পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় এক ভ্যানচালক, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলাচলের রাস্তা ও গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় তাঁদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোটা উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রংপুর আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জিয়াউর রহমান (৩৫), রুপালী বেগম (৩৫), জোসনা বেগম (৩৮), রাহেনা বেগম (২৬), রুমানা বেগম (২৫) ও দুলালী বেগম (৩০)।
গত বুধবার সকালে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দী ধনিরাম গ্রামে এ ঘটনায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ গাছে বাঁধা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে নির্যাতনের শিকার ভ্যানচালক শাহজাহান মিয়া ১৭ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার সকালে প্রভাবশালী জিয়ারু ও তাঁর লোকজন ভ্যানচালক শাহজাহান মিয়ার রোপণ করা গাছ ও চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলে। এ সময় শাহজাহান মিয়া, তাঁর স্ত্রী গোলাপী বেগম ও তাঁর দুই মেয়ে বাধা দেন। এতে জিয়ারু ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহনের স্ত্রী গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায়। এলাকার লোকজন দুই দফা তাঁদের উদ্ধার করলেও তৃতীয়বার আবারও তাঁদের গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। বর্তমানে তারা এখন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে ঘটনার দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে মা-মেয়েকে নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মা-মেয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নির্যাতনের শিকার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘প্রতিবেশী জিয়ারু ও তাঁর লোকজন জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আমি ১৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘গাছে বেঁধে নির্যাতন করা আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বসে এটা মীমাংসা করে নেব।’
পীরগাছা থানার এসআই মোকছেদ আলী বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। নির্যাতনের শিকার শাহজাহান মিয়া একটি অভিযোগ দিয়েছেন।’
রংপুরের পীরগাছায় এক ভ্যানচালক, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলাচলের রাস্তা ও গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় তাঁদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোটা উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রংপুর আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জিয়াউর রহমান (৩৫), রুপালী বেগম (৩৫), জোসনা বেগম (৩৮), রাহেনা বেগম (২৬), রুমানা বেগম (২৫) ও দুলালী বেগম (৩০)।
গত বুধবার সকালে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দী ধনিরাম গ্রামে এ ঘটনায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ গাছে বাঁধা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে নির্যাতনের শিকার ভ্যানচালক শাহজাহান মিয়া ১৭ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার সকালে প্রভাবশালী জিয়ারু ও তাঁর লোকজন ভ্যানচালক শাহজাহান মিয়ার রোপণ করা গাছ ও চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলে। এ সময় শাহজাহান মিয়া, তাঁর স্ত্রী গোলাপী বেগম ও তাঁর দুই মেয়ে বাধা দেন। এতে জিয়ারু ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহনের স্ত্রী গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায়। এলাকার লোকজন দুই দফা তাঁদের উদ্ধার করলেও তৃতীয়বার আবারও তাঁদের গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। বর্তমানে তারা এখন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে ঘটনার দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে মা-মেয়েকে নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মা-মেয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নির্যাতনের শিকার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘প্রতিবেশী জিয়ারু ও তাঁর লোকজন জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আমি ১৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘গাছে বেঁধে নির্যাতন করা আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বসে এটা মীমাংসা করে নেব।’
পীরগাছা থানার এসআই মোকছেদ আলী বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। নির্যাতনের শিকার শাহজাহান মিয়া একটি অভিযোগ দিয়েছেন।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২০ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫