Ajker Patrika

মাঠে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ২৬
মাঠে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জাহির আলী (৫৫)। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফতেপুর ইউনিয়নের শালালপুর গ্রামের মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

জাহির আলী একই উপজেলার উত্তর মল্লিকপুর গ্রামের মৃত ফাকু মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি জাহির আলী। পরে রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার সকালে ফতেপুর ইউনিয়নের শালালপুর গ্রামের ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেন কৃষকেরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেন। 

ওসি তারেকুর রহমান বলেন, মরদেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। 

ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালমান শাহ হত্যা মামলায় রিভিশনের শুনানি শেষ, রায় ২০ অক্টোবর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৩
সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত
সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।

ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।

রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন নাগরিকের ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মার্কিন নাগরিকের ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা, ভারতে সোনা চোরাচালান এবং ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করে।

এতে মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস (৫০), ওয়াহিদুজ্জামান (৫২), মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ (৫১), মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে রিপন ফকির (৪৯), রাজীব সরদার (৩৭) ও উজ্জ্বল কুমার সাধু (৩৮) নামের ছয়জনকে আসামি করা হয়।

আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিআইডি।

সিআইডি বলছে, প্রতারণার ঘটনা অনুসন্ধানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে ডেবোরাহ জন্সটন রামলো ডেবি নামের এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে এই প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ তৈরি করে। অভিযোগকারীর ভাষ্য, এই প্রতারক চক্র ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (ডিইএ) সদস্য পরিচয় দিয়ে ২ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৩৫১ টাকা আত্মসাৎ করে। প্রতারক চক্র ছলচাতুরী ও ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে ওই মার্কিন নাগরিককে বাধ্য করে যেন তিনি এই বিপুল অর্থ আমেরিকায় অবস্থিত বিভিন্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে দেন।

সিআইডি আরও জানায়, শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে ওই সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা গ্রহণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ প্রতারণা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আইনক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ ও নোহা এন্টারপ্রাইজ।

মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি জানতে পারে চক্রটি সোনা চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। তারা বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে এবং ঢাকার তাঁতীবাজারসহ অন্যান্য স্থানের বিভিন্ন দোকান থেকে ভাঙারি সোনা সংগ্রহ করে তা গলিয়ে পাকা সোনার বার আকারে রূপান্তরিত করে দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছে। এসব সোনার বার মূলত সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় বলে সিআইডির দাবি।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রায় ৬০৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে ভোগবিলাস, অর্থ পাচারসহ নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এসব অপরাধ মানি লন্ডারিং আইনে হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোরআন ছুঁয়ে শপথ করিয়ে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্র: পিবিআই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান ওরফে বাবু, আল-আমিন ওরফে রফিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মো. মাসুদ খান। ছবি: পিবিআই
গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান ওরফে বাবু, আল-আমিন ওরফে রফিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মো. মাসুদ খান। ছবি: পিবিআই

ঢাকার পল্লবীতে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চাকরির লোভ দেখিয়ে ও ব্যবসায়িক অংশীদারির আশ্বাস দিয়ে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করিয়ে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিত চক্রটি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাহবুবুর রহমান ওরফে বাবু, আল-আমিন ওরফে রফিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মো. মাসুদ খান ও বিলকিস। পিবিআইয়ের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা, একটি মাইক্রোবাস, বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়ি, চেকবই, চুক্তিপত্র ও মোবাইল ফোন।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তাঁকে কলাবাগানের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে ‘ভাই ভাই’ পার্টনারশিপের নাটক সাজিয়ে কোরআন হাতে শপথ করানো হয়। এরপর ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

চক্রটি নিজেদের বড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে অবসরপ্রাপ্তদের টার্গেট করে ঘন ঘন ঠিকানা বদল করে নতুন নতুন অফিস ভাড়া নিত। তারা বিলাসী ঘড়ি আমদানি-রপ্তানির গল্প শোনাত এবং নাটকীয়ভাবে বিদেশি ক্রেতা সেজে ভুয়া চেক হস্তান্তর করত। বিশ্বাস অর্জনের পর মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে পালিয়ে যেত। আর নারী সদস্য বিলকিস বাসা ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বিশ্বাস অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন।

পিবিআই জানিয়েছে, চক্রটির বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা গত তিন মাসে ৫০টিরও বেশি মোবাইল ও শতাধিক সিম ব্যবহার করেছে। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রলোভনে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১২ লাখ টাকায় সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা, ভুয়া মেজর ও কর্নেল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। ছবি: র‍্যাব
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। ছবি: র‍্যাব

ভুয়া সেনা কর্মকর্তা সেজে চাকরি দেওয়া নামে কোটি কোটি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪ এর একটি দল। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ভুয়া মেজর হলেন সোহেল রানা ওরফে মিলন (৩৩), ভুয়া কর্নেল তৈয়ব ওরফে মোস্তাক (৪৬)। তাঁদের সঙ্গে ধরা পড়া চার সহযোগী হলেন— মো. সজীব মুন্সি (৪৪), (৪) শামীম আহমেদ (৪৫), (৫) মো. মওলাদ আলী খান (৫২) এবং (৬) সোহেল রানা ওরফে জিন্নাহ (৩৭)। এদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার,৭টি সেট মোবাইল ফোন, দুটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নগদ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্রটি অসংখ্য তরুণকে ফাঁসিয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন নিজেদের সেনাবাহিনীর মেজর ও কর্নেল পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আসছিল। একই ধরনের অপরাধে এই চক্রের সদস্যরা র‍্যাব-৪ এর হাতে দু’বার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আবারও তারা একই কৌশলে প্রতারণা শুরু করে।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর সফিপুর আনসার ব্যাটালিয়ন একাডেমিতে সিপাহি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বাদ পড়েন এক প্রার্থী। এ সময় তার ভাইয়ের কাছে ফোন আসে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কাছ থেকে। ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগীর কাছে সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় করানো হয়। তারা চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ১২ লাখ টাকার দাবি করে। ভুক্তভোগী রাজি হয়ে প্রথমে একটি প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ লাখ টাকা জমা দেয়। টাকা নেওয়ার পর চক্রটি একটি ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেয় এবং বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আরও এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

র‍্যাব জানায়, বাড়িতে এসে ভুক্তভোগী তাঁর ভাইয়ের নিয়োগপত্রটি অন্য একজন প্রকৃত প্রার্থীর নিয়োগপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। তখনই গরমিল ধরা পড়ে। সন্দেহ হলে দ্রুত তিনি র‍্যাব-৪ এর কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে র‍্যাব। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এতে প্রতারণা চক্রের মূল হোতাসহ ছয় সদস্য ধরা পড়ে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অভিযোগ স্বীকার করেছে। এদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত