সাব্বির হোসেন
মানুষের জীবনে সাফল্য কেবল একার খাটুনিতে আসে না। সম্পর্ক, সহযোগিতা আর আন্তরিকতার হাত ধরে আসে জীবনের প্রকৃত সফলতা। কিথ ফেরাজ্জির ‘নেভার ইট অ্যালোন’ বইটি আমাদের শোনায় সেই মানবিক সাফল্যের গল্প; যেখানে প্রতিটি খাবারের টেবিল হয়ে ওঠে নতুন সুযোগের সূচনা।
২০০৫ সালে প্রকাশিত এ বইয়ের লেখক কিথ ফেরাজ্জি একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নেটওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞ। তিনি ডেলয়েট কনসালটিংয়ের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ফেরাজ্জি যে উপলব্ধি করেছেন, তা স্পষ্ট—সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে আন্তরিক সম্পর্কের মধ্যেই।
‘নেভার ইট অ্যালোন’ মানে কী
শিরোনামটি সরল হলেও এতে নিহিত রয়েছে এক গভীর বার্তা। ‘নেভার ইট অ্যালোন’ অর্থ—প্রতিটি খাবারের টেবিলকে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ও সংযোগ তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা। একা খাওয়া মানে সম্ভাবনার দরজা বন্ধ রাখা—যখন আপনার চারপাশেই ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য সুযোগ ও নতুন গল্পের সম্ভাবনা।
সহযোগিতার দর্শন
ফেরাজ্জির দর্শনে সম্পর্কের শুরুতে বিনিময়ের আশা নয়, সবার আগে দরকার নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করার মানসিকতা। তিনি বলেন, ‘যখনই সম্ভব, মানুষের উপকার করুন। সাফল্য তখনই আপনার পাশে আসবে।’ যখন মানুষ বুঝবে আপনি নিঃস্বার্থ, তখন থেকেই সম্পর্ক হবে আরও দৃঢ় ও গভীর।
মানবিক স্পর্শই আলাদা করে
মানুষের নাম মনে রাখা, জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো, প্রয়োজনের সময় পাশে থাকা—এই ছোট ছোট আচরণই একসময় গড়ে তোলে গভীর সম্পর্ক। ফেরাজ্জি মনে করিয়ে দেন, মানবিক স্পর্শই একজন মানুষকে আলাদা করে দেয় অন্যদের থেকে।
সম্পর্কের মানচিত্র
ফেরাজ্জি ‘রিলেশনশিপ ম্যাপ’ ধারণা দিয়েছেন—আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একটি মানচিত্র তৈরি করুন। কে কোথায় আছেন, কীভাবে তাঁরা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারেন—এ মানচিত্র কখনো আপনাকে একা ফেলে রাখবে না।
প্রস্তুতি ও গবেষণার গুরুত্ব
কারও সঙ্গে দেখা করার আগে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফেরাজ্জি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহের বিষয়গুলো জেনে নিয়ে আলাপ শুরু করলে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সহজে। এতে বোঝা যায়, আপনি কেবল পেশাগত নয়; বরং আন্তরিক বন্ধনে আগ্রহী।
ছোট ছোট মিলনমেলা
বড় অনুষ্ঠান নয়, বরং ছোট ছোট গেট টুগেদার বা এক কাপ চায়ের আড্ডাই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়। ‘নেভার ইট অ্যালোন’ শেখায়—প্রতিটি ছোট আয়োজনের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে আন্তরিক সম্পর্কের সম্ভাবনা।
বাধা পেরিয়ে ওঠার গল্প
কিথ ফেরাজ্জির নিজের জীবনও অনুপ্রেরণার এক গল্প। সাধারণ এক পরিবার থেকে উঠে এসে আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—সামাজিক বৃত্তের বাইরে গিয়েও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আত্মবিশ্বাস ও উন্মুক্ত মন
বইটি বারবার মনে করিয়ে দেয়—আত্মবিশ্বাস ও উন্মুক্ত মনই নতুন সম্পর্কের ভিত্তি। নিজের ভয় কাটিয়ে উঠুন, প্রতিটি আলাপের সুযোগ নিন। মনে রাখুন, প্রত্যেক মানুষের কাছ থেকেই কিছু শেখার আছে।
‘নেভার ইট অ্যালোন’ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—ক্যারিয়ার বা জীবনের যাত্রায় একাকিত্ব নয়, প্রয়োজন মানুষের পাশে থাকা। প্রতিটি সম্পর্কই এক সম্ভাবনার আলো।
মানুষের জীবনে সাফল্য কেবল একার খাটুনিতে আসে না। সম্পর্ক, সহযোগিতা আর আন্তরিকতার হাত ধরে আসে জীবনের প্রকৃত সফলতা। কিথ ফেরাজ্জির ‘নেভার ইট অ্যালোন’ বইটি আমাদের শোনায় সেই মানবিক সাফল্যের গল্প; যেখানে প্রতিটি খাবারের টেবিল হয়ে ওঠে নতুন সুযোগের সূচনা।
২০০৫ সালে প্রকাশিত এ বইয়ের লেখক কিথ ফেরাজ্জি একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নেটওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞ। তিনি ডেলয়েট কনসালটিংয়ের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ফেরাজ্জি যে উপলব্ধি করেছেন, তা স্পষ্ট—সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে আন্তরিক সম্পর্কের মধ্যেই।
‘নেভার ইট অ্যালোন’ মানে কী
শিরোনামটি সরল হলেও এতে নিহিত রয়েছে এক গভীর বার্তা। ‘নেভার ইট অ্যালোন’ অর্থ—প্রতিটি খাবারের টেবিলকে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ও সংযোগ তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা। একা খাওয়া মানে সম্ভাবনার দরজা বন্ধ রাখা—যখন আপনার চারপাশেই ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য সুযোগ ও নতুন গল্পের সম্ভাবনা।
সহযোগিতার দর্শন
ফেরাজ্জির দর্শনে সম্পর্কের শুরুতে বিনিময়ের আশা নয়, সবার আগে দরকার নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করার মানসিকতা। তিনি বলেন, ‘যখনই সম্ভব, মানুষের উপকার করুন। সাফল্য তখনই আপনার পাশে আসবে।’ যখন মানুষ বুঝবে আপনি নিঃস্বার্থ, তখন থেকেই সম্পর্ক হবে আরও দৃঢ় ও গভীর।
মানবিক স্পর্শই আলাদা করে
মানুষের নাম মনে রাখা, জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো, প্রয়োজনের সময় পাশে থাকা—এই ছোট ছোট আচরণই একসময় গড়ে তোলে গভীর সম্পর্ক। ফেরাজ্জি মনে করিয়ে দেন, মানবিক স্পর্শই একজন মানুষকে আলাদা করে দেয় অন্যদের থেকে।
সম্পর্কের মানচিত্র
ফেরাজ্জি ‘রিলেশনশিপ ম্যাপ’ ধারণা দিয়েছেন—আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একটি মানচিত্র তৈরি করুন। কে কোথায় আছেন, কীভাবে তাঁরা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারেন—এ মানচিত্র কখনো আপনাকে একা ফেলে রাখবে না।
প্রস্তুতি ও গবেষণার গুরুত্ব
কারও সঙ্গে দেখা করার আগে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফেরাজ্জি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহের বিষয়গুলো জেনে নিয়ে আলাপ শুরু করলে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সহজে। এতে বোঝা যায়, আপনি কেবল পেশাগত নয়; বরং আন্তরিক বন্ধনে আগ্রহী।
ছোট ছোট মিলনমেলা
বড় অনুষ্ঠান নয়, বরং ছোট ছোট গেট টুগেদার বা এক কাপ চায়ের আড্ডাই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়। ‘নেভার ইট অ্যালোন’ শেখায়—প্রতিটি ছোট আয়োজনের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে আন্তরিক সম্পর্কের সম্ভাবনা।
বাধা পেরিয়ে ওঠার গল্প
কিথ ফেরাজ্জির নিজের জীবনও অনুপ্রেরণার এক গল্প। সাধারণ এক পরিবার থেকে উঠে এসে আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—সামাজিক বৃত্তের বাইরে গিয়েও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আত্মবিশ্বাস ও উন্মুক্ত মন
বইটি বারবার মনে করিয়ে দেয়—আত্মবিশ্বাস ও উন্মুক্ত মনই নতুন সম্পর্কের ভিত্তি। নিজের ভয় কাটিয়ে উঠুন, প্রতিটি আলাপের সুযোগ নিন। মনে রাখুন, প্রত্যেক মানুষের কাছ থেকেই কিছু শেখার আছে।
‘নেভার ইট অ্যালোন’ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—ক্যারিয়ার বা জীবনের যাত্রায় একাকিত্ব নয়, প্রয়োজন মানুষের পাশে থাকা। প্রতিটি সম্পর্কই এক সম্ভাবনার আলো।
একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। নতুন এই কারিকুলামে দায়, দরদ ও ইনসাফ শব্দগুলো ব্যবহার করতে হলে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘উপাচার্য নিয়োগে নানা অসংগতির কারণে আমরা উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি বোর্ড তৈরি করেছি। আমরা উপাচার্য নির্বাচনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেব। এতে আগ্রহীরা আবেদন করবেন। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যোগ্যদের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে।’
১১ ঘণ্টা আগেলিসেনিংয়ে যখন প্রশ্নের ফোকাস ক্রিয়াপদ বা বিশেষণের ওপর হয়, তখন রেকর্ডিংয়ে মূল অর্থ ঠিক রেখে সেটিকে সরাসরি না বলে অন্য যেকোনোভাবে প্রকাশ করে থাকে। ইচ্ছে করেই এটি করা হয়। এভাবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা বা শব্দার্থ বোঝার ক্ষমতা পরখ করা হয়। বিষয়টি জানা থাকলে প্রশ্নপত্রের ভাষার...
১৮ ঘণ্টা আগে