সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মুক্তিপণ না পেয়ে কৃষক সাইদুর রহমান রঞ্জু (৪০) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাঁতী গ্রামের গোলজার শাহর ছেলে আব্দুল মোমিন শাহ (৩০), একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (১৯) ও আবুল কাশেম প্রামাণিকের ছেলে সোহেল রানা (২৬)।
আজ বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কৃষক সাইদুর রহমান রঞ্জু কৃষিকাজের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নৌকায় নাচ-গান করতেন। আসামি মোমিন আমোদ-ফুর্তি করার জন্য শাহ রঞ্জুকে ২ হাজার টাকায় নাচ-গান করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবমতে, গত শনিবার রাতে কৃষক রঞ্জু এলংজানী বাজারে আসেন। এ সময় আসামি মোমিন, আলাউদ্দিন ও সোহেল মিলে রঞ্জুকে নৌকায় করে এলংজানী নৌকাঘাট থেকে গুণাইগাঁতী চরে নিয়ে যান। সেখানে নাচ, গান ও আমোদ-ফুর্তি করাকালে টাকার বিষয় নিয়ে আসামিদের সঙ্গে রঞ্জুর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রঞ্জু আসামি আলাউদ্দিনকে লাথি মেরে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকায় থাকা লোহার রড দিয়ে রঞ্জুর মাথায় আঘাত করে তাঁর মুখমণ্ডল পানির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর রঞ্জুর গলায় রশি বেঁধে পাথর দিয়ে পানিতে ফেলে দেন তাঁরা।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য রঞ্জুর মোবাইল ফোন দিয়ে তাঁর স্ত্রী বুলবুলি খাতুনের কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু রঞ্জুর স্ত্রী মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হন। পরে নিহতের স্ত্রী উল্লাপাড়া মডেল থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আসামি মোমিনকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে মোমিনের বাড়ি থেকে রঞ্জুর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাঁতী গ্রামের পশ্চিমে কুমার ব্রিজের নিচে রঞ্জুর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর পরিবারে খবর দেন প্রতিবেশী হাফিজুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ রঞ্জুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরে নিহতের স্ত্রী কয়েকজনকে আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মুক্তিপণ না পেয়ে কৃষক সাইদুর রহমান রঞ্জু (৪০) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাঁতী গ্রামের গোলজার শাহর ছেলে আব্দুল মোমিন শাহ (৩০), একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (১৯) ও আবুল কাশেম প্রামাণিকের ছেলে সোহেল রানা (২৬)।
আজ বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কৃষক সাইদুর রহমান রঞ্জু কৃষিকাজের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নৌকায় নাচ-গান করতেন। আসামি মোমিন আমোদ-ফুর্তি করার জন্য শাহ রঞ্জুকে ২ হাজার টাকায় নাচ-গান করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবমতে, গত শনিবার রাতে কৃষক রঞ্জু এলংজানী বাজারে আসেন। এ সময় আসামি মোমিন, আলাউদ্দিন ও সোহেল মিলে রঞ্জুকে নৌকায় করে এলংজানী নৌকাঘাট থেকে গুণাইগাঁতী চরে নিয়ে যান। সেখানে নাচ, গান ও আমোদ-ফুর্তি করাকালে টাকার বিষয় নিয়ে আসামিদের সঙ্গে রঞ্জুর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রঞ্জু আসামি আলাউদ্দিনকে লাথি মেরে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকায় থাকা লোহার রড দিয়ে রঞ্জুর মাথায় আঘাত করে তাঁর মুখমণ্ডল পানির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর রঞ্জুর গলায় রশি বেঁধে পাথর দিয়ে পানিতে ফেলে দেন তাঁরা।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য রঞ্জুর মোবাইল ফোন দিয়ে তাঁর স্ত্রী বুলবুলি খাতুনের কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু রঞ্জুর স্ত্রী মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হন। পরে নিহতের স্ত্রী উল্লাপাড়া মডেল থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আসামি মোমিনকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে মোমিনের বাড়ি থেকে রঞ্জুর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাঁতী গ্রামের পশ্চিমে কুমার ব্রিজের নিচে রঞ্জুর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর পরিবারে খবর দেন প্রতিবেশী হাফিজুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ রঞ্জুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরে নিহতের স্ত্রী কয়েকজনকে আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫