস অ্যাওয়ার্ড—এই স্বীকৃতির দিনগুলো তাঁর জীবনের স্মৃতির খাতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসব অর্জন তাঁকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, ‘আমি না পারলে আর কে পারবে?’
হঠাৎ বদলে যাওয়া সিদ্ধান্ত
মিথিলা বলেন, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাজ্যে যাওয়ার। তবে হঠাৎ মনে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে দেখি ফান্ড পাই কি না। নিজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মিথিলা। সবকিছু ঠিক থাকলেও পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি, যা কষ্টের ছিল। তবু নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কারণ, যখন চেয়েছেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পেরেছেন।
প্রফেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। মিথিলার মতে, যাঁরা নির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত। না হলে সেখানে টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। প্রস্তুতি আগেভাগে গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। তাড়াহুড়ো করলে যেমন ভুল হয়, তেমনি আশানুরূপ ফলও আসে না।
গবেষণার বিষয়
বর্তমানে মিথিলা চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছেন এবং গবেষণার বিষয় হিসেবে ডায়াবেটিসকে চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই রোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বই এই ‘নীরব ঘাতক’ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে সামান্য অবদান রাখতে পারলেও সেটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি।
ভয় যেভাবে করেছেন জয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভয়। ভয় পেলে ইন্টারভিউ ভালো হয় না, কাগজপত্রের ঝামেলায় ঘাবড়ে যেতে হয়। তাই ভয় কমাতে হবে। তাঁর মতে, সঠিক গাইডলাইন ও পর্যাপ্ত তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করলে ভয় অনেকটা কমে। নিজের ফিল্ডের কোনো সিনিয়রের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়। আর্থিক বিষয়ে তিনি বলেন, ফুল ফান্ডেড প্রোগ্রামে বড় কোনো খরচ থাকে না। যেটুকু হয়, সেটাও ধার করে শোধ করা সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত এক বছর সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
কাছের মানুষের অনুপ্রেরণা
মিথিলার পথচলায় সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা। তিনি সব সময় বলতেন, আমেরিকায় গিয়ে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না। সেই নিষেধই যেন তাঁকে আমেরিকায় পৌঁছে দিয়েছে। ইন-লজরা তাঁর পড়াশোনায় সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। স্বামী যেভাবে প্রয়োজন হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। মা ও বোন সময়-সময় সাহস জুগিয়েছেন। পাবলিক স্পিকিংয়ে সব সময় আতঙ্ক ছিল তাঁর। প্রেজেন্টেশনে তাঁর বন্ধুরা অনেক সময় ভরসা হয়ে উঠেছে। সিনিয়র ভাই-আপুদের দিকনির্দেশনা, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্নেহ—সবকিছুর কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন মিথিলা।
আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ
মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলার মতে, আমেরিকায় যাওয়া এবং সেখানে টিকে থাকতে হলে ধৈর্য ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ফল একটু খারাপ হলেও পছন্দের ফিল্ডে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞানের স্কোপ স্টেমের তুলনায় কম হলেও সুযোগ একেবারে কম নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আশা হারানো যাবে না। লেগে থাকতে হবে, তাহলেই পথ খুলবে।

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
২৪ মিনিট আগে
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২ ঘণ্টা আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
২ ঘণ্টা আগেমাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন উর্মি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান ও গৃহিণী ঝরনা খাতুন দম্পতির মেয়ে উর্মি।
ছোটবেলা থেকে উর্মি ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি। স্কুল-কলেজ জীবনজুড়ে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন উর্মি।
উর্মির বাবা বাবলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক হোক। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ২০১৬ সালে হঠাৎ মারা যান তিনি। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে। মায়ের সংগ্রাম আর বাবার অপূর্ণ স্বপ্নই উর্মির মনে চিকিৎসক হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গড়ে তোলে।
উর্মির মা ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কৃষক পরিবার হলেও মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবা স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, অন্তত একটি মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। আমার বড় মেয়ে অনার্সে প্রাণিবিদ্যায় চতুর্থ বর্ষে পড়ে, ছোট মেয়েটি এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর মেজ মেয়ে সুচরিতা আক্তার উর্মি যশোর মেডিকেল কলেজে পড়ছে।

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন উর্মি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান ও গৃহিণী ঝরনা খাতুন দম্পতির মেয়ে উর্মি।
ছোটবেলা থেকে উর্মি ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি। স্কুল-কলেজ জীবনজুড়ে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন উর্মি।
উর্মির বাবা বাবলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক হোক। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ২০১৬ সালে হঠাৎ মারা যান তিনি। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে। মায়ের সংগ্রাম আর বাবার অপূর্ণ স্বপ্নই উর্মির মনে চিকিৎসক হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গড়ে তোলে।
উর্মির মা ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কৃষক পরিবার হলেও মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবা স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, অন্তত একটি মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। আমার বড় মেয়ে অনার্সে প্রাণিবিদ্যায় চতুর্থ বর্ষে পড়ে, ছোট মেয়েটি এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর মেজ মেয়ে সুচরিতা আক্তার উর্মি যশোর মেডিকেল কলেজে পড়ছে।

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—
আরও পড়ুন:

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—
আরও পড়ুন:

গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ১২টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতা কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জসহ সাতটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২ ঘণ্টা আগে