Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আমার হাত দিয়ে অন্যায় জাজমেন্ট হতে দেব না

হালিমাতুস সাদিয়া। ছবি: সংগৃহীত

১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে দেশসেরা হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী হালিমাতুস সাদিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। বাবা মো. রহমান কবির ও মা নাসিমা আক্তার দুজনই পেশায় শিক্ষক। সাদিয়া শিক্ষক পরিবারে বেড়ে উঠলেও ছোটবেলা থেকে তাঁর স্বপ্ন বিচারক হওয়ার। নিজের পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে তিনি সেটা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। সাদিয়া নিজের সাফল্য নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত

ইলিয়াস শান্ত
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ১৬: ২৫

প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আপনার শিক্ষাজীবনের গল্প শুনতে চাই।

স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আমার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত আমি এ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছিলাম। এরপর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আমি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি। এলএলবি ও এলএলএম দুটিতে আমার ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ফল ছিল।

সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন?

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তির মাধ্যমে আমার এ যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। আরেকটু পেছন থেকে যদি বলি, এটা আমার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি ত্যাগী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। সেজন্যই হয়তো আজকে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।

সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষার ধাপগুলো কী কী?

প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এরপর একাধারে ১০ দিনে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। অর্থাৎ আমাদের ১০ দিনে ৩০ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। লিখিত ও মৌখিক—এ দুটির সমন্বিত ফলই চূড়ান্ত ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ধাপগুলো কীভাবে সহজে উতরানো যায়?

এক্ষেত্রে আমি বলব, ত্যাগ থাকতে হবে। লেখাপড়ায় নিয়মিত হতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। হুট করে বা অনার্স শেষ করার পর বিজেএসের জন্য প্রস্তুতি আসলে হয় না। বরং একাডেমিক জীবনের প্রথম থেকে প্রস্তুতি শুরু করলে কাজটা সহজ ও গোছানো হয়।

আপনার সাফল্যের পেছনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে?

আমার আল্টিমেট যে গোল ছিল, সেটা একেবারে নির্ধারিত। ফলে আমি এ গোল বাস্তবায়নে ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সর্বশেষটা দেখা পর্যন্ত আমি হাল ছাড়িনি। সম্ভবত আমার এ প্রচেষ্টাই অনেক বেশি কাজে দিয়েছে।

আপনার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক। আপনার বিচারক হওয়ার স্বপ্নের যাত্রাটা শুরু হয় কীভাবে?

বাবা-মা দুজনের হাত ধরেই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নটা শুরু হয়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বাবাই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি ছোটবেলা থেকে অন্যদের মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। বিচারক হওয়ার স্বপ্নে বাবা আমাকে উৎসাহিত করেছেন।

বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আর কোন কোন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?

একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে আমি আর কোনো কিছুতে সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিতর্ক করেছিলাম। তখন আমি সেরা বিতার্কিক ছিলাম। এ ছাড়া আর কোনো কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজে যুক্ত ছিলাম না।

যাঁরা আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন?

আপনাকে ত্যাগী হতে হবে। যে স্বপ্ন দেখছেন, সে স্বপ্ন নিয়ে এ ফিল্ডে নেমে পড়ুন। বিচারক হওয়ার যে স্বপ্ন আপনার রয়েছে, সেটাকে জীবিত রেখে এগিয়ে যান। আইন নিয়ে পড়ালেখা করে যদি বিচারক হতে নাও পারেন, তবুও আপনার জন্য একটি সম্মানজনক প্রফেশন অবশ্যই অপেক্ষা করবে।

আইন নিয়ে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভালো, নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়?

পড়ালেখায় আমার কাছে পাবলিক-প্রাইভেট মেটার করে না। আপনি যদি পড়ালেখায় ভালো করেন; প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু ভালো শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষক কখনো তাঁর শিক্ষার্থীদের খারাপ পাঠদান করাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন না কেন, শিক্ষকদের ক্লাসগুলো ভালোভাবে নোট করুন। আর আপনি নিজে নিজের পড়ালেখাটা ঠিকঠাক করুন।

কোন কোন বিষয়ে বেশি ফোকাস করলে নতুন যাঁরা বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের পথটা সহজ হবে?

বিজেএসের জন্য নির্দিষ্ট একটা সিলেবাস দেওয়া আছে। সিলেবাসে যে সাবজেক্টগুলো রয়েছে, বিশেষ করে আইনের মূল বইগুলো শেষ করতে পারলে কোনো ধাপেই আটকানোর কথা না। সেজন্য আমি বলব, সিলেবাসটা শেষ করুন এবং রিভিশন দিতে থাকুন।

বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কোন বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

আমার ক্ষেত্রে যেহেতু টার্গেটটা একাডেমিক লাইফের শুরু থেকে ছিল, তবুও পুরোপুরি প্রস্তুতি আমি তৃতীয় বর্ষের শেষের দিক থেকে শুরু করেছি। তারপরও প্রথম থেকেই প্রস্তুতিটা শুরু করলে ভালো হয়।

আপনি তো সারা দেশে প্রথম হলেন। একেবারে প্রথম হয়ে যাবেন, পরীক্ষা শেষ করার পর এটা কি ভেবেছিলেন?

পরীক্ষা আমার ভালো হয়েছিল, নিশ্চিত ছিলাম ভালো কিছু হবে। তবে একেবারে যে দেশসেরা হয়ে যাব, এটা ভাবিনি। দেশসেরা হওয়ার এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার নিজের ফল নিজে দেখেছি। ফল দেখতে গিয়ে দেখি, প্রথমেই আমার রোল। ফল পেয়েই প্রথমে বাবাকে জানিয়েছি।

বিজেএস পরীক্ষায় একাডেমিক রেজাল্টের গুরুত্ব কতটুকু?

একাডেমিক ফলের গুরুত্ব বিজেএসে নেই বললেই চলে। তবে একাডেমিক ফল যদি ভালো থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় অনেকের ফল খারাপ হয়ে থাকে। এটার প্রভাব বিজেএসের মূল পরীক্ষায় পড়ে না। বিজেএসের যে ধাপগুলো আছে, সেগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী পার করতে পারলেই সফলতা আসবে।

নিয়োগ পরীক্ষার ফলে আপনি প্রথম হয়েছেন। দেশের প্রতি আপনার অনেক বেশি দায়িত্ব। নিয়োগ পাওয়ার পর দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই। কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি?

দেশ নিয়ে ভাবনার কথা বলতে গেলে, আমি সব সময় সৎ থাকতে চাই; সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে চাই। এখনই আমার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের এখনো যোগদান শেষ হয়নি।

সহকারী জজ হিসেবে তো এখন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। নিজেকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান?

আমি মনে করি, আমি এখনো শিক্ষার্থী। কর্মজীবন সবে শুরু হচ্ছে। তবে এটা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দায়িত্বগ্রহণের পর সুস্থ থাকা পর্যন্ত কোনো অন্যায় জাজমেন্ট আমার হাত দিয়ে হতে দেব না।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন লাগবে ৬০% উপস্থিতি

  • স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন জারি।
  • কোর্সের পূর্ণমানের ৮০% নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০% ধারাবাহিক মূল্যায়নে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন লাগবে ৬০% উপস্থিতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।

স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।

প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।

গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।

ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।

এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।

সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।

পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।

নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবারও লটারিতে স্কুলে ভর্তি, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।

আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।

এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষা: ৬০ শতাংশ বাধ্যতামূলক উপস্থিতিসহ যেসব পরিবর্তন এল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ১২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষা: ৬০ শতাংশ বাধ্যতামূলক উপস্থিতিসহ যেসব পরিবর্তন এল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।

আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।

স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রেগুলেশনটি গতকাল রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।

যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’

স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর, মোট ২০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন কোর্সে ৮ নম্বর—মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন কোর্সে ৫ নম্বর—মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে সংশোধিত রেগুলেশনে।

ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্নকাঠামো নিয়ে রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা।

৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত