ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তার চার র্যাবসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিচয় ব্যবহার করে বিয়ে, অপহরণ, টর্চারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানান র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি জামিরদিয়া মায়ের মসজিদ এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অপহৃত তিনজন, একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, র্যাবের দুটি ভুয়া আইডি কার্ড, ডিজিএফআই’র ভুয়া আইডি কার্ড, পাঁচটি মোবাইল, একটি সাদা রঙের হায়েস গাড়ি, ছিনতাই করা ৬৬ হাজার ৫৮৪ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাসেল মাহবুবুল (৪৩), একই উপজেলার মুছা শেখ (২৪), মুন্সিগঞ্জ জেলার মনির হোসেন (৪০), ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার সবুজ বিশ্বাস (২৪)।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার আসাদুজ্জামান আসাদ (২৮), একই জেলার ত্রিশাল উপজেলার হাফিজুল ইসলাম (৩৪) এবং টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩৬)।
র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন মাংস ব্যবসায়ী। তিনি গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুঞাপুর থানার গোবিন্দাস বাজারে নিজ দোকানে গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন।
হঠাৎ সাদা রঙের হায়েস গাড়ি তাঁর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় গাড়ি থেকে ৬-৭ জন লোক নেমে প্রথমে নিজেদের ডিবি-পুলিশ পরিচয় দিয়ে চোরাই মাংস বিক্রি করছে বলে রফিকুল ইসলামকে গাড়িতে উঠতে বলেন। তাঁদের সঙ্গে যেতে না চাইলে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে রফিকুল ইসলামকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলেন। এ সময় গ্রেপ্তার রাসেল মাহবুবুল নিজেকে র্যাবের মেজর পরিচয় দেন। তাঁকে গাড়িতে তুলে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা ১১টার দিকে জেলার মুক্তাগাছার নিমুরিয়া হাইস্কুলের সামনে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সিগন্যাল দেন। তখন আসাদুজ্জামান মোটরসাইকেল দাঁড় করাতেই গাড়িতে থাকা আসামিরা র্যাব এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) আইডি কার্ড দেখিয়ে আসাদকে গাড়িতে তোলেন এবং একজন অপহরণকারী মোটরসাইকেলটি চালিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান।
অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, একই দিন বেলা ২টার দিকে সেখান থেকে জেলার ত্রিশাল উপজেলার বাগান গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে দাঁড়িয়ে মুদি দোকানের কর্মচারী হাফিজুল ইসলামকে ডাক দেন। হাফিজুল ইসলাম কাছে এলে রাসেল মাহবুবুল আবারও নিজেকে র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে হাফিজুলকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে হত্যার হুমকি দিয়ে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন এই চক্রের চার সদস্যকে ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তাঁদের সঙ্গে আরও ছয়জন সহযোগী রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাসেল র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে তিনটি বিয়ে এবং একাধিক অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁর নামে চারটি মামলা রয়েছে। মনিরের নামে একটি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অঝোরে কেঁদে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে রাসেল আমার কাছে ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়ির সিটের নিচে আমার মাথা রেখে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে কয়েক ঘণ্টা নির্যাতন করেন। তাঁদের কাছে প্রাণে বাঁচার আকুতি করেও কোনো রেহাই পাইনি। র্যাব বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে রয়েছি। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তার চার র্যাবসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিচয় ব্যবহার করে বিয়ে, অপহরণ, টর্চারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানান র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি জামিরদিয়া মায়ের মসজিদ এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অপহৃত তিনজন, একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, র্যাবের দুটি ভুয়া আইডি কার্ড, ডিজিএফআই’র ভুয়া আইডি কার্ড, পাঁচটি মোবাইল, একটি সাদা রঙের হায়েস গাড়ি, ছিনতাই করা ৬৬ হাজার ৫৮৪ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাসেল মাহবুবুল (৪৩), একই উপজেলার মুছা শেখ (২৪), মুন্সিগঞ্জ জেলার মনির হোসেন (৪০), ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার সবুজ বিশ্বাস (২৪)।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার আসাদুজ্জামান আসাদ (২৮), একই জেলার ত্রিশাল উপজেলার হাফিজুল ইসলাম (৩৪) এবং টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩৬)।
র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন মাংস ব্যবসায়ী। তিনি গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুঞাপুর থানার গোবিন্দাস বাজারে নিজ দোকানে গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন।
হঠাৎ সাদা রঙের হায়েস গাড়ি তাঁর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় গাড়ি থেকে ৬-৭ জন লোক নেমে প্রথমে নিজেদের ডিবি-পুলিশ পরিচয় দিয়ে চোরাই মাংস বিক্রি করছে বলে রফিকুল ইসলামকে গাড়িতে উঠতে বলেন। তাঁদের সঙ্গে যেতে না চাইলে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে রফিকুল ইসলামকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলেন। এ সময় গ্রেপ্তার রাসেল মাহবুবুল নিজেকে র্যাবের মেজর পরিচয় দেন। তাঁকে গাড়িতে তুলে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা ১১টার দিকে জেলার মুক্তাগাছার নিমুরিয়া হাইস্কুলের সামনে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সিগন্যাল দেন। তখন আসাদুজ্জামান মোটরসাইকেল দাঁড় করাতেই গাড়িতে থাকা আসামিরা র্যাব এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) আইডি কার্ড দেখিয়ে আসাদকে গাড়িতে তোলেন এবং একজন অপহরণকারী মোটরসাইকেলটি চালিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান।
অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, একই দিন বেলা ২টার দিকে সেখান থেকে জেলার ত্রিশাল উপজেলার বাগান গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে দাঁড়িয়ে মুদি দোকানের কর্মচারী হাফিজুল ইসলামকে ডাক দেন। হাফিজুল ইসলাম কাছে এলে রাসেল মাহবুবুল আবারও নিজেকে র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে হাফিজুলকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে হত্যার হুমকি দিয়ে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন এই চক্রের চার সদস্যকে ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তাঁদের সঙ্গে আরও ছয়জন সহযোগী রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাসেল র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে তিনটি বিয়ে এবং একাধিক অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁর নামে চারটি মামলা রয়েছে। মনিরের নামে একটি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অঝোরে কেঁদে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘র্যাবের মেজর পরিচয় দিয়ে রাসেল আমার কাছে ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়ির সিটের নিচে আমার মাথা রেখে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে কয়েক ঘণ্টা নির্যাতন করেন। তাঁদের কাছে প্রাণে বাঁচার আকুতি করেও কোনো রেহাই পাইনি। র্যাব বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে রয়েছি। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৮ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫