Ajker Patrika

মঞ্চে না ডাকায় ছাত্রলীগ নেতার ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৩: ০২
মঞ্চে না ডাকায় ছাত্রলীগ নেতার ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে না ডাকায় ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যর প্রায় ৬০টি চেয়ার ও মঞ্চের আসবাব ভাঙচুরের অভিযোগ তোলা হয়। 

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে (২৫)। রানা মণ্ডল উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের আইয়ুব মণ্ডলের ছেলে। এ ছাড়া এই মামলায় ধামাইচ হাট এলাকার আরও ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন আনিছুর রহমান (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩৩), মো. জিহাদ মণ্ডল (২২), মো. ফারুক মণ্ডল (১৯), মো. নাইম হোসেন (১৯), বাবলু মণ্ডল (৩৩), মো. মিলন মণ্ডল (৩৪), শান্ত ইসলাম (১৯), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫), শয়ন মণ্ডল (২২) ও নয়ন মণ্ডল (৩৩)।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দায়ের করা তাড়াশ থানার মামলাটির নম্বর ৭। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল তাঁর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, এসএমসির সদস্যদের নিয়ে থানায় গিয়ে এজাহারটি দাখিল করেন।

গত রোববার ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপিত মঞ্চে যথারীতি আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মঞ্চে না ডাকায় তিনি তাঁর ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক নিয়ে আচমকা অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন। এ সময় তাঁকে মঞ্চে না ডাকায় তিনি আয়োজকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন। আর এমন আচরণ দেখে আয়োজকেরা তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে প্যান্ডেলে থাকা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করতে থাকেন। 

এ সময় উপস্থিত শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে দৌড় দেন। পরে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। এ খবর পেয়ে তাড়াশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডল বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না।

ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত