প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিগত চার বছর পর সিআইডির তদন্তে উন্মোচিত হয়েছে হত্যা রহস্য। শাহ আলম বেলকুচি উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে।
গত ৪ বছর আগে ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেমের জেরে ওই নারী ও তাঁর দুই পরকীয়া প্রেমিক মিলে তাঁকে হত্যা করেছে। এরপর লাশ গুমের জন্য যমুনার দুর্গম চরে ছন খেতে ফেলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিন পর হত্যায় জড়িত মূল হোতা জুলহাস হোসেন ওরফে জুলুকে (৫৭) কে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে এ ঘটনার রহস্যজট উন্মোচন করেছে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা কাকলি (ছদ্ম নাম) (৩৫) সঙ্গে শাহ আলম, জুলু ও আরও একজনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে কাকলির ওপর চড়াও হন এবং অপর দুজনকে তাঁর কাছে আসতে বারণ করেন। এতে কাকলি এবং অন্য দুই পরকীয়া প্রেমিক ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে কাকলির সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁর বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন শাহ আলম। এ সুযোগে কাকলি ও তাঁর দুই পরকীয়া প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে দুর্গম যমুনা নদীর চরের ছনের ভেতরে ফেলে দেন।
এ ঘটনার দুদিন পর ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি থানা–পুলিশ যমুনার চরের ছনের ভেতর থেকে শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা বেগম বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-১৫, তারিখ-২৭ / ০১ / ২০১৭, ধারা-৩০২ / ২০১ / ৩৪) দায়ের করেন।
বেলকুচি থানা–পুলিশ দীর্ঘ চেষ্টার পর এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। যে কারণে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করে আদালত।
এরপর চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এরপর তিনি তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লু-লেস এ হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামি জুলহাস হোসেন ওরফে জুলুকে (৫৭) গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডি সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় হত্যার দায় স্বীকার করেন জুলহাস। এরপর তাঁকে গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালতেও তিনি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। ফলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়।
আদালতে জুলহাস বলেন, ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সহযোগীদের নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর যমুনার চরের ছনের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিগত চার বছর পর সিআইডির তদন্তে উন্মোচিত হয়েছে হত্যা রহস্য। শাহ আলম বেলকুচি উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে।
গত ৪ বছর আগে ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেমের জেরে ওই নারী ও তাঁর দুই পরকীয়া প্রেমিক মিলে তাঁকে হত্যা করেছে। এরপর লাশ গুমের জন্য যমুনার দুর্গম চরে ছন খেতে ফেলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিন পর হত্যায় জড়িত মূল হোতা জুলহাস হোসেন ওরফে জুলুকে (৫৭) কে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে এ ঘটনার রহস্যজট উন্মোচন করেছে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা কাকলি (ছদ্ম নাম) (৩৫) সঙ্গে শাহ আলম, জুলু ও আরও একজনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে কাকলির ওপর চড়াও হন এবং অপর দুজনকে তাঁর কাছে আসতে বারণ করেন। এতে কাকলি এবং অন্য দুই পরকীয়া প্রেমিক ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে কাকলির সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁর বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন শাহ আলম। এ সুযোগে কাকলি ও তাঁর দুই পরকীয়া প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে দুর্গম যমুনা নদীর চরের ছনের ভেতরে ফেলে দেন।
এ ঘটনার দুদিন পর ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি থানা–পুলিশ যমুনার চরের ছনের ভেতর থেকে শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা বেগম বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-১৫, তারিখ-২৭ / ০১ / ২০১৭, ধারা-৩০২ / ২০১ / ৩৪) দায়ের করেন।
বেলকুচি থানা–পুলিশ দীর্ঘ চেষ্টার পর এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। যে কারণে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করে আদালত।
এরপর চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এরপর তিনি তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লু-লেস এ হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামি জুলহাস হোসেন ওরফে জুলুকে (৫৭) গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডি সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় হত্যার দায় স্বীকার করেন জুলহাস। এরপর তাঁকে গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালতেও তিনি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। ফলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়।
আদালতে জুলহাস বলেন, ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সহযোগীদের নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর যমুনার চরের ছনের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৪ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫